ঘূর্ণিঝড় গুলাব-শাহীন
২০২১-এ উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রবল ঘূর্ণিঝড় শাহীন ও ঘূর্ণিঝড় গুলাব ছিল দুটি পরস্পর সম্পর্কিত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। ঝড়টি ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে গুলাব হিসাবে তান্ডব চালানোর পর এটি ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাহীন নামে ক্ষয়ক্ষতি করেছে।[1][2] গুলাব হলো ২০২১ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের তৃতীয় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ও তৃতীয় নামধারী ঝড়, একই সঙ্গে আরব সাগরে শাহীন হিসাবে পুনর্গঠনে পর মৌসুমের নামধারী চতুর্থ ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি নিম্নচাপ অঞ্চলে ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে। ঘূর্ণনটি দ্রুত সংগঠিত হয়, সঙ্গে একই দিনে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) এই ঘূর্ণনটি একটি নিম্নচাপে উন্নীত করে। পরের দিন ঘূর্ণনটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং আইএমডি এটিকে গুলাব নাম দেয়। ২৮ সেপ্টেম্বর অবশিষ্টাংশে অধঃপতনের পূর্বে ২৬ সেপ্টেম্বর গুলাব ভারতে আঘাত হানে ও স্থলভাগে ক্ষয়ক্ষতি করে। পরের দিন খুব দ্রুত পুনরায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পূর্বে ২৯ সেপ্টেম্বর আরব সাগরে আবির্ভূত হয়ে ঘূর্ণনটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অক্টোবরের প্রথম দিকে ঘূর্ণনটি পুনরায় একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং আইএমডি ঝড়টিকে শাহীন নাম দেয়। নাম পরিবর্তন করার পর ওমান উপসাগরে প্রবেশের সাথে সাথে ঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ১ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১ (গুলাব) সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১ (শাহীন) |
বিলুপ্তি | সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ (গুলাব) অক্টোবর ৩, ২০২১ (শাহীন) |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: গুলাব: ৭৫ কিমি/ঘণ্টা (৪৫ mph) শাহীন: ১১০ কিমি/ঘণ্টা (৭০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: গুলাব: ৮৫ কিমি/ঘণ্টা (৫৯ mph) শাহীন: ১৩০ কিমি/ঘণ্টা (৮০ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | গুলাব: ৯৯২ hPa (mbar); ২৯.২৯ inHg শাহীন: ৯৮৬ hPa (mbar); ২৯.১২ inHg |
হতাহত | সর্বমোট ২৬ |
ক্ষয়ক্ষতি | অজানা |
প্রভাবিত অঞ্চল | ভারত (অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা), ইরান, পাকিস্তান (বালুচিস্তান, সিন্ধ), ওমান |
২০২১ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের অংশ | |
গুলাব নামটি পাকিস্তান কর্তৃক প্রস্তাবিত, এটি বাংলা "গোলাপ" শব্দের হিন্দি/উর্দু প্রতিশব্দ।[3] শাহীন নামটি কাতার কর্তৃক প্রস্তাবিত, আরবি ভাষায় যার অর্থ "বাজপাখি"।[4] এই ঘূর্ণনটি মোট জীবনকালে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভারী প্রলয় ও বাতাস এনেছিল, যার ফলে কমপক্ষে ১৫ জন মারা যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পানি-সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক এবং বাতাসের ঝাপটায় অনেক বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে গিয়েছে, যার ফলে বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতে শত শত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |