নাইওবিয়াম
একটি মৌলিক পদার্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
নাইওবিয়াম, পূর্বে কলাম্বিয়াম নামে পরিচিত, হলো ৪১ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট একটি মৌল, যার প্রতীক Nb (পূর্বে Cb)। নাইওবিয়াম হালকা ধূসর, স্ফটিকাকার ও নমনীয় অবস্থান্তর ধাতু। বিশুদ্ধ নাইওবিয়াম বিশুদ্ধ টাইটেনিয়ামের মতো কঠিন,[বৈপরীত্য][3] ও লৌহের মতো নমনীয়। নাইওবিয়াম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে খুব ধীরে জারিত করে, তবুও গহনাশিল্পে নাইওবিয়ামকে নিকেলের হাইপোঅ্যালার্জেনিক বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নাইওবিয়াম খনিতে পাইরোক্লোর ও কলাম্বাইট হিসেবে পাওয়া যায়, যার কারণে এর পূর্ব নাম ছিল কলাম্বিয়াম। গ্রিক পুরাণের ট্যান্টালুসের (যার নাম থেকে ট্যানটালাম (Ta) মৌলের নামের উৎপত্তি) কন্যা নাইওবের নামানুসারে মৌলটির নামকরণ করা হয়েছে। এরূপ নামকরণ মৌল দুটির গাঠনিক ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্যকে নির্দেশ করে। এরূপ সাদৃশ্যের জন্য কখনো কখনো মৌল দুটিকে আলাদা করা যায় না।[4]
নাইওবিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উচ্চারণ | /naɪˈoʊbiəm/ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নাম, প্রতীক | নিওবিয়াম, Nb | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(Nb) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উপস্থিতি | gray metallic, bluish when oxidized | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় সারণিতে নিওবিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক সংখ্যা | ৪১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৌলের শ্রেণী | অবস্থান্তর ধাতু | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ | গ্রুপ ৫ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় | পর্যায় ৫ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্লক | ডি-ব্লক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | [Kr] ৪d৪ ৫s১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা | 2, 8, 18, 12, 1 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দশা | কঠিন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গলনাঙ্ক | 2750 কে (2477 °সে, 4491 °ফা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্ফুটনাঙ্ক | 5017 K (4744 °সে, 8571 °ফা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে) | 8.57 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | 30 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্পীভবনের এনথালপি | 689.9 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপ ধারকত্ব | 24.60 J·mol−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্প চাপ
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | 5, 4, 3, 2, -1 (mildly acidic oxide) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ-চুম্বকত্ব | 1.6 (পলিং স্কেল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ | empirical: 146 pm | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ | 164±6 pm | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিবিধ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কেলাসের গঠন | body-centered cubic (bcc) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শব্দের দ্রুতি | পাতলা রডে: 3480 m·s−১ (at 20 °সে) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় প্রসারাঙ্ক | 7.3 µm·m−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহিতা | 53.7 W·m−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা | ০ °সে-এ: 152 n Ω·m | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
চুম্বকত্ব | paramagnetic | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক | 105 GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কৃন্তন গুণাঙ্ক | 38 GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আয়তন গুণাঙ্ক | 170 GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পোয়াসোঁর অনুপাত | 0.40 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
(মোজ) কাঠিন্য | 6.0 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভিকার্স কাঠিন্য | 1320 MPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্রিনেল কাঠিন্য | 736 MPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা | 7440-03-1 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নিওবিয়ামের আইসোটোপ
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেমপ্লেট:তথ্যছক নিওবিয়াম আইসোটোপ এর অস্তিত্ব নেই
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
· তথ্যসূত্র |
১৮০১ সালে ইংরেজ রসায়নবিদ চার্লস হ্যাচেট ট্যানটালামের সদৃশ একটি মৌল প্রত্যক্ষ করেন ও নাম দেন কলাম্বিয়াম। ১৮০৯ সালে উইলিয়াম হাইড ওলাস্টোন ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ট্যানটালাম ও কলাম্বিয়াম একই ধাতুর রূপভেদ। ১৮৬৪ সালে জার্মান রসায়নবিদ হেনরিখ রোজ ট্যানটালাম আকরিকে দ্বিতীয় আরেকটি মৌল শনাক্ত করেন, যার নাম দেন নাইওবিয়াম। ১৮৬৪ ও ৬৫ সালে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে নাইওবিয়াম ও কলাম্বিয়াম একই মৌল (ট্যানটালুম থেকে পৃথক করায়)। এরপর প্রায় একশত বছর দুইটি নামই বিভিন্ন বিজ্ঞানী ব্যবহার করেন। ১৯৪৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌলটির নামকরণ করা হয় নাইওবিয়াম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে কলাম্বিয়াম নামটি ধাতুবিদ্যায় এখনও ব্যবহৃত হয়।
২০ শতাব্দীর পূর্বে নাইওবিয়াম বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয় নি। ব্রাজিল নাইওবিয়াম ও ফেরোনাইওবিয়ামের শীর্ষ উৎপাদক। ফেরোনাইওবিয়াম হলো নাইওবিয়াম ও লোহার সংকর, যাতে ৬০-৭০% নাইওবিয়াম থাকে। সংকর ধাতু হিসেবে নাইওবিয়ামের অধিক ব্যবহার হয়, যার মধ্যে বেশিরভাগ গ্যাস সরবরাহকারী পাইপের ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যদিও এই সকল সংকর ধাতুতে সর্বোচ্চ ০.১% নাইওবিয়াম ব্যবহৃত হয়, তবুও তা ইস্পাতের দৃঢ়তা যথেষ্ট বৃদ্ধি করে। নাইওবিয়াম সংকর ধাতুসমূহের উচ্চ তাপমাত্রা-সহনশীলতার জন্য জেট ও রকেট ইঞ্জিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন অতিপরিবাহী সামগ্রী তৈরিতে নাইওবিয়াম ব্যবহৃত হয়। টাইটেনিয়াম ও টিনযুক্ত এই অতিপরিবাহী সংকর ধাতুগুলো এমআরআই যন্ত্রের অতিপরিবাহী চুম্বক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ঝালাই, পরমাণু শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স, আলোকবিদ্যা, মুদ্রাশিল্প ও গহনাশিল্পে নাইওবিয়াম ব্যবহৃত হয়। মুদ্রা ও গহনাশিল্পে অ্যানোডিকরণের ফলে উৎপাদের নিম্ন বিষাক্ততা ও বর্ণিলতা অতি আকাঙ্ক্ষিত। নাইওবিয়ামকে শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।