ঘূর্ণিঝড় আম্পান
উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুপার ঘূর্ণিঝড় / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুপার সাইক্লোন আম্পান বা আমফান একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ভারতের পূর্বাংশে এবং বাংলাদেশে আঘাত হানে।[1][2] বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ছিল।[3] এটি এমনি একটি বিরল ঘূর্ণিঝড় ছিল যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী থেকে রংপুর পর্যন্ত তীব্র ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ঝরিয়েছে ।
সুপার ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ৫ (স্যাফির-সিম্পসন স্কেল) | |
গঠন | ১৬ মে ২০২০ |
বিলুপ্তি | ২১ মে ২০২০ |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ২৪০ কিমি/ঘণ্টা (১৫০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ২৮০ কিমি/ঘণ্টা (১৭৫ mph) Gusts: ৩৩৫ কিমি/ঘণ্টা (২০৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯২০ hPa (mbar); ২৭.১৭ inHg |
হতাহত | ১২৮ |
ক্ষয়ক্ষতি | ≥ ১৩৩৫০কোটি টাকা |
প্রভাবিত অঞ্চল | শ্রীলঙ্কা, ভারত, (ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ), বাংলাদেশ, ভুটান |
২০২০ ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ঘূর্ণিঝড় মরসুমের অংশ | |
এ শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটিই প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়।[4][5][6] ২০০৭ মরসুমের সিডরের পর থেকে গঙ্গা বদ্বী্পে আঘাত হানার এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়।[7][8] আম্পানে ১,৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে রেকর্ড করা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড়ও আম্পান।[9]
২০২০ সালের প্রথম ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ঘূর্ণিঝড় মরসুমের ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ভারতীয় মহাসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘটে। ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে, তবে স্থলভাগে তা ধীরে ধীরে শক্তি হারায়।[10] উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়।[11][12]
এর আগে বঙ্গোপসাগরের দুইটি ঘূর্ণিঝড়[13][14] আম্পানের তীব্রতার কাছাকাছি যেতে পেরেছিল। তার মধ্যে একটি আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়, অন্যটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।[15]