কুবের
হিন্দু ধর্মের ধনৈশ্বর্যের দেবতা এবং হিন্দু পুরাণ অনুসারে অর্ধদৈব যক্ষদের ঈশ্বরসম রাজা। / From Wikipedia, the free encyclopedia
হিন্দুধর্মে কুবের (সংস্কৃত: कुबेर; অপর নাম কুবেরন) হলেন ধনসম্পদের দেবতা ও যক্ষ নামক উপদেবতাদের রাজা।[1] তিনি উত্তর দিকের রক্ষক (দিকপাল) ও পৃথিবীর অন্যতম রক্ষাকর্তা (লোকপাল) দেবতা হিসেবে পূজিত। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে কুবেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেবতার অধিপতি ও বিশ্বের ধনাধ্যক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শাস্ত্রীয় বর্ণনা অনুযায়ী, কুবেরের উদর স্ফীত, দেহ নানা অলংকারে শোভিত এবং হাতে একটি রত্ন-পেটিকা ও গদা দেখা যায়।
কুবের | |
---|---|
সম্পদের দেবতা | |
লোকপাল গোষ্ঠীর সদস্য | |
দেবনাগরী | कुबेर |
সংস্কৃত লিপ্যন্তর | Kubera |
অন্তর্ভুক্তি | যক্ষ, দেব, লোকপাল |
আবাস | লঙ্কা ও পরে অলকা |
মন্ত্র | ওঁ শং কুবেরায় নমঃ |
অস্ত্র | গদা |
বাহন | বন্য শূকর, বেজি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা |
|
সঙ্গী | ভদ্রা |
সন্তান | নলকুবের, মণিভদ্র, ময়ূরজা ও মীনাক্ষী |
বেদে কুবেরকে অশুভ আত্মাদের অধিপতি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে রামায়ণ, মহাভারত ও পৌরাণিক সাহিত্যেই তিনি প্রথম দেবতার মর্যাদা লাভ করেন। পৌরাণিক উপাখ্যান অনুযায়ী, লঙ্কার রাজা কুবের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা রাবণ কর্তৃক রাজ্যচ্যূত হয়ে হিমালয়ের অলকাপুরীতে চলে আসেন। অলকাপুরীর গৌরব ও ঐশ্বর্যের বর্ণনা অনেক শাস্ত্রেই পাওয়া যায়।
বৌদ্ধ ও জৈনরাও কুবেরকে তাদের দেবমণ্ডলীর অন্তর্গত করে নিয়েছিল। বৌদ্ধধর্মে তিনি বৈশ্রবণ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মে ঋষি বিশ্রবার পুত্র হিসেবে তিনি বৈশ্রবণ নামে পরিচিত। বৌদ্ধরা কুবের ও পঞ্চিককে একই দেবতা মনে করে। অন্যদিকে জৈনধর্মে তিনি সর্বানুভূতি নামে পরিচিত।