![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/6d/Global_North_and_Global_South.svg/langbn-640px-Global_North_and_Global_South.svg.png&w=640&q=50)
বৈশ্বিক উত্তর ও বৈশ্বিক দক্ষিণ
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে দেশ গোষ্ঠী / From Wikipedia, the free encyclopedia
বৈশ্বিক উত্তর (ইংরেজি: Global North) ও বৈশ্বিক দক্ষিণ (ইংরেজি: Global South) হচ্ছে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে দুই দেশ গোষ্ঠীদের বোঝায়। জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (UNCTAD) অনুযায়ী "বৈশ্বিক দক্ষিণ" মূলত আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল, এশিয়া (ইসরায়েল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ব্যতীত) এবং ওশেনিয়ার (অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ব্যতীত) দেশ নিয়ে গঠিত।[1][2] বৈশ্বিক দক্ষিণের বেশিরভাগ দেশ সাধারণত জীবনযাত্রার মানের অভাব দ্বারা চিহ্নিত, যার মধ্যে নিম্ন আয়, উচ্চ দারিদ্র্য, উচ্চ জনঘনত্ব, সীমিত শিক্ষাগত সুযোগ, নিম্নমানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইত্যাদি অন্তর্গত।[lower-alpha 1] বৈশ্বিক দক্ষিণের শহরগুলোর পরিকাঠামো নিম্নমানের।[lower-alpha 2] বৈশ্বিক দক্ষিণ বিশ্বের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বিভাজনের একাংশকে বোঝাচ্ছে এবং এর অন্য অংশ হচ্ছে "বৈশ্বিক উত্তর", যা উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরায়েল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নিয়ে গঠিত।[1][2][lower-alpha 3] সুতরাং, "বৈশ্বিক উত্তর" ও "বৈশ্বিক দক্ষিণ" শব্দের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণের মতো কার্ডিনাল অভিমুখ বোঝায় না এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অনেক দেশ ভৌগোলিকভাবে উত্তর গোলার্ধের অন্তর্গত।[3]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/6d/Global_North_and_Global_South.svg/640px-Global_North_and_Global_South.svg.png)
উন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক উত্তরের দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশ হিসাবে বিবেচিত।[2][4] সরকারি ও উন্নয়ন সংগঠন দ্বারা ব্যবহৃত এই "বৈশ্বিক দক্ষিণ" শব্দটি "তৃতীয় বিশ্ব" শব্দের আরও উন্মুক্ত ও মানহীন বিকল্প হিসাবে চালু হয়েছিল।[5] বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশদের সদ্য শিল্পায়িত কিংবা শিল্পায়নের প্রক্রিয়ায় আছে বলে বর্ণনা করা হয়, এবং এরা অনেকসময় উপনিবেশবাদের বর্তমান বা প্রাক্তন শিকার।[6]
বৈশ্বিক উত্তর সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত,[7] অন্যদিকে বৈশ্বিক দক্ষিণ সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ ও প্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই দুই দেশ গোষ্ঠীদের অনেকসময় তাদের ভিন্নমানের সম্পদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আয়ের বৈষম্য, গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বৈশ্বিক উত্তরের অংশ মনে করা হয় এমন রাষ্ট্রগুলো সাধারণত ধনী ও কম বৈষম্যমূলক হয়। এরা হচ্ছে উন্নত দেশ, যারা প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক উৎপাদিত পণ্য রফতানি করে। বৈশ্বিক দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলো সাধারণত দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশ, যাদের গণতন্ত্র তুলনায় তরুণ ও ভগ্ন এবং প্রাথমিক খাতের কৃষিভিত্তিক রফতানির উপর নির্ভরশীল।[lower-alpha 4] কিছু পণ্ডিতদের মত যে বিশ্বায়নের জন্য বৈশ্বিক উত্তর ও বৈশ্বিক দক্ষিণের মধ্যে বৈষম্য কমে এসেছে।[8] আবার, অন্যান্য পণ্ডিতেরা এই ধারণার বিরোধিতা করে বলেছেন যে বিশ্বায়নের পর বৈশ্বিক দক্ষিণ আদতে আরও দরিদ্র হয়ে গেছে।[9][10][11][12]