তামিল জাতি
দ্রাবিড় নৃ-ভাষাগত জনগোষ্ঠী / From Wikipedia, the free encyclopedia
তামিল জাতি (তামিল: தமிழர்; tamiḻar) ভারতীয় রাজ্য তামিলনাড়ু ও শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী একটি দ্রাবিড় নৃ-ভাষাগত জনগোষ্ঠী। এই জাতির মানুষেরা তামিল ভাষায় (তামিল: தமிழ்) ভাষায় কথা বলেন। তামিল জাতির ইতিহাস দুই হাজার বছরের প্রাচীন।[8] যারা তামিল বংশে জন্মগ্রহণ করে তারা তামিলীয় বলে বিবেচিত হয়।[9] তামিলরা ভারতের জনসংখ্যার ৫.৯% (প্রধানত তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে বেশি), শ্রীলঙ্কায় ১৫% ( শ্রীলঙ্কা মুরস ব্যতীত[note 3]), মালয়েশিয়ায় ৭% , মরিশাসে ৬%[14] এবং ৫% সিঙ্গাপুরে। এছাড়া সারা বিশ্বেই এই জাতির অভিবাসনকারী প্রবাসী সদস্যদের দেখা মেলে। তামিলরা মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
தமிழர் | |
---|---|
মোট জনসংখ্যা | |
আনু. ৮.৬ কোটি[1] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভারত | ৬,৯০,২৬,৮৮১ (২০১১)[2] |
শ্রীলঙ্কা | ৩১,৩৫,৭৭০ (২০১২)[3] |
মালয়েশিয়া | ১৮,০০,০০০[1] |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২,৩৮,৬৯৯+[4] |
কানাডা | ২৩৭,৮৯০ (২০২১)[5][note 1] |
সিঙ্গাপুর | ১৯২,৬৬৫+ (২০১৫)[6][7][note 2] |
অন্যান্য | তামিল প্রবাসী দেখুন |
ভাষা | |
তামিল | |
ধর্ম | |
সংখ্যাগরিষ্ঠ: হিন্দুধর্ম সংখ্যালঘু: | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
তামিল ভাষা ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা প্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় ভাষা। দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠী মধ্যে এই ভাষার সাহিত্যই প্রাচীনতম।[15] তামিলদের শিল্প ও স্থাপত্যকলা ভারতীয় তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিল্পকলার জগতে বিশেষ অবদান রেখেছে। তামিলদের প্রসিদ্ধ নটরাজ স্থাপত্য হিন্দুধর্মের একটি বিশ্বজনীন প্রতীক। প্রাচীন তামিল দেশে সৃষ্ট সংগীত ও মন্দির স্থাপত্য আজও অধীত ও অনুশীলিত হয়ে থাকে। এই কারণে তামিল সভ্যতাকে বিশ্বের সর্বশেষ বিদ্যমান ধ্রুপদি সভ্যতা বলা হয়।[16] তামিল পল্লব সাম্রাজ্যে দক্ষিণী ব্রাহ্মীর অন্যতম রূপভেদ পল্লব লিপি ব্যবহৃত হত। এই লিপি বর্মি, খমের, থাই, লাও ও জাভা লিপির মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন বর্ণমালাগুলির উৎস।[17]