Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কমপ্যাক্টফ্ল্যাশ (সিএফ) হল একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি মাস্ স্টোরেজ ডিভাইস যেটি প্রধানত বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলোতেই ব্যবহৃত হয়। সানডিস্ক কর্তৃক এর বিন্যাস (format) নির্দিষ্ট করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে ডিভাইসগুলোকে প্রথম বাজারজাত করা হয়[৪]।
মিডিয়ার ধরন | মাস্ স্টোরেজ ডিভাইস ফরম্যাট |
---|---|
এনকোডিং | নানাবিধ ফাইল সিস্টেমসমূহ |
ধারণক্ষমতা | ২ এমবি থেকে ৫১২ জিবি[১][২](সিএফ৫.০: ১২৮ পিবি পর্যন্ত)[৩] |
সৃষ্টিকর্তা | সানডিস্ক |
পরিমাপ | ৪৩×৩৬×৩.৩ মিমি (ধরন ১) ৪৩×৩৬×৫ মিমি (ধরন ২) |
ওজন | ১০ গ্রাম (সাধারণত) |
ব্যবহার | ডিজিটাল ক্যামেরাসমূহ এবং অন্যান্য মাস্ স্টোরেজ ডিভাইস |
যেখান থেকে সম্প্রসারিত | পিসিএমসিআইএ / পিসি কার্ড |
মিনিয়েচার কার্ড এবং স্মার্টমিডিয়াকে অতিক্রম করার মাধ্যমে কমপ্যাক্টফ্ল্যাশ প্রাথমিক মেমোরি কার্ড ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে সফল হয়ে ওঠে। পরবর্তী কালের মেমোরি ফরম্যাট যেমন এমসিসি/এসডি, বিভিন্ন মেমোরি স্টিক ফরম্যাটসমূহ এবং এক্সডি-পিকচার কার্ড এর সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রদান করে। ঐ কার্ডসমূহের বেশিরভাগই কমপ্যাক্টফ্ল্যাশের তুলনায় খুবই ছোট এবং সেই সাথে তুলনা করার মতো ধারণক্ষমতা এবং গতি প্রদান করে থাকে। পেশাদার অডিও এবং ভিডিও তে ব্যবহৃত মালিকানাধীন মেমোরি কার্ড ফরম্যাটগুলো যেমন পি২ এবং এসxএস দ্রুতগতির হলেও বাস্তবিক দিক থেকে আকারে বৃহৎ এবং অনেক ব্যয়বহুল।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের জনপ্রিয়তা রয়েই যায় এবং পরবর্তীতে অনেক পেশাদার ডিভাইস এবং হাই-এন্ড ভোক্তা ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সমর্থন লাভ করে। ২০১৭ সালের হিসাবে ক্যানন [৫][৬] এবং নিকন [৭] উভয়ই তাদের ফ্ল্যাগশিপ ডিজিটাল স্টিল ক্যামেরার জন্য কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ব্যবহার করে। এছাড়াও ক্যানন তাদের পেশাদার হাই-ডেফিনেশন ট্যাপলেস ভিডিও ক্যামেরার রেকর্ডিং মাধ্যম হিসেবে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশকে বেছে নেয়[৮]। ইকিগামি পেশাদার ভিডিও ক্যামেরা একটি অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ড করতে পারে[৯]।
গতানুগতিক কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ড প্যারালাল এটিএ ইন্টারফেস ব্যবহার করে, কিন্তু ২০০৮ সালে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের একটি ভিন্ন সংস্করণ, সিফাস্ট ঘোষণা করা হয়। সিফাস্ট (কম্প্যাক্টফাস্ট নামেও পরিচিত) সিরিয়াল এটিএ ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
২০১০ সালের নভেম্বরে, সানডিস্ক, সনি এবং নিকন কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ অ্যাসোনিয়েশনে পরবর্তী প্রজন্মের কার্ড ফরম্যাট উপস্থাপন করে। নতুন ফরম্যাটে সিএফ/সিফাস্টের অনুরূপ ফর্ম ফ্যাক্টর আছে কিন্তু তা প্যারালাল এটিএ বা সিরিয়াল এটিএ এর পরিবর্তে পিসিআই এক্সপ্রেস ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়[১০][১১]। সম্ভাব্য ১ জিবিট/এস (১২৫ এমবাইট/এস) পড়া এবং লেখার গতি এবং ২ টেরাবাইটেরও অধিক সংরক্ষণ ক্ষমতার সাথে নতুন ফরম্যাটটি হাই-ডেফিনিশন ক্যামকর্ডার এবং হাই-ডেফিনিশন হাই-রেজুলেশন ডিজিটাল ক্যামেরার উপর লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়, কিন্তু নতুন কার্ডগুলো পূর্ববর্তী কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ বা সিফাস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এক্সকিউডি কার্ড ফরম্যাট আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা ঘোষণা করা হয়[১২]।
