তরমুজ
উদ্ভিদের প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
তরমুজ (Citrullus lanatus) একটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল। ঠাণ্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এই ফলে ৬% শর্করা এবং ৯২% জল এবং অন্যান্য উপাদান ২%। এটি ভিটামিন এ সম্বৃদ্ধ ফল।
তরমুজ Citrullus lanatus | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Cucurbitales |
পরিবার: | Cucurbitaceae |
গণ: | Citrullus |
প্রজাতি: | C. lanatus |
দ্বিপদী নাম | |
Citrullus lanatus (থুনব.) নাতসুম. ও নাকাই | |
২০০৫ সালে তরমুজ উৎপাদন |
প্রত্নতাত্ত্বিক এবং প্যালেওবোটানিস্টদের মতে, তরমুজের সাংস্কৃতিক বিভিন্ন জাতীয় সিট্রুলাস প্রজাতির ক্ষুদ্র বুনো প্রতিনিধিদের সাথে প্রচলিত শেকড় রয়েছে, যা এখনো দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক এবং জাম্বিয়া, নামিবিয়া এবং বতসোয়ানা প্রান্তরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই দেশগুলিতেই তরমুজগুলির জিনগত রূপগুলির সর্বাধিক সংখ্যক প্রকাশিত হয়েছিল, এতে তিক্ত, তাজা এবং সামান্য মিষ্টি শাসযুক্ত ফল পাওয়া যায়।
তারপরেই তরমুজের ইতিহাস শুরু হয়েছিল, খাদ্যে ব্যবহৃত সংস্কৃতি হিসাবে। যদি উচ্চ গ্লাইকোসাইড উপাদানযুক্ত তিক্ত উদ্ভিদগুলি যদি বিনা বাধে ফেলে রাখা হয় তবে 4,000 বছর আগে আরও ভোজ্য প্রজাতি আফ্রিকার উত্তরে এসেছিল এবং নীল উপত্যকায় বসবাসকারী লোকদের আগ্রহী ছিল। এখান থেকে সংস্কৃতি, যেমন তরমুজের ইতিহাস বলেছে, ভূমধ্যসাগর, মধ্য প্রাচ্য এবং এর বাইরেও ভারত এবং চীন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাকি মিসর—কোনটি তরমুজের জন্মভূমি, সেটি নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাংলা যে দেশের দ্বিতীয় অফিশিয়াল ভাষা সেটি সিয়েরালিওন। এই সিয়েরালিওন আফ্রিকার যে অঞ্চলে অবস্থিত সেই পশ্চিম আফ্রিকা তরমুজের জন্মভূমি হিসেবে বিখ্যাত—এ রকম একটি জনপ্রিয় মত চালু আছে।
তবে নাইজেরিয়া, নাইজার, সেনেগাল, আইভরি কোস্টসহ পশ্চিম আফ্রিকার ১৭টি দেশের কোনটি তরমুজের আদিভূমি, তা বলা মুশকিল। কিন্তু ইসরায়েলের গবেষক হ্যারি প্যারিস অনুমান করেছেন, প্রাচীন মিশরও তরমুজের আদি ভূমি হতে পারে। প্রাচীন মিশরীয়দের তরমুজ চাষের ছবি দেখে তিনি বলতে চেয়েছেন, মিশরীয়দের কৃষির ইতিহাস প্রায় চার হাজার বছরের পুরোনো এবং এটি পশ্চিম আফ্রিকার কৃষির চেয়েও প্রাচীন। প্রাচীন মিসরের দ্বাদশ রাজবংশের রাজা আমেনমহাট–১–এর শাসন আমলে ১৯৯১-১৯৬২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তরমুজের দেখা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তুতেনখামেনের সমাধি মন্দিরের গায়ে যে চিত্র রয়েছে, সেখানেও তরমুজের চিত্র দেখা যায়। প্যারিস জানান, উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় ‘গুরুম’ (Citrullus lanatus var. citroides) আধুনিক তরমুজের পূর্বপুরুষ।