![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/61/%25C4%25B0zmir_Buca_Mevlana_heykeli_ve_mesire_alan%25C4%25B1_5.jpg/640px-%25C4%25B0zmir_Buca_Mevlana_heykeli_ve_mesire_alan%25C4%25B1_5.jpg&w=640&q=50)
জালালুদ্দিন রুমি
ইরানী কবি / From Wikipedia, the free encyclopedia
জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (ফার্সি: جلالالدین محمد رومی; ৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩), যিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলভি রুমি নামে তবে শুধু মাত্র রুমি নামেও পরিচিত, ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি[7][8] সুন্নি[9] মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী ছিলেন।[10] রুমির প্রভাব দেশের সীমানা এবং জাতিগত পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়েছে; ফার্সি, তাজাকিস্তানি, তুর্কি, গ্রিক, পশতুন, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা বিগত সাত শতক ধরে বেশ ভালভাবেই তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে যথাযথভাবে সমাদৃত করে আসছে।[11]
মাওলানা জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী مولانا جلالالدین محمد بلخی জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি | |
---|---|
![]() তুরস্কের বুকাতে রুমির ভাস্কর্য | |
উপাধি | মাওলানা, মৌলভী |
জন্ম | (১২০৭-০৯-৩০)৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭ ওয়াখশ অথবা বাল্খ,[1][2][3][4] খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ডিসেম্বর ১৭, ১২৭৩(১২৭৩-১২-১৭) কোনিয়া, রুম সালতানাত |
সমাধি স্থান | কোনিয়া, রুম সালতানাত |
জাতিভুক্ত | ফারসি |
যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ |
অঞ্চল | খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য (বাল্খ: ১২০৭-১২১২, ১২১৩-১২১৭; সমরখন্ডঃ ১২১২-১২১৩)[5][6] রুম সালতানাত(মালাত্তাঃ১২১৭-১২১৯; আঁকশিরঃ১২১৯-১২২২; লারেন্ডেঃ ১২২২-১২২৮; কোনিয়াঃ ১২২৮-১২৭৩)[5] |
শাখা | সুন্নি ইসলাম, সুফিবাদ, তাঁর অনুগামিগণ মৌলভী তরিকা অনুসরণ করেন। |
মূল আগ্রহ | সুফি সাহিত্য, হানাফি আইনশাস্ত্র |
উল্লেখযোগ্য ধারণা | সুফি উপাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ |
লক্ষণীয় কাজ | মসনবি শরীফ, দেওয়ান-এ-শামস্-এ-তাবরিজি, ফিহি মা ফিহি |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন
| |
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন
|
তার কবিতা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ধারায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের “সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি” [12] এবং “সর্বাধিক বিক্রীত কবি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[13][14]
রুমির সাহিত্যকর্ম বেশিরভাগই ফার্সি ভাষায় রচিত হলেও তিনি অনেক স্তবক তুর্কি, আরবি এবং গ্রিক ভাষায়ও[15][16][17] রচনা করেছেন। [18][19] তার লেখা মসনবী-কে ফার্সি ভাষায় লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হয়।[20][21] বৃহত্তর ইরান এবং বিশ্বের ফার্সি ভাষী জনগোষ্ঠী এখনও তার লেখাগুলো মূল ভাষায় ব্যাপকভাবে পড়ে থাকে।[22][23] অনুবাদসমূহও খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে তুরস্ক, আজারবাইজান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ এশিয়ায়।[24] তার কবিতা ফার্সি সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে, শুধু তাই নয় তুর্কি সাহিত্য, উসমানীয় তুর্কি সাহিত্য, আজারবাইজানি সাহিত্য, পাঞ্জাবের কবিতা, হিন্দী সাহিত্য, উর্দু সাহিত্যকেও অনেক প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও অন্যান্য ভাষার সাহিত্য যেমন তুর্কীয়, ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, চাগাতাই, পশতু এবং বাংলা সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে। তার জীবনদর্শনের উপর শিবলী নোমানীর রচিত সাওয়ানেহে মাওলানা রূম অন্যতম।