বিশেষ আপেক্ষিকতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
বিশেষ আপেক্ষিকতা বা আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব (সংক্ষেপে STR) হলো স্থান-কাল এর আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ক সাধারণভাবে গৃহীত ও পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ দ্বারা দৃঢ়ভাবে সমর্থিত তত্ত্ব। এই তত্ত্বটি আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথম ১৯০৫ সালে On the Electrodynamics of Moving Bodies নামক গবেষণা পত্রে প্রকাশ করেন। এই বিশেষ আপেক্ষিকতাকে সাধারণ আপেক্ষিকতার একটি বিশেষ রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মাইকেলসন এবং মর্লি তাদের পরীক্ষণের মাধ্যমে তিনটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তগুলোর প্রেক্ষিতেই আইনস্টাইন তার এই তত্ত্ব প্রণয়ন করেন। তত্ত্বটি দুইটি মৌলিক স্বীকার্যের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছিল:
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
১. পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র সমূহ সকল জড়ত্ত্বীয় নির্দেশতন্ত্রে একই রূপে বলবৎ থাকবে।
ব্যাখ্যা: নিউটনের গতিসূত্রের ১ম সূত্র যে নির্দেশতন্ত্রে প্রযুক্ত হয়, তাকে জড়ত্ত্বীয় নির্দেশতন্ত্র বলে। যদি কোন বস্তু জড়তায় থাকে তাকে এর ওপর বাহ্যিক বল প্রযুক্ত না হলে এর অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না। এ স্বীকার্য অনুসারে দুজন পর্যবেক্ষক একই রৈখিক বেগে চলতে থাকলে কোনো ভৌত সূত্রের রূপ একই থাকবে।
২ আলোর গতিবেগ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে।
ব্যাখ্যা: এ স্বীকার্যের প্রেক্ষিতে ইথারের অস্তিত্ব স্বীকার করা কোন মতে সম্ভব হয় না। তাছাড়া ইথার মাধ্যমের ওজন বা সান্দ্রতা কিছুই নির্ণয় করা যায় না। আইনস্টাইনের মতে, আলোক পরিবাহী ইথারের প্রবর্তন অনাবশ্যক। মাইকেলসন - মোরলে পরীক্ষা এবং পরবর্তী যুগে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, শূন্যস্থানে বা বায়ু মাধ্যমে আলোকের বেগ আলোক প্রবাহের দিক, উৎস এবং পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক বেগের ওপর নির্ভরশীল নয়। এটি একটি ধ্রুব রাশি।
মেঘনাদ সাহা ও তার সহপাঠী এবং সহকর্মী সত্যেন্দ্রনাথ বসু সর্বপ্রথম আলবার্ট আইনস্টাইনের স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি জার্মান থেকে ইংরাজি অনুবাদ করেন যা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। [1]