Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জেমি ফক্স (ইংরেজি: Jamie Foxx; জন্মনাম: এরিক মার্লোন বিশপ,[1] জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৭) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, গায়ক, গীতিকার এবং প্রযোজক। তিনি ২০০৪ সালে জীবনীমূলক রে চলচ্চিত্রে রে চার্লস ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি অপরাধধর্মী কোল্যাটেরাল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি ফক্স ব্রডকাস্টিং কোম্পানির গেম শো বিট শাজাম অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও নির্বাহী প্রযোজকের দ্বায়িত্ব পালন করেন।
জেমি ফক্স | |
---|---|
Jamie Foxx | |
জন্ম | এরিক মার্লোন বিশপ ডিসেম্বর ১৩, ১৯৬৭ টেরেল, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | অ্যালিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৮৯ – বর্তমান |
সন্তান | ২ |
কৌতুকাভিনয় কর্মজীবন | |
মাধ্যম | |
ধরন |
|
বিষয়(সমূহ) |
|
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র |
|
লেবেল |
|
ওয়েবসাইট | www |
ফক্সের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকা হল জারহেড (২০০৫) চলচ্চিত্রে স্টাফ সার্জেন্ট সাইকাস, ড্রিমগার্লস (২০০৬) এ রেকর্ড প্রযোজক কুর্টিস টেলর জুনিয়র, মায়ামি ভাইস (২০০৬) এ গোয়েন্দা রিকার্ডো টুবস, জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড (২০১২) এ নাম ভূমিকা, দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২ (২০১৪) এ সুপারভিলেন ইলেক্ট্রো, এবং বেবি ড্রাইভার (২০১৭) এ গ্যাংস্টার ব্যাট্স / তৃতীয় লিও জেফারসন। এছাড়া ১৯৯০-৯৪ সালে তিনি ইন লিভিং কালার স্কেচ কমেডি অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকায় কাজ করে এবং তার নিজের উপস্থাপনায় টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য জেমি ফক্স শো এ তিনি জেমি কিং জুনিয়র চরিত্রে কাজ করেন।
ফক্স একজন গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। তিনি চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড ২০০ তালিকায় সেরা দশে অবস্থান করেছিল। তার অ্যালবামগুলো হল আনপ্রেডিক্টেবল (২০০৫), ইনটুইশন (২০০৮), বেস্ট নাইট অব মাই লাইফ (২০১০) এবং হলিউড অ্যা স্টোরি অব অ্যা ডজন রোজেস (২০১৫)। আনপ্রডিক্টেবল বিলবোর্ড ২০০ তালিকার শীর্ষে ছিল।
এরিক মার্লোন বিশপ ১৯৬৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর টেক্সাসের টেরেলে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তার পিতা ডেরেল বিশপ। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ডেরেল তার নাম পরিবর্তন করে শহিদ আবদুল্লা রাখেন।[3] তার পিতা স্টকব্রোকার হিসেবে কাজ করতেন। তার মাতা লুই অ্যানেট টেলি ডিক্সন। ফক্সের জন্মের কিছু দিন পর এস্থার মারি (নেলসন) ও মার্ক টেলি তাকে দত্তক নেয়। মারি একজন গৃহকর্মী ও নার্সারিতে কাজ করতেন, এবং টেলি একটি উদ্যানে কাজ করতেন।[4][5][6] তার জন্মদানকারী পিতামাতার সাথে তার খুবই কম যোগাযোগ হত।[7] ফক্স টেরেলের একটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত কোয়ার্টারে বেড়ে ওঠেন, সেখানে তখন বর্ণবাদের ভিত্তিতে পৃথক সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল।[8] ফক্স প্রায়ই তার সফলতার পিছনে তার দাদীর অবদানের কথা স্বীকার করে থাকেন।[5][9]
