![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/55/Pesto_ingredients_-_blurred.jpg/640px-Pesto_ingredients_-_blurred.jpg&w=640&q=50)
চালশে
From Wikipedia, the free encyclopedia
চালশে বা চালিশা (ইংরেজি: Presbyopia) হলো মানব চোখের বয়োবৃদ্ধির কারণে উপযোজন ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে কাছের বস্তু দেখতে অসুবিধা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি প্রেজবিয়োপিয়া নামে পরিচিত।[4] সাধারণত বয়স চল্লিশ পার হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। ছোট অক্ষর পড়তে অসুবিধা হয় তবে অপেক্ষাকৃত একটু দূরে ধরলে কিছুটা ভালো দেখা যায়। তাছাড়া মাথাব্যথা ও চোখে চাপ অনুভূত হয়।[4] ব্যক্তিভেদে সমস্যার প্রকটতা কমবেশি হতে পারে।[1] চালশের সাথে অন্যান্য দৃষ্টি ত্রুটিগুলোও যুগপৎভাবে থাকতে পারে।[1] এটি হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টির মতোই যেখানে কাছের জিনিস দেখতে ঝাপসা লাগে, তবে হাইপারমেট্রোপিয়া অল্পবয়সিদের হয়।
চালশে, চালিশা | |
---|---|
প্রতিশব্দ | বয়স্কদের চোখের রোগ[1] |
![]() | |
চালশে ধরা একজন ব্যক্তি ছোট অক্ষরের উপাদান তালিকা সহজে পড়তে পারে না। | |
বিশেষত্ব | দৃষ্টিমিতি, চক্ষুবিজ্ঞান |
লক্ষণ | ছোট অক্ষর পড়তে সমস্যা, পড়ার বই দূরে ধরতে হয়, মাথাব্যথা, চোখে চাপ অনুভূত হওয়া।[1] |
রোগের সূত্রপাত | সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরে হয়।[1] |
কারণ | বয়সজনিত কারণে চোখের লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়।[1] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | চক্ষু পরীক্ষা[1] |
চিকিৎসা | চশমা,[1] কন্ট্যাক্ট লেন্স[2] |
সংঘটনের হার | বর্তমানে ২৫%; [3] প্রায় প্রত্যেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকে।[1] |
চালশে হলো বয়োবৃদ্ধিজনিত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।[4] অক্ষিকাচ বা চোখের লেন্স ( স্থিতিস্থাপকতার হ্রাস ও কাঠিন্যের বৃদ্ধি) ও সিলিয়ারি পেশির বয়সজনিত পরিবর্তনের ফলে নিকটবর্তী বস্তু দেখার সময় বস্তু থেকে নির্গত আলোক রশ্মি রেটিনার উপর পতিত না হয়ে পশ্চাতে ফোকাস হয়।[4] এটি চোখের প্রতিসরণজনিত ত্রুটি, চোখের এরূপ অন্যান্য প্রতিসরণজনিত ত্রুটি হলো নিকটদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি ও বিষমদৃষ্টি।[4] চোখের পরীক্ষা করে এই ত্রুটি নির্ণয় করা যায়।[4]
চশমা, কন্ট্যাক্ট লেন্স, মাল্টিফোক্যাল ইন্ট্রাঅকুলার লেন্স বা ল্যাসিক সার্জারি করে এই ত্রুটি দূর করা সম্ভব।[2][5][4] চালশে ত্রুটি দূর করতে চশমায় উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।[4]
চল্লিশ বছর বয়সের পর প্রেজবিয়োপিয়ার ঝুঁকি বাড়ে, প্রায় সব লোকই কিছু মাত্রায় এই সমস্যায় ভুগে থাকে। এই কারণে এই রোগকে চালশে বা চালিশা বলা হয়।[1] বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রায় ২৫% (প্রায় ১৮০ কোটি ) মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত।[3]