![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/95/South_Korea_%2528orthographic_projection%2529.svg/langbn-640px-South_Korea_%2528orthographic_projection%2529.svg.png&w=640&q=50)
দক্ষিণ কোরিয়ায় সমকামীদের অধিকার
দক্ষিণ কোরিয়ায় সমকামী অধিকার / From Wikipedia, the free encyclopedia
সমকামিনী, সমকামী, উভকামী এবং হিজড়া (LGBT) জনগণ দক্ষিণ কোরিয়ায় আইনগত ঝামেলায় পড়েন। তবে সামাজিকভাবে এলজিবিটি নয় এরূপ জনগণ কর্তৃক তারা বৈষম্যের স্বীকার হন না। সমকামি আচরণ দক্ষিণ কোরিয়ায় আইনগতভাবে স্বীকৃত। তবে বহু পশ্চিমা দেশের মত বিয়ে করার অনুমতি নেই।
সমকামী অধিকার : ![]() | |
---|---|
![]() দক্ষিণ কোরিয়া | |
সমকামী অধিকার? | কোরিয়ান ইতিহাসে সমকামীতা বিরুদ্ধে কোন আইন পাওয়া যায় না |
লিঙ্গ স্বীকৃতি | ট্রান্সজেন্ডার মানুষেরা আইনগতভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারেন |
সামরিক চাকরিতে | সামরিক বাহিনীতে সমকামিতা গ্রহনযোগ্য নয়।সকল পুরুষকে সামরিক বাহিনীতে সেবা দিতে হয় এবং এই সময় সমকামিতার ব্যাপারে সামরিক আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। |
বৈষম্য নিরাপত্তা | কিছু |
পারিবারিক অধিকার | |
সম্পর্কের স্বীকৃতি | না |
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান বা পেনালকোডে সমকামিতা নিয়ে কোণ উল্লেখ নেই। তবে ৩১তম অধ্যায়ে কোরিয়ার মানবাধিকার কমিটির আইন উল্লেখ করে " কোন ব্যক্তিই তার যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হবেন না।" অবশ্য, সামরিক বাহিনীর পেনাল কোডের ৯২ নং অধ্যায়ে সমকামি আচরনকে "যৌন হয়রানি" ( কোরীয়: 상호강간; হাঞ্জা: 相互强姦 ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড। এই পেনালকোডে স্বেচ্ছায় কিংবা জোর পূর্বক সমকামি আচরনের কথা উল্লেখ করা নেই। তবে, ২০১০ সালের একটি সামরিক আদালত উক্ত আইনকে অবৈধ ঘোষণা করে কেননা সমকামিতা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। উক্ত রায়ের ব্যাপারে সাংবিধানিক আদালতে আপীল করা হলেও আপীলের রায় এখনো দেয়া হয়নি। [1]
২০ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোন রূপান্তরিত লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ পরিবর্তনের অপারেশন করার অধিকার রাখেন। একই সাথে এই অধিকার বলে তারা নিজেদের দাপ্তরিক কাগজপত্রেও লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তন করতে পারেন।[2] দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম রূপান্তরিতলিঙ্গের বিনোদনকর্মী, হারিসু। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি আইনগতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার লিঙ্গ পরিবর্তনকারীদের মাঝে দ্বিতীয়।
২০১৭ সালের আগস্টে, উচ্চ আদালত সরকারকে "বিয়ন্ড দ্যা রেইনবো" নামের একটি এলজিবিটি অধিকার ফাউন্ডেশনকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুমতি প্রদানে সরকারকে নির্দেশ দেয়। সরকারি অনুমতি ব্যতীত উক্ত ফাউন্ডেশন কর -মওকুফ ত্রান সংগ্রহ করতে পারছিল না[3][4]