![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/48/LocationAntarctica.png/640px-LocationAntarctica.png&w=640&q=50)
কুমেরু জীবভৌগোলিক অঞ্চল
From Wikipedia, the free encyclopedia
কুমেরু বা অ্যান্টার্কটিক জীবভৌগোলিক অঞ্চল পৃথিবীর আটটি জীবভৌগোলিক অঞ্চলের অন্যতম। এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ এবং দক্ষিণ আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ এতটাই ঠাণ্ডা যে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এখানে মাত্র ২ ধরনের সংবাহী উদ্ভিদ (ভাস্কুলার উদ্ভিদ) জন্মাতে পেরেছে। বর্তমানে এখানকার উদ্ভিদকূলের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৫০ ধরনের লাইকেন, ১০০ ধরনের মস, ২৫-৩০ ধরনের লিভারওয়ার্ট এবং প্রায় ৭০০ ধরনের স্থলজ ও জলজ শৈবাল প্রজাতি, যারা উন্মুক্ত পাথর ও মহাদেশীয় উপকূলের ভূমিতে জন্মায়। অ্যান্টার্কটিকার দুটি পুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতি, অ্যান্টার্কটিক হেয়ার গ্রাস (Deschampsia antarctica) ও অ্যান্টার্কটিক পার্লওয়ার্ট (Colobanthus quitensis) প্রধানত অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া পেঙ্গুইন, সিল, তিমিসহ প্রাণিবৈচিত্র্যের এক অনন্য আধার এই অ্যান্টার্কটিকা।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/48/LocationAntarctica.png/640px-LocationAntarctica.png)
কুমেরু জীবভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টার্কটিক দ্বীপগুচ্ছ, যেমন- দক্ষিণ জর্জিয়া ও দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, বোভেত দ্বীপ, ক্রোজেট দ্বীপপুঞ্জ, প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ, কার্গুয়েলেন দ্বীপপুঞ্জ এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ। অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ডের চেয়ে এসব দ্বীপের জলবায়ু কিছুটা মৃদু, তাই বেশিরভাগ প্রজাতির তুন্দ্রা গাছ এখানেই জন্মে। তবে এখানকার অতিরিক্ত ঝোড়ো আবহাওয়া ও ঠাণ্ডার তীব্রতা বড় ধরনের বৃক্ষ জন্মানোর পক্ষে অনুকূল নয়। দীর্ঘ শীতকালে এখানে বরফ জমা হয়ে থাকে। সূর্যের আলো তির্যকভাবে পড়ায় গ্রীষ্মের উপস্থিতি বোঝা দুষ্কর। বার্ষিক বৃষ্টিপাত খুবই কম, বরং তুষারঝড়ের প্রকোপ দেখা যায়।
দক্ষিণ মহাসাগরের বাস্তুতন্ত্রের প্রধান নিয়ামক হলো অ্যান্টার্কটিক ক্রিল যা তিমি, সিল, লিওপার্ড সিল, লোমশ সিল, কাঁকড়াখেকো সীল, স্কুইড, আইসফিশ, পেঙ্গুইন, আলবাট্রসসহ আরও অনেক পাখির গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। এই মহাসাগরে প্রচুর ফাইটোপ্লাঙ্কটন (ভাসমান ক্ষুদ্র উদ্ভিদ) বিদ্যমান, এর কারণ বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের চারপাশের পানির স্রোত সমুদ্রের গভীর থেকে পুষ্টি উপাদান ওপরের স্তরে (ফোটিক জোন) নিয়ে আসে যেখানে সূর্যের আলো পড়ে।
২০১৪ সালের ২০ আগস্ট বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার বরফের ৮০০ মিটার (২,৬০০ ফুট) নিচেও আণুবীক্ষণিক জীবের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন।[1][2]