জার্মান সাম্রাজ্যে ইহুদি নৃগোষ্ঠী
From Wikipedia, the free encyclopedia
জার্মান সাম্রাজ্যে ইহুদি নৃগোষ্ঠী (দ্বিতীয় রাইখ: ১৮৭১ - ১৯১৪) ছিল সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ।[1] ১৮৮০ সালের হিসেবে যেখানে সমগ্র রাইখের (জার্মান সাম্রাজ্যের নাম) জনসংখ্যা ছিল মোট ৪ কোটি ৫২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬১ জন, তার মধ্যে ইহুদি জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৬১২ জন, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার মাত্র ১.২৪%।[2] তবে সংখ্যার হিসেবে জার্মানির জনগণের এক অতি সামান্য বা নগন্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান-গবেষণা, শিল্প ও সঙ্গীতচর্চা, প্রভৃতি জীবনের নানা ক্ষেত্রে তারা তাদের প্রতিভার ও দক্ষতার যথেষ্ট সাক্ষর রেখেছিল। শুধুমাত্র ধর্ম ছাড়া জীবনযাত্রার প্রায় আর কোনও ক্ষেত্রেই তাদের অন্য সাধারণ জার্মান নাগরিকদের সাথে তেমন কোনও পার্থক্য পরিলক্ষিত হত না।[3] এবং বামপন্থা, যুক্তিবাদ, উদারনৈতিকতা, প্রভৃতির চর্চার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও দ্রুত শিল্পায়নের ফলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা যত বাড়ছিল, সাধারণভাবে সমাজজীবনে খ্রিস্টান জার্মানদের সাথে ইহুদিদের ধর্মীয় প্রভেদের গুরুত্বও ক্রমশ কমে আসছিল। এরই ফলস্বরূপ আন্তর্ধর্মীয় বিবাহর সংখ্যাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল।[1] ইহুদিদের মধ্যেও সেইসময় জার্মান জাতীয়তাবোধের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মোটের উপর জার্মানির বহু-সাংস্কৃতিক সমাজজীবনের অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, যেমন ক্যাথলিক, পোল, ফরাসি, ডেন বা সর্বদের মতো ইহুদিরাও হয়ে উঠেছিল জার্মান সমাজজীবনেরই এক অংশ। রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের সর্বত্র তাদের সমান আইনি অধিকারও স্বীকৃত হয়েছিল।[4] আর অর্থনৈতিক দিক থেকে তাদের কারুর কারুর সাফল্য ছিল রীতিমতো ঈর্ষনীয়।