![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/fe/Blausen_0077_Basophil_%2528crop%2529.png/640px-Blausen_0077_Basophil_%2528crop%2529.png&w=640&q=50)
বেসোফিল
শ্বেতকণিকার একটি ধরন / From Wikipedia, the free encyclopedia
বেসোফিল (ইংরেজি: basophil) বা ক্ষারাকর্ষী কোষ হলো শ্বেতকণিকার একটি ধরন। বেসোফিল দানাদার কোষসমূহের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে কম,[2] এদের সংখ্যা প্রতি মাইক্রোলিটারে ০-১০০ (গড়ে ৩৫/μL), মোট শ্বেতকণিকার ০-৪% (গড়ে ০.৪%)।[3] প্রতিরক্ষায় সাড়াদানের সময় এরা প্রদাহমূলক বিক্রিয়ায় অংশ নেই এবং বিভিন্ন তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জিজনিত রোগ, যেমন অ্যানাফিল্যাক্সিস (অতিসংবেদ্যতা), হাঁপানি, অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস ও অ্যালার্জিজনিত নাসাপ্রদাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।[4] এরা কিছু যৌগ উৎপাদন করে যেগুলো প্রতিরক্ষায় সাড়া প্রদানে সমন্বয় করে, এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হিস্টামিন ও সেরোটোনিন যা প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং হেপারিন যা রক্ত তঞ্চন প্রতিরোধ করে,[5] যদিও মাস্ট কোষ বা পৃথুল কোষের দানায় এ-সব পদার্থ বেসোফিলের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়।[6] এক সময় মাস্ট কোষকে বেসোফিল মনে করা হতো যা রক্ত থেকে তাদের আবাসিক টিসুতে (যোজক কলা) পরিভ্রমণ করে, কিন্তু বর্তমানে তারা আলাদা কোষ হিসেবে পরিচিত।[7] ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান চিকিৎসক পাউল এরলিখ প্রথম বেসোফিল আবিষ্কার করেন, যিনি এক বছর পূর্বে টিসুতে উপস্থিত একধরনের কোষ খুঁজে পেয়েছিলেন যেটিকে তিনি mastzellen (মাশ্ৎসেলেন) নামে আখ্যায়িত করেছিলেন (বর্তমানে যেটি মাস্ট কোষ নামে পরিচিত)।[8] তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য ১৯০৮ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এই কোষগুলো বেসোফিলিক বা ক্ষারাকর্ষী, অর্থাৎ এরা ক্ষারীয় রঞ্জকে রঞ্জিত হওয়ার প্রবণতা বেশি, তাই এদের নাম বেসোফিল রাখা হয়েছে।
বেসোফিল | |
---|---|
![]() বেসোফিলের একটি ত্রিমাত্রিক চিত্র | |
লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে রঞ্জিত বেসোফিল | |
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | বহুজনি রক্তোৎপাদী মাতৃকোষ CD34+ [1] |
তন্ত্র | অনাক্রম্যতন্ত্র |
শনাক্তকারী | |
মে-এসএইচ | D001491 |
টিএইচ | H2.00.04.1.02022 |
এফএমএ | FMA:62862 |
মাইক্রো শারীরস্থান পরিভাষা |