কুতুয
From Wikipedia, the free encyclopedia
সাইফুদ্দীন কুতুয (আরবি: سيف الدين قطز; মৃত্যু: ২৪শে অক্টোবর ১২৬০; পূর্ণনাম- মালিকুল মুযাফফর সাইফুদ্দীন কুতুয;[1] আরবি: الملك المظفر سيف الدين قطز) ছিলেন একজন মুসলিম সামরিক নেতা এবং মিশরে তৃতীয় অথবা চতুর্থ[lower-alpha 1] মামলুক সুলতান। তিনি জাতিগতভাবে তুর্কীয় ছিলেন।[3][4][5] তিনি ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২৬০ খ্রিস্টাব্দের কিছুকাল, মূলতঃ একবছরেরও কম সময় সুলতান হিসেবে রাজত্ব করেছেন। তবে তিনি আসলে দে ফাক্তো শাসক হিসেবে দুই দশকের মত সময় রাজ্য সামলিয়েছেন।
সাইফুদ্দীন কুতুয | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালিকুল মুযাফফর | |||||
মিশরের সুলতান | |||||
রাজত্ব | নভেম্বর ১২৫৯ – ২৪শে অক্টোবর ১২৬০ | ||||
পূর্বসূরি | মানসুর আলী | ||||
উত্তরসূরি | বাইবার্স | ||||
সিরিয়ার সুলতান | |||||
রাজত্ব | সেপ্টেম্বর ১২৬০ – ২৪শে অক্টোবর ১২৬০ | ||||
উত্তরসূরি | বাইবার্স | ||||
জন্ম | ২রা নভেম্বর ১২২১ খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য | ||||
মৃত্যু | ২৪ অক্টোবর ১২৬০(1260-10-24) (বয়স ৩৮) সালেহিয়া, মামলুক সালতানাত | ||||
সমাধি | |||||
| |||||
রাজবংশ | খোয়ারেজমীয় | ||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
মিশরে তাকে দাস হিসেবে বিক্রয় করা হয়েছিল। অথচ খুব দ্রুতই তিনি সুলতানের পিছনে দাঁড়িয়ে মূল শক্তি হিসেবে রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন। সপ্তম ক্রুসেডারদেরকে পরাজিত করার পিছনে তিনি মূল কারণ ছিলেন। ক্রুসেডাররা ১২৪৯-৫০ খ্রিস্টাব্দে মিশর আক্রমণ করেছিল। ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গোলরা মিশর ধ্বংস করার হুমকি দিলে তিনি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৫ বছর বয়সী সুলতান মানসুর আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ততদিনে সিরিয়া ও বাগদাদের মুসলিম শক্তিশালী সালতানাতগুলোকে মঙ্গোলরা পরাজিত করে ফেলেছিল। এমনকি বাগদাদের খেলাফতকেও পদানত করেছিল। যার ফলে মিশরের ইসলামি আমিরাত মুসলিম ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। যার ফলে মঙ্গোলরা মিশরকে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। কুতুয মিশরের দীর্ঘদিনের শত্রু ক্রুসেডারদের সাথে একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি করেন। তারপর তিনি মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি মামলুক সৈন্যবাহিনী তৈরি করেন।
১২৬০ খ্রিস্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব গ্যালিলিতে মিশরীয় মামলুক সেনাবাহিনী আর মঙ্গোলদের মধ্যে আইন জালুতের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মঙ্গোলরা কুতুযের বাহিনীর কাছে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে পরাজিত হয়েছিল। মঙ্গোলদের পরাজয়ের ফলে যুদ্ধটি সেই শতাব্দীর ইতিহাস পরিবর্তন করে দেয়া যুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কায়রোতে বিজয়ী হিসেবে প্রত্যাবর্তন করার সময়ে সহকর্মী মামলুক নেতা বাইবার্সের হাতে নিহত হন। কুতুয অনেক সংক্ষিপ্ত সময় শাসন করলেও তিনি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মামলুক সুলতান। এছাড়া মুসলিম ইতিহাসেও তার নাম অত্যন্ত সম্মানের সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।[6]