সিএফ কার্ডের দুটি প্রধান উপবিভাগ রয়েছে, ৩.৩ মিমি-পুরুত্বের ধরন ১ এবং ৫ মিমি-পুরুত্বের ধরন ২ (সিএফ২)। ধরন ২ এর স্লটটি মিনিয়েচার হার্ড ড্রাইভ এবং কিছু অন্য ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়, যেমন মাঝারি সিরিজের হ্যাসেলব্লেড ক্যামেরার জন্য হ্যাসেলব্লেড সিএফভি ডিজিটাল ব্যাক। ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রধান কার্ডের চারটি ভিন্ন ভিন্ন গতি রয়েছে: মূল সিএফ, সিএফ হাই স্পিড (সিএফ+/সিএফ২.০ ব্যবহার করে), ফাস্টার সিএফ ৩.০ স্ট্যান্ডার্ড এবং ফাস্টার সিএফ ৪.০ স্ট্যান্ডার্ড যা ২০০৭ সাল থেকে গৃহীত হয়।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ মূলত ইন্টেলের নর-ভিত্তিক ফ্ল্যাশ মেমরির মতো করে নির্মিত হতো, কিন্তু পরবর্তীতে ন্যান্ড প্রযুক্তিতে পরিবর্তন করে[১৩]। সিএফ হল পুরনো এবং সবচেয়ে সফলতম ফরম্যাটগুলোর মধ্যে একটি এবং পেশাদারী ক্যামেরা বাজারে বেশ ভালোভাবেই উপযুক্ত স্থান অর্জন করেছে। এটি উত্তম মূল্য থেকে শুরু করে মেমোরির আকার অনুপাত পর্যন্ত উভয় দিক থেকে উপকৃত হয়েছে এবং ফরম্যাটটির আয়ুকালের বেশির ভাগ সময়ে অন্যান্য ফরম্যাটের থেকে বৃহত্তর প্রাপ্তিসাধ্য ধারণক্ষমতা পেয়েছে।
সিএফ কার্ডগুলোকে একটি প্লাগ অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে কোন পিসি কার্ড স্লটে সরাসরি ব্যবহার করা যায়, যেমন এটিএ (আইডিই) বা পিসিএমসিএ স্টোরেজ ডিভাইসের সাথে নিষ্ক্রিয় অ্যাডাপ্টার বা রিডারের সাথে, কিংবা ইউএসবি বা ফায়ারওয়্যারের মতো অন্যান্য ধরনের পোর্ট সংযুক্ত করে। যেহেতু কিছু নতুন কার্ডের ধরন ক্ষুদ্রতর, তাই তাদেরকে একটি অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে সরাসরি সিএফ কার্ড স্লটে ব্যবহার করা যায়। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী যে ফরম্যাটগুলো এইভাবে ব্যবহার করা যাবে তা হলো, এসডি/এমএমসি, মেমোরি স্টিক ডুও, ধরন ১ স্লটে ব্যবহৃত এক্সডি-পিকচার কার্ড এবং ধরন ২ স্লটে ব্যবহৃত স্মার্টমিডিয়া। কিছু মাল্টিকার্ড রিডারসমূহ আই/ও এর জন্যও সিএফ ব্যবহার করে থাকে।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ইন্টারফেস হল ৬৮ পিন পিসিএমসিআইএ কানেক্টরের একটি ৫০ পিন উপসেট[১৪]। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ.অর্গের মতে “এটিকে অতি সহজেই একটি নিষ্ক্রিয় ৬৮ পিন পিসিএমসিআইএ ধরন ২ থেকে সিএফ ধরন ১ অ্যাডাপ্টারে প্রবেশ করানো যাবে যেটি পিসিএমসিআইএ এর পুরোপুরি ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইন্টারফেস স্প্যাসিফিকেশনকে সমর্থন করে[১৫]। ইন্টারফেসটির পরিচালনা নির্ভর করে পাওয়ার-আপ এর মোড পিন অবস্থার উপর এটি ১৬ বিট পিসি কার্ড (0x7FF অ্যাড্রেস সীমা) নাকি আইডিএই (পাটা) ইন্টারফেস[১৬]।
পিসি কার্ড ইন্টারফেসের অনুরূপ কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ইন্টারফেসে কোন ডেডিকেটেড প্রোগ্রামিং ভোল্টেজসