ত্রিলোকীনাথ চতুর্বেদী
ভারতীয় রাজনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ত্রিলোকীনাথ চতুর্বেদী (১৮ জানুয়ারি ১৯২৮ - ৫ জানুয়ারি ২০২০)[1],ছিলেন ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (IAS) এর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ব্যাচের সদস্য এবং কর্ণাটক ও কেরল রাজ্যের রাজ্যপাল।
ত্রিলোকীনাথ চতুর্বেদী | |
---|---|
নবম রাজ্যপাল কর্নাটক সরকার | |
কাজের মেয়াদ ২১ আগস্ট ২০০২ – ১০ আগস্ট ২০০৭ | |
পূর্বসূরী | ভি. এস. রমাদেবী |
উত্তরসূরী | রামাশ্বর ঠাকুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ত্রিলোকীনাথ চতুর্বেদী (১৯২৮-০১-১৮)১৮ জানুয়ারি ১৯২৮ কনৌজ, উত্তরপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৫ জানুয়ারি ২০২০(2020-01-05) (বয়স ৯১) নয়ডা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ (১৯৯১) |
ত্রিলোকীনাথ চতুর্বেদীর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজ শহরের তিরওয়া অঞ্চলে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন তিরওয়ার ডি এন ইন্টার কলেজ থেকে। তবে তার উচ্চ শিক্ষা কানপুরে।[1] এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও তিনি আইনের স্নাতক ছিলেন।[2]
তিনি রাজস্থান সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। তারপর ভারত সরকারের অধীনে আজমিরের কালেক্টর, চণ্ডীগড়ের চীফ কমিশনার, দিল্লি প্রশাসনের মুখ্য সচিব, মুসৌরিস্থিত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের যুগ্ম পরিচালক ও পরে পরিচালক, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক ইত্যাদি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। ভারত সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের গুরু দায়িত্ব পালন করেন। ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা থেকে অবসরের পর ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভারতের কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেলের পদে ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি কর্ণাটক রাজ্যের নবম রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বভার নেন ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন এবং ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন
আইএএস থেকে অবসর নেওয়ার পর, চতুর্বেদী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। [3] ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট তিনি কর্ণাটকের রাজ্যপাল হন। এছাড়াও, সিকান্দার বখতের মৃত্যুর পর ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি হতে ২৩ জুন পর্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য কেরালার রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন।[2] অতঃপর ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট রামেশ্বর ঠাকুর তার স্থলাভিষিক্ত হন ।
তিনি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।[4]
২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৫ জানুয়ারি রবিবার চতুর্বেদী নয়ডার কৈলাশ হাসপাতালে ৯১ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন।[5]