পিটার হিগস
ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
পিটার ওয়্যার হিগস (সি এইচ, এফ, এফ আর এস ই) (২৯ মে ১৯২৯ - ৮ এপ্রিল ২০২৪) একজন ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক,[6][7]এবং সাবঅ্যাটমিক কণার ভরের উপর তার কাজের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[8]
পিটার হিগস | |
---|---|
জন্ম | পিটার ওয়্যার হিগস (1929-05-29) ২৯ মে ১৯২৯ (বয়স ৯৪) নিউক্যাসল আপন টাইনে, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ২০২৪(2024-04-08) (বয়স ৯৪) |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ[1] |
মাতৃশিক্ষায়তন | কিংস কলেজ লন্ডন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি) |
পরিচিতির কারণ | হিগস বোসন হিগস ফিলড হিগস মেকানিজম |
দাম্পত্য সঙ্গী | জোডি উইলিয়ামসন (বি. ১৯৬৩) |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন কিংস কলেজ লন্ডন |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | আণবিক কম্পনের তত্ত্বে কিছু সমস্যা (১৯৫৫) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | চার্লস কুলসন[2][3] ক্রিস্টোফার হিগন্স[2][4] |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী |
|
ওয়েবসাইট | www |
স্বাক্ষর | |
১৯৬০এর দশকে, হিগস প্রস্তাব করেছিলেন যে ইলেক্ট্রোওয়েক তত্ত্বে ভাঙা প্রতিসাম্য সাধারণভাবে প্রাথমিক কণার ভর এবং বিশেষ করে ডব্লিউ ও জেড বোসনগুলির উৎস ব্যাখ্যা করতে পারে। হিগসের সমসাময়িক আরও কয়েকজন পদার্থবিদ একই রকম প্রস্তাবনা রাখলেও এ প্রক্রিয়াটি হিগস কার্যপ্রণালী নামে পরিচিতি পায়।একই সাথে এই কার্যপ্রণালীটি হিগস বোসন নামে একটি নতুন কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয় (যেটা "আধুনিক পদার্থবিদ্যায় সর্বাধিক অনুসন্ধানকৃত কণা" নামে পরিচিত।[9][10] ৪ জুলাই ২০১২ সালে সি ই আর এন লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে বোসন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়।[11] হিগস কার্যপ্রণালীকে সাধারণত কণা পদার্থবিদ্যার স্ট্যান্ডার্ড মডেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা ছাড়া নির্দিষ্ট কণার ভর থাকবে না।[12]
হিগস তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রয়েল সোসাইটি থেকে ১৯৮১ সালের হিউজ মেডেল সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও হিগস পদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৪ সালে রাদারফোর্ড পদক তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় ইরোপিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি থেকে ১৯৯৭ এ উচ্চ শক্তি এবং কণা পদার্থবিদ্যা পুরস্কার। পদার্থবিদ্যায় উলফ পুরস্কার (২০০৪), রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে ২০০৯ এ অস্কার ক্লেইন মেমোরিয়াল লেকচার মেডেল। তাত্ত্বিক কণা পদার্থবিদ্যার জন্য(২০১০) আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি থেকে জে. জে. সাকুরাই পুরস্কার(২০১০); এবং ২০১২ সালে রয়্যাল সোসাইটি অফ এডিনবার্গ থেকে একটি অনন্য হিগস পদক লাভ করেন।[13]পদার্থবিদ্যায় অসামান্য অবদানের জন্য হিগস ডিরাক পদক(১৯৯৭)এবং পুরস্কার লাভ করেন,। হিগস বোসনের আবিষ্কার সহকর্মী পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংকে উল্লেখ করতে প্ররোচিত করেছিল যে তিনি ভেবেছিলেন যে হিগসকে তার কাজের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত।[14] হকিংকের সেই আশার প্রতিফলন ঘটে ২০১৩ সালে ।২০১৩ সালে ফ্রাঙ্কোইস এঙ্গলার্টের সাথে যৌথ ভাবে হিগস পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[15]হিগসকে ২০১৩ সালের নববর্ষের সম্মাননা অর্ডার অফ দ্য কম্প্যানিয়ন্স অফ অনারে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে রয়্যাল সোসাইটি তাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বৈজ্ঞানিক পুরস্কার কোপলি মেডেল প্রদান করে।[16][17][18]