গ্রেস কটেজ, কৃষ্ণনগর
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গ্রেস কটেজ একটি সরকারি ভবন ও ঐতিহ্যবাহী স্থান।[1] এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের চাঁদ সড়কের পাশে বৌবাজার এলাকার অবস্থিত। ভবনটি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত। এই ভবন হতে নজরুল বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের জন্য বেশকিছু উল্লেখযোগ্য সৃষ্ঠি করেছিলেন। স্থাপনাটি মূলত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কমপ্লেক্সের অন্তর্গত।[2][3] ২০১২ হতে গ্রেস কটেজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য হেরিটেজ কমিশন কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত।[3]
গ্রেস কটেজ | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | পাকা দালান |
অবস্থান | কৃষ্ণনগর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৩°২৪′১০.৭৫″ উত্তর ৮৮°২৯′২৬.১৫″ পূর্ব |
বর্তমান দায়িত্ব | সুজন বাসর |
উদ্বোধন | ১৯২৪ |
স্বত্বাধিকারী | পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি |
অন্যান্য তথ্য | |
গাড়ি রাখার স্থান | হ্যাঁ |
কাজী নজরুল ইসলাম তার বন্ধু হেমন্ত সরকারের আমন্ত্রণে কৃষ্ণনগরে আগমনের পর ১৯২৬ সালের ৩ জানুয়ারি হতে শহরের গোলাপট্টিতে হেমন্তের বাড়িতে অবস্থান করেন। একই বছর নজরুল গ্রেস কটেজ ভাড়া নেন। এখানে তিনি ১৯২৬ সালের জুন হতে ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবারসহ অবস্থান করেন।[4][5] এবাড়িতে তার সন্তান বুলবুলের জন্ম হয় এবং তার মা জাহেদা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।[6][7]
ব্রিটিশ আমল হতে গ্রেস কটেজ কৃষ্ণনগরের একটি বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের অংশ। একতলা ভবনটি কমপ্লেক্সের ভিতরে শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের এক কোনায় অবস্থিত।[3] সংস্কারের পর, ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন ভবনটিকে রাজ্যের ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।[3] এখানে একটি পাঠাগার আছে। 'সুজন বাসর' নামক একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা বর্তমানে কটেজটির দেখভাল করে।[5]
গ্রেস কটেজ বাংলা সংস্কৃতির জন্য উল্লেখযোগ্য এবং কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য ভবন।[5] নজরুল দারিদ্র, ফণী-মনসা, সাম্যবাদী, পূবের হাওয়া'র মত বিখ্যাত কবিতাসমূহ, কাব্যগ্রন্থ এবং মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস এখানে থাকাকালীন রচনা করেন।[2][5] ‘মৃত্যুক্ষুধা’য় এই বাড়ি এবং কৃষ্ণনগরের পরিচয় আছে। এই বাড়িতে নজরুলের হাতে[8] বাংলা ভাষায় প্রথম গজল সৃষ্টি হয়।[9][10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.