পৃথিবীর ব্যাসার্ধ
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে তার উপরিভাগে একটি বিন্দু পর্যন্ত দূরত্ব / From Wikipedia, the free encyclopedia
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে তার উপরিভাগে একটি বিন্দু পর্যন্ত দূরত্ব। এর মানের তারতম্য নিরক্ষরেখায় ৬,৩৭৮ কিমি (৩,৯৬৩মাইল) থেকে মেরু অঞ্চলে ৬৩৫৭ কিমি (৩৯৫০ মাইল) পর্যন্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূপ্রকৃতিবিদ্যায় একটি শিল্প-পদের এবং উভয়ক্ষেত্রেই একটি পরিমাপের একক। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানে R🜨 দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অন্যান্য প্রেক্ষিতে একে বা দ্বারাও প্রকাশ করা হয়।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বিভিন্ন উপায়ে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যেহেতু পৃথিবী নিখুঁত গোলক নয়। সাধারণত যে পৃষ্ঠে কোনো ব্যাসার্ধ এসে প্রসারিত হয় তাকে পৃথিবীর আকৃতি প্রতিনিধিত্বকারী একটি উপবৃত্ত হিসেবে ধরা হয়। পৃষ্ঠের মতো, পৃথিবীর কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত বিন্দুর ভিত্তিতেও সংজ্ঞা প্রদান করা যায় এবং তাই পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ধারণের বিভিন্ন উপায়ে অবদান রাখে।
যখন শুধুমাত্র একটি ব্যাসার্ধের উল্লেখ থাকে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন মতে এতে নিরক্ষীয় ব্যাসার্ধ ব্যবহার করা উচিত।[1] আন্তর্জাতিক ভূগণিত ও ভূপদার্থবিজ্ঞান জোট (আইইউজিজি) তিনটি গ্লোবাল গড় ব্যাসার্ধ নির্ধারিণ করে: উপবৃত্তের ব্যাসার্ধের গাণিতিক গড় (R1); প্রকল্পিত ব্যাসার্ধ, যা উপভৃত্তের পৃষ্ঠের সমান ক্ষেত্রফ্অল বিশিষ্ট পৃষ্ঠের একটি গোলকের ব্যাসার্ধ (R2); এবং আয়তনিক ব্যাসার্ধ, যা উপভৃত্তের আয়তনের সমান আয়তন বিশিষ্ট একটি গোলকের ব্যাসার্ধ (R3)।[2] এই তিনটি ব্যাসার্ধই প্রায় ৬,৩৭১ কিলোমিটার (৩,৯৫৯ মাইল)।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সংজ্ঞায়িত করার অন্যান্য অনেক উপায় বর্ণিত হয়েছে। এদের কিছু নিচে দেখানো হয়েছে। কয়েকটি সংজ্ঞা মেরু ব্যাসার্ধ এবং নিরক্ষীয় ব্যাসার্ধের মধ্যের পরিসরের বাইরের মান উৎপাদন করে কারণ তারা স্থানীয় বা জিওডাল টপোলজির অন্তর্ভুক্ত বা বিমূর্ত জ্যামিতিক বিবেচনার উপর নির্ভর করে।