গুরু গোবিন্দ সিং
From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরু গোবিন্দ সিং (পাঞ্জাবি: ਗੁਰੂ ਗੋਬਿੰਦ ਸਿੰਘ, আ-ধ্ব-ব: [ɡʊɾu ɡobɪn̪d̪ sɪ́ŋɡ]) (২২ ডিসেম্বর, ১৬৬৬ - ৭ অক্টোবর, ১৭০৮) ছিলেন শিখধর্মের দশম গুরু। তিনি বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গুরু গোবিন্দ ১৬৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মাত্র নয় বছর বয়সে পিতা গুরু তেগ বাহাদুরের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন শিখ জাতির নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। শিখ সমাজে গুরু গোবিন্দ হলেন আদর্শ পৌরুষের প্রতীক। তিনি তার উচ্চশিক্ষা, দক্ষ অশ্বচালনা, সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্যায় পটুতা ও চারিত্র্য দাক্ষিণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ।[3]
গুরু গোবিন্দ সিং | |
---|---|
অন্য নাম | দশম নানক[1] |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | গোবিন্দ রাই ৫ জানুয়ারি, ১৬৬৬ |
মৃত্যু | ৭ অক্টোবর ১৭০৮(1708-10-07) (বয়স ৪১) |
মৃত্যুর কারণ | ক্ষত রক্ত |
ধর্ম | শিখধর্ম |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাতা জিতো, মাতা সুন্দরী ও মাতা সাহিব দেবন |
সন্তান | অজিত সিং জুঝর সিং জোরাওয়ার সিং ফতেহ সিং |
পিতামাতা | গুরু তেগ বাহাদুর, মাতা গুজরি |
যে জন্য পরিচিত | খালসার প্রতিষ্ঠাতা জাপ সাহিব, চণ্ডী দি বর, তব-প্রসাদ সবাইয়ে, জাফরনামা, বাচিত্তর নাটক, অকাল উসতৎ, চৌপাই রচয়িতা |
অন্য নাম | দশম নানক[2] |
ধর্মীয় জীবন | |
পূর্বসূরী | গুরু তেগ বাহাদুর |
উত্তরসূরী | গুরু গ্রন্থ সাহিব |
শিখদের আদর্শ ও দৈনন্দিন জীবনে গুরু গোবিন্দ সিংহের জীবন ও শিক্ষার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তার খালসা প্রবর্তন শিখ ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি মুঘল ও শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলের মুঘল সহকারী রাজাদের সঙ্গে কুড়িটি আত গোবিন্দই শেষ মানব শিখ গুরু। ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর তিনি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের পরবর্তী এবং চিরস্থায়ী গুরু ঘোষণা করেন। তার চার ছেলে ছিল: অজিত সিং, জুহর সিং, জোরাওয়ার সিং, ফতেহ সিং।