গীতা বালি (১৯৩০ – ২১শে জানুয়ারি ১৯৬৫) হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করা একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন। অভিনয়ের জন্য তিনি বলিউডের অন্যতম স্বতঃস্ফূর্ত এবং অভিব্যক্তিক তারকা হিসাবে বিবেচিত হন।[2]
গীতা বালি | |
---|---|
জন্ম | হরিকীর্তন কৌর ১৯৩০[1] |
মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি ১৯৬৫ ৩৪–৩৫)[2] | (বয়স
কর্মজীবন | ১৯৫০–৬৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | শাম্মী কাপুর (বি. ১৯৫৫; মৃ. ১৯৬৫) |
সন্তান | ২ |
আত্মীয় | আদিত্য রাজ কাপুর |
প্রারম্ভিক জীবন
গীতা বালি ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর হরিকীর্তন কৌর নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[1] যখন তিনি চলচ্চিত্র জগত থেকে অভিনয়ের জন্য বেশি প্রস্তাব পেতে শুরু করেছিলেন তখন তাঁর পরিবারসহ ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বই চলে এসেছিলেন।
কর্মজীবন
গীতা বালি মাত্র ১২ বছর বয়সে একজন শিশু অভিনেত্রী হিসাবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন; তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রটির নাম ছিল দ্য কবলার। তিনি ১৯৪৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বদনামী নামক চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক করেছিলেন।[3]
গীতা বালি ১৯৫০-এর দশকে অভিনয় জগতের একজন তারকা হয়ে উঠেছিলেন। তিনি এর পূর্বে ১৯৫০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাওরে নয়নএ (১৯৫০) তাঁর ভাবী দেবর রাজ কাপুরের সাথে এবং আনন্দ মঠে তাঁর ভাবী শ্বশুর পৃথ্বীরাজ কাপুরের সাথেও কাজ করেছিলেন। কাপুর পরিবারে অন্যান্য অভিনেত্রীর বিয়ের পরে চলচ্চিত্র ছেড়ে দেওয়ার ধারার বিপরীতে গিয়ে, গীতা বালি তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অভিনয় করে গিয়েছেন। তাঁর শেষ চলচ্চিত্রটি ১৯৬৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল; যার নাম ছিল জব সে তুমহে দেখা হ্যায়। তিনি তাঁর অভিনয়ের প্রায় ১৪ বছরের দীর্ঘ জীবনে প্রায় ৭০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে গেছেন।[2] সুরিন্দর কাপুরকে একজন প্রযোজক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে গীতা বালি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন।[4][5]
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৪৭ সালের পূর্বে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে পাঞ্জাবের অমৃতসরে থাকতেন। তাঁর বাবা কর্তার সিং একজন দার্শনিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন শিখ পণ্ডিত এবং কীর্তন (শিখ ভক্তি সংগীত) গায়ক। তাঁর নানা তখত সিং (১৮৭০ – ১৯৩৭) শিখ কন্যা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন; যেটি মেয়েদের জন্য একটি আবাসিক বিদ্যালয় ছিল এবং এটিই ১৯০৪ সালে ফিরোজপুরে প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্কুল ছিল। তাঁর বড় ভাই দিগ্বিজয় সিং বালি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৫২ সালে তাঁর এবং অশোক কুমার অভিনীত রাগ রঙ চলচ্চিত্রটি তাঁর ভাই-ই পরিচালনা করেছিলেন। পিতা-মাতা তাঁদের কন্যা, হরিকীর্তন (গীতা বালি) এবং হরদর্শনকে শাস্ত্রীয় সংগীত, নৃত্য, ঘোড়ায় চড়া এবং গাটকা তলোয়ার খেলা শেখার জন্য উৎসাহিত করতেন। রক্ষণশীল শিখরা সামাজিকভাবে তাঁদের পরিবারকে বর্জন করেছিল, কারণ তারা মেয়েদের প্রকাশ্যে অভিনয় করা পছন্দ করেনি এবং তারা প্রেক্ষাগৃহগুলোতে পিকেটিং করেছিল।[6]
১৯৫৫ সালের ২৩শে আগস্ট তারিখে গীতা শাম্মি কাপুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন; তাঁর সাথে তিনি কফি হাউজ চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন।[7] তাঁদের দুটি সন্তান ছিল, একটি ছেলে (আদিত্য রাজ কাপুর) এবং একটি মেয়ে (কাঞ্চন)।[2]
১৯৬৫ সালের ২১শে জানুয়ারি তারিখে রাজিন্দর সিং বেদির উপন্যাস এক চাদর মইলি সি অবলম্বনে রানো নামে একটি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি প্রচণ্ড শীতে মারা গিয়েছিলেন। তিনি উক্ত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছিলেন। বালির অকাল মৃত্যুতে বিধ্বস্ত বেদী তাঁর এই প্রকল্পটি ত্যাগ করেন। তিনি পরে লিখেছিলেন যে, তিনি তাঁর জ্বলন্ত চিতার আগুনে এক চাদর মইলি সি উপন্যাসটি রেখেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.