Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নল্লুর কন্দস্বামী কোভিল বা নল্লুর মুরুগান কোভিল (তামিল: நல்லூர் கந்தசுவாமி கோவில்) শ্রীলঙ্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দির। এটি শ্রীলঙ্কার উত্তর প্রদেশের জাফনা জেলার নল্লুর শহরে অবস্থিত।এই মন্দিরে মুরুগান বা কার্তিক পবিত্র ভেল রূপে পূজিত হন।সিম্বিয়ান ব্রোঞ্জে নির্মিত মন্দিরের নল্লুর দেবীর প্রতিমাটি দশম শতকে চোল সম্রাজ্যের রাণী সিম্বিয়ান মহাদেবী উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
নল্লুর কন্দস্বামী মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | জাফনা |
প্রদেশ | উত্তরপ্রদেশ, শ্রীলঙ্কা |
অবস্থান | |
দেশ | শ্রীলঙ্কা |
স্থাপত্য | |
ধরন | দ্রাবিড় |
সৃষ্টিকারী | কৃষ্ণ সুবা আইয়ার এবং রঘুনাথ মাপানা মুদালিয়ার |
ওয়েবসাইট | |
http://nallurkanthan.com/ |
নল্লুর কন্দস্বামী মন্দিরটি ৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।যল্পনা ভাইপাভা মালালির মতে, মন্দিরটি জাফনা রাজা কলিঙ্গ মঘার একজন মন্ত্রী পাভেন্যা ভাকু ১৩ শতাব্দীর মধ্যে ওই স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেন।রাজা সাপুমল কুমারিয়া (তামিলদের মধ্যে ছেম্পফা পেরুমল নামে পরিচিত) যিনি কোট্টে সম্রাজ্যের পক্ষে জাফনা শাসন করতেন তাকে তৃতীয়বারের মত ওই মন্দিরটি নির্মাণ করেন।[1][2] নল্লুর জাফনা রাজ্যের রাজধানী ছিল এবং রাজপ্রাসাদ মন্দিরের খুব নিকট অবস্থিত ছিল।নল্লুরে প্রবেশ করার জন্য চারটি বৃহৎ গোপুরম বা প্রবেশদ্বার এবং দুটি প্রধান সড়ক ছিল। [3] চারটি গোপুরমের সাথে চারটি মন্দির ছিল।সাধারন ভাবে বলা যায় নল্লুর শহরটি হিন্দু মন্দির এবং হিন্দু ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এক স্থান ছিল।[3]
বর্তমানে নল্লুর মন্দিরটি তার আগের জায়গাতে নেই কারণ পূর্বের মন্দিরটি পর্তুগিজরা দখল করে নেয় এবং সেখানে গির্জা তৈরি করে।[3] নল্লুর শহরটি মুথিরাই সান্থাই বা মার্কেট প্লেস হিসেবে ছিল যা একটি বর্গাকার দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত ছিল।সেখানে রাজার জন্য বাসস্থান, ব্রাহ্মণ পুরোহিত, সৈন্য ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারীদের জন্য ভবন ছিল। পুরানো মন্দিরটি সুউচ্চ দেয়াল বেষ্টিত একটি আত্মরক্ষামূলক দুর্গ হিসেবেও ব্যবহার করা হত।[3] এখনও নল্লুরে চাঙ্কিলিয়ান থপ্পু বা রাজা দ্বিতীয় চাঙ্কির প্রাসাদের বাইরের অংশ টিকে রয়েছে।তৃতীয় বারের মত নল্লুর মন্দিরটি পর্তুগিজ ক্যাথলিক খ্রিস্টান কর্নেল ফিলিপ্পে ডি অলিভেরিয়া ১৬২৪ সালে ধ্বংস করে। [4]
চতুর্থ বা বর্তমান মন্দিরটি ১৭৪৯ সালে ডাচ ঔপনিবেশিক আমলে কৃষ্ণ সুবা আইয়ার এবং রঘুনাথ মাপানা মুদালিয়ার নামে দুজন ব্যক্তি নির্মাণ করেন মূল আদি মন্দিরের প্রাঙ্গনে। প্রাথমিকভাবে মন্দির ইট ও পাথর ব্যবহার করে নির্মিত এবং একটি ক্যাডজান ছাদ ছিল। মূল মন্দিরতে মাত্র দুটি প্রধান কক্ষ ছিল এবং ঘড়ির জন্য কোন টাওয়ার ছিল না;পার্শ্ববর্তী আঙ্গিনা, প্রাচীর, বা কোনো গোপুরপম বা প্রবেশদ্বারও ছিল না। ঘড়ির জন্য প্রথম টাওয়ারটি ১৮৯৯ সালে নির্মিত হয় এবং প্রধান হলঘরটি যেখানে দেবতা বাস করেন সেটি ১৯০২ সালে পাথর দিয়ে নির্মিত হয়। ১৯০৯ সালে সর্বপ্রথম মন্দিরটির প্রাচীর নির্মিত হয়।অনুরূপভাবে,ধীরে ধীরে জনসাধারণের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে মন্দিরটির সংস্কার করা হয়েছে।১৯৬৪ সালে 'ভাসান্থা মণ্ডপম' বা বর্তমান গ্র্যান্ড হলটি নির্মাণ করা হয়। মন্দির পূর্বমুখে রয়েছে প্রধান প্রবেশপথ। প্রধান ফটক বা গোপুরমটি দ্রাবিড় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত যা পাঁচ তলা টাওয়ারের সমান উঁচু। পার্শ্ববর্তী ভেতরের উঠানে গণেশ, ভৈরব, সূর্য ও সান্দানা গোপালের জন্য মন্দির নির্মিত হয়েছে।এই মন্দিরের দক্ষিণ অংশে পবিত্র জলাশয় এবং থান্দুয়াথাপানি রয়েছে যা মুরুগান বা কার্তিকের জন্য নিবেদিত। উত্তর পাশে রয়েছে একটি বড় উদ্যান। মন্দিরের একটি তালা দেয়া ভুগর্ভস্থ কুঠরি রয়েছে যেখানে দশম শতাব্দীতে চোল রাজাদের মন্দিরে দান করা ব্রোঞ্জ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
মন্দিরটি উত্তর শ্রীলঙ্কার তামিলর হিন্দুদের কাছে সামাজিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।শ্রীলঙ্কার প্রবাসী তামিলরা অনেক মন্দির ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় নির্মাণ করেছেন এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতি হিসাবে এই মন্দিরের নাম ব্যবহার করেছেন।
২১ আগস্ট ২০১১ সালে মন্দিরের ১০০ ফুট উঁচু নতুন গোপুরম উন্মোচন করেন।
মন্দির বার্ষিক উৎসব যা পতাকা উত্তোলন দিয়ে শুরু হয় যেটি কদিয়াত্রাম নামে পরিচিত।এই উৎসবটি ২৫ দিন ব্যাপী হয় যেখানে অভিষেক,পূজা সহ আরও অনেক আচার অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.