ফক্স তার এক বান্ধবীর সাথে বাজী ধরে ১৯৮৯ সালে প্রথম একটি কমেডি ক্লাবের ওপেন মাইক নাইটে কৌতুক বলেন। যখন তিনি দেখলেন যে নারী কৌতুকাভিনেতাদের প্রথমে কৌতুক পরিবেশন করতে দেওয়া হয়, তিনি তার নাম পরিবর্তন করে জেমি ফক্স রাখেন, যাতে নামের দ্ব্যর্থতার কারণে কোন পক্ষপাতীত্ব না হয়।[7][10] তিনি কৃষ্ণাঙ্গ কৌতুকাভিনেতা রেড ফক্সের নামানুসারে তার উপনাম নির্বাচন করেন।[10] ফক্স ১৯৯১ সালে ইন লিভিং কালার এ যোগ দেন, যেখানে তার চরিত্রের নাম ছিল ওয়ান্ডা। নামটি রেড ফক্সের বন্ধু ও সহকর্মী লাওয়ান্ডা পেজের নামের সাথে সম্পর্কিত। সিটকমের হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী রোক এ কিছুদিন কাজ করার পর,[11] ফক্স ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তার নিজের উপস্থাপনায় সিটকমের দ্য জেমি ফক্স শো অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকায় কাজ করেন।
ফক্সের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৯২ সালের হাস্যরসাত্মক টয়েজ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। তার প্রথম নাট্যধর্মী ভূমিকা ছিল অলিভাব স্টোনের ১৯৯৯ সালের চলচ্চিত্র অ্যানি গিভেন সানডে। এতে তিনি একজন মার্কিন ফুটবল খেলোয়াড় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি নিজেও একসময় ফুটবল খেলতেন।[5] ২০০১ সালে ফক্স উইল স্মিথের সাথে মাইকেল মানের জীবনীমূলক আলি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[5]
১৯৯৪ সালে ফক্সের প্রথম গানের অ্যালবাম পিপ দিস প্রকাশিত হয়। এটি বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করতে পারে নি। ২০০৩ সালে ফক্স বেঞ্জিনোর মিউজিক ভিডিও উড ইউ এ লিসা রায় ম্যাককয় ও মারিও উইনান্সের সাথে অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করেন।
২০০৪ সালের আগস্টে টম ক্রুজের সাথে তার অভিনীত কোল্যাটেরাল (২০০৪) মুক্তি পায়। এতে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার ম্যাক্স ডোরোচার চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[5] ফক্স একই বছরে রে চার্লসের জীবনীমূলক রে চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। এতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।[5] ফক্স একাডেমি পুরস্কারের ইতিহাসে দ্বিতীয় অভিনেতা যিনি একই বছর দুটি ভিন্ন চলচ্চিত্রের জন্য দুটি অভিনয়ের পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার পূর্বে এই সম্মান লাভ করেছিলেন আল পাচিনো। ২০০৫ সালে ফক্সকে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস-এ যোগদান করার জন্য আহ্বান করা হয়।[12]
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ফক্স তার দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম আনপ্রেডিক্টেবল প্রকাশ করে। প্রথম সপ্তাহে এর ৫৯৮,০০০ কপি বিক্রি হয় ও #২ স্থান অধিকার করে[13] এবং পরের সপ্তাহে ২০০,০০০ বিক্রি হয় ও #১ স্থান অধিকার করে।[14] এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালবামটির ১.৯৮ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে এবং রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা (আরআইএএ) অ্যালবামটিকে ডাবল প্লাটিনাম সার্টিফিকেট প্রদান করে।[15][16] অ্যালবামটি ইউকে অ্যালবাম চার্টে #৯ স্থান অধিকার করেছিল।[17]
তার পূর্বতন সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি জারহেড (২০০৫) চলচ্চিত্রে স্টাফ সার্জেন্ট সাইকাস, ড্রিমগার্লস (২০০৬) এ রেকর্ড প্রযোজক কুর্টিস টেলর জুনিয়র, মায়ামি ভাইস (২০০৬) এ গোয়েন্দা রিকার্ডো টুবস অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রগুলোও ব্যবসাসফল হয় এবং তার হলিউডে তারকা খ্যাতি বৃদ্ধি করে।
২০০৭ সালে তিনি ক্রিস কুপার, জেসন বেটম্যান ও জেনিফার গার্নারদের সাথে মারপিঠ-থ্রিলারধর্মী দ্য কিংডম চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তার নামে হলিউড ওয়াক অফ ফেমে তারকা খচিত হয়। এ প্রসঙ্গে ফক্স বলেন, "এটি আমার জীবনের অন্যতম আনন্দদায়ক দিন ছিল।"[18] ২০০৯ সালে ফক্স নাট্যধর্মী দ্য সোলোইস্ট চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। কয়েক মাস পরে ২০০৯ সালে অক্টোবরে তিনি জেরার্ড বাটলারের সাথে থ্রিলারধর্মী ল অ্যাবাইডিং সিটিজেন চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন।
২০০৮ সালে ফক্সের তৃতীয় অ্যালবাম ইনটুইশন প্রকাশিত হয়, যাতে তার সাথে কানইয়ে ওয়েস্ট, টি.আই., নে-ইয়ো, লিল কিম এবং টি-পেইন কণ্ঠ দেন। টি.আই. সহ অ্যালবামটির প্রথম একক গান "জাস্ট লাইক মি"'র প্রচারণামূলক ভিডিও পরিচালনা করেন ব্রেট র্যাটনার এবং এতে অভিনয় করেন অভিনেত্রী টারাজি পি. হেনসন। টি-পেইন সহ গাওয়া দ্বিতীয় একক গান "ব্লেম ইট" বিলবোর্ড হট ১০০ এর শীর্ষ ৫ একক গানের স্থান অধিকার করে এবং বিলবোর্ড হট আরঅ্যান্ডবি/হিপ-হপ সংস চার্টে শীর্ষ স্থান অধিকার করে। "ব্লেম ইট" গানের মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেন হাইপ উইলিয়ামস এবং এতে ফরেস্ট হুইটেকার, স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, রন হাওয়ার্ড, কুইন্সি জোন্স, ও তার সহ-শিল্পী জেক ইলেনহলদের ক্ষণিক চরিত্রে করতে দেখা যায়।
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৯২ | টয়েজ | বেকার | |
১৯৯৬ | দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট ক্যাট্স অ্যান্ড ডগ্স | এড | |
দ্য গ্রেট হোয়াইট হাইপ | হাসান এল রুকন | ||
১৯৯৭ | বুটি কল | বুঞ্জ | |
১৯৯৮ | দ্য প্লেয়ার্স ক্লাব | ব্লু | |
১৯৯৯ | হেল্ড আপ | মাইকেল | |
অ্যানি গিভেন সানডে | উইলি বিমেন | ||
২০০০ | বেইট | অ্যালভিন স্যান্ডার্স | |
২০০১ | আলি | ড্রিউ বুন্দিনি ব্রাউন | |
২০০৩ | শেড | ল্যারি জেনিংস | |
২০০৪ | ব্রেকিং অল রুলস | কোয়েন্সি ওয়াটসন | |
কোল্যাটেরাল | ম্যাক্স | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য ব্ল্যাক রিল পুরস্কার | |
রে | রে চার্লস | শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার জন্য বাফটা পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা - সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) | |
২০০৫ | স্টিল্থ | লেফটেন্যান্ট হেনরি পার্সেল | |
জারহেড | স্টাফ সার্জেন্ট সাইকাস | ||
২০০৬ | মায়ামি ভাইস | রিকার্ডো টাব্স | |
ড্রিমগার্লস | কুর্টিস টেলর জুনিয়র | ||
২০০৭ | দ্য কিংডম | রোনাল্ড ফ্লুয়েরি | |
২০০৯ | দ্য সোলোইস্ট | নাথানিয়েল আয়ার্স | |
ল অ্যাবাইডিং সিটিজেন | নিক রাইস | ||
২০১০ | ভ্যালেন্টাইন্স ডে | কেলভিন মুর | |
ডিউ ডেট | ডেরিল | ||
আই অ্যাম স্টিল হিয়ার | স্বয়ং | ||
২০১১ | রিও | নিকো | কণ্ঠ ভূমিকা |
হরিবল বসেস | ডিন "মাদারফাকার" জোন্স | ||
২০১২ | জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড | জ্যাঙ্গো ফ্রিম্যান | শ্রেষ্ঠ ডব্লিউটিএফ মুহূর্তের জন্য এমটিভি মুভি পুরস্কার (স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন-এর সাথে যৌথভাবে) |
২০১৩ | হোয়াইট হাউজ ডাউন | প্রেসিডেন্ট জেমস সয়ার | |
২০১৪ | রিও ২ | নিকো | কণ্ঠ ভূমিকা |
দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২ | ম্যাক্স ডিলন / ইলেক্ট্রো | ||
অ্যা মিলিয়ন ওয়েজ টু ডাই ইন দ্য ওয়েস্ট | জ্যাঙ্গো ফ্রিম্যান | অতিথি চরিত্রে | |
হরিবল বসেস ২ | ডিন "মাদারফাকার" জোন্স | ||
অ্যানি | উইলিয়াম স্ট্যাক্স | ||
২০১৭ | স্লিপলেস | ভিনসেন্ট ডাউন্স | |
বেবি ড্রাইভার | ব্যাট্স / লিও | ||
২০১৮ | রবিনহুড | লিটল জন | নির্মাণ-উত্তর |
অল-স্টার উইকেন্ড | মালিক / জেভিয়ার | লেখক ও পরিচালক, নির্মাণাধীন | |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.