বাহুবলী
জৈন ধর্মের সম্মানিত ব্যক্তিদের একজন / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাহুবলী ছিলেন প্রথম জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভের পুত্র। তিনি জৈন কালচক্রের ‘অবসরপনি’ যুগে বর্তমান ছিলেন।[1][note 1][3] জৈনদের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের অন্যতম হলেন বাহুবলী। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ভরতের সঙ্গে একটি অহিংস দ্বন্দ্বযুদ্ধ জয়ের পর তার মনে সন্ন্যাস গ্রহণের ইচ্ছা জেগেছিল। তিনি তার রাজ্য ভরতকে দান করে দিয়ে এক দিগম্বর সন্ন্যাসী হয়ে যান। এক বছর কায়োৎসর্গ ভঙ্গিমায় স্থাণু হয়ে থাকে তিনি ধ্যান করেন। এর ফলে তার পা ঘিরে লতাপাতা গজিয়ে ওঠে।[4] এক বছর ধ্যানের পর তিনি কেবল জ্ঞান (সর্বজ্ঞতা) প্রাপ্ত হন এবং একজন অরিহন্তে পরিণত হন। যে মানুষ ক্রোধ, আসক্তি, লোভ ও গর্ব প্রভৃতি আন্তরিক আবেগগুলিকে জয় করতে পারেন, তাকেই ‘অরিহন্ত’ বলা হয়। জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, বাহুবলী কৈলাস পর্বতে মোক্ষ লাভ করে একজন সিদ্ধে (অর্থাৎ, পূণ্যাত্মা বা পবিত্রাত্মা ব্যক্তি) পরিণত হন।[5]
বাহুবলীর অপর নাম গোমতেশ্বর। কারণ, এই নামে তার একটি বিগ্রহ নির্মিত হয়েছে। গোমতেশ্বর মূর্তিটি তৈরি করান গঙ্গ রাজবংশের মন্ত্রী ও সেনাপতি চামুণ্ডারায়। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাসান জেলার শ্রবণবেলগোলায় অবস্থিত এই একশিলা[note 2] মূর্তিটির উচ্চতা ৫৭-ফুট (১৭ মি)। মূর্তিটি ৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বিনা-সহায়তায় দণ্ডায়মান মূর্তিগুলির অন্যতম।[1][6] ২০০৭ সালের ৫ অগস্ট, মূর্তিটি ভারতের সাত আশ্চর্যের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে ৪৯% ভোট পেয়ে।[7] প্রতি বারো বছরে এক বার আয়োজিত মহামস্তকাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এখানে প্রচুর তীর্থযাত্রী, ভক্ত ও পর্যটক সমাগম হয়।