ছিগাপ্পু রোজাক্কাল (তামিল: சிகப்பு ரோஜாக்கள், অনুবাদ 'লাল গোলাপগুচ্ছ') ১৯৭৮ সালের একটি তামিল চলচ্চিত্র যেখানে কমল হাসান এবং শ্রীদেবী মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন পি. ভারতীরাজা যিনি কাহিনীও লেখেন, যদিও সংলাপ লিখেছিলেন কে. ভাগ্যরাজ এবং এ চলচ্চিত্রে ইলাইয়ারাজার সুর করা জনপ্রিয় গান রয়েছে ।[1][2][3] ১৯৮০ সালে 'রেড রোজ' নামে এই চলচ্চিত্রটির হিন্দি সংস্করণ বের হয় যেখানে রাজেশ খান্না এবং পুনম ধিল্লোন কমল ও শ্রীদেবীর চরিত্র পুনরায় ফুটিয়ে তোলেন।

দ্রুত তথ্য ছিগাপ্পু রোজাক্কাল, পরিচালক ...
ছিগাপ্পু রোজাক্কাল
Thumb
পোস্টার
পরিচালকপি. ভারতীরাজা
প্রযোজকজে. পদ্মাবতী
রচয়িতাপি. ভারতীরাজা
কে. ভাগ্যরাজ (সংলাপ)
শ্রেষ্ঠাংশেকমল হাসান
শ্রীদেবী
গৌন্দমণি
ভাদিভুক্কারাছি
কে. ভাগ্যরাজ
সুরকারইলাইয়ারাজা
চিত্রগ্রাহকপি. এস. নিবাস
সম্পাদকপি. ভাস্করণ
প্রযোজনা
কোম্পানি
কে. আর. জি. প্রোডাকশন্স
পরিবেশককে. আর. জি. প্রোডাকশন্স
মুক্তি২৮ অক্টোবর ১৯৭৮
দেশভারত
ভাষাতামিল
বন্ধ

কমল হাসনের করা নারীবিদ্বেষী চরিত্র 'দিলীপ' চরিত্রটি অনেক খ্যাতি পেয়েছিলো এবং তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার - তামিল পেয়েছিলেন, অপরদিকে পি. ভারতীরাজা পেয়েছিলেন সেরা তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণীতে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

কাহিনীসংক্ষেপ

দিলীপ (কমল হাসান) একজন সফল শিল্পপতি। দিলীপের একটি ঋণাত্মক দিক রয়েছে সেটা হল সে একজন মনোবিকারগ্রস্ত নারীবিদ্বেষী, সে সুন্দরী নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের সঙ্গে নিজের বাসায় দৈহিক মিলন করে এবং এরপর হত্যা করে, এ সকল কার্যক্রম সে নিজেই গোপনে ভিডিও করে রাখার ব্যবস্থা করে এবং তার সৎ পিতার সঙ্গে ভিডিওগুলো দেখে, তার সৎ পিতাও তার মতই একজন মানসিকরোগী নারীবিদ্বেষী যে একদিন তার স্ত্রীকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে যৌনমিলন করার সময় দেখেফেলে এবং পরে তাকে মেরে ফেলে। দিলীপের হত্যাকৃত নারীদেরকে তার বাড়ীর সামনেই মাটিতে পুঁতা হয়।

দিলীপ একদিন শারদা (শ্রীদেবী) নামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হয় যে একটি বিপণী বিতানের কর্মচারী। দিলীপ শারদার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং শারদা একজন রক্ষণশীল মহিলা হওয়ার কারণে দিলীপকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। দিলীপ শারদার সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায় এবং তাদের জীবন সামনে এগুতে থাকে। হঠাৎ শারদা একদিন একটি কক্ষের দেওয়ালে লেখা খুঁজে পায় যেখানে তার স্বামীর অতীত সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা আছে, সে জানতে পারে যে দিলীপ শৈশব কালে গরীব এবং গ্রাম্য ছেলে ছিল, তার মা তাকে দেখতে পারতোনা, একদিন সে একটি কামুক মেয়ের পাল্লায় পড়ে এবং মেয়েটি তাকে ঘরে নিয়ে তার সামনে তার কাঁচুলি খুলে বক্ষবন্ধনী দেখায় আর তার শরীর স্পর্শের আহ্বান জানায়, দিলীপ অস্বীকৃতি জানায় আর মেয়েটি তাকে জড়িয়ে ধরে, মেয়েটির বাবা-মা ঘটনাস্থলে এসে পড়ে, মেয়েটি দিলীপের দোষ দিয়ে তাকে মার খাওয়ায়, দিলীপ গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় এবং শহরে পাড়ি জমায় এবং এভাবেই বর্তমানে সে নারীদেরকে ঘৃণা করে। শারদা তাদের বসবাসের দালানটির নীচতলার একটি কক্ষের দরজা খুলে দিলীপের পালক বাবার সামনে পড়ে যায়, সে দিলীপের যৌনমিলনের ভিডিও দেখছিল, শারদা তার ঐ কক্ষের দরজা আটকিয়ে দেয় এবং পালানোর চেষ্টা করে তবে দিলীপ সঙ্গে সঙ্গে তার কার্যালয় থেকে এসে পড়ে, তবে সে তাকে কিছু বুঝতে দেয়না। দিলীপ খেয়াল করে যে তার পিতার কক্ষ আটকানো, সে দরজা খোলার পর জানতে পারে শারদা আটকিয়েছে। দিলীপ শারদাকে ধরার চেষ্টা করতে থাকে, শারদা চালাকি করে বাইরে আসতে সক্ষম হয়। দিলীপ শারদার পিছু নেয়, তবে তাকে ধরতে ব্যর্থ হয় আর পুলিশ দিলীপকে গ্রেফতার করে ফেলে, এরপর পুলিশ তার মানসিক রোগের চিকিৎসা করানোর পরে কারাগারে পুরে রাখে।

চরিত্র

  • দিলীপ - কমল হাসান
  • শারদা - শ্রীদেবী
  • দিলীপের কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক - গৌন্দমণি
  • দিলীপের কার্যালয় করণিক চিত্রা - ভাদিভুক্কারাছি
  • রেস্তোরাঁর পরিচারক - কে. ভাগ্যরাজ

সঙ্গীত

এই চলচ্চিত্রে কেবল মাত্র দুটি গান আছে একটি 'ইন্দা মিনমিনিক্কু' যেটি বসুদেব এবং এস. জনকীর গাওয়া, গীতিকার কন্নদাস এবং আরেকটি 'নিনাইভো ওরু পারাভাই' যেটি অভিনেতা কমল হাসান নিজে এবং এস. জনকী গেয়েছেন, এটির গীতিকার বালি। দুটো গানেরই সুরকার ইলাইয়ারাজা[4][5][6]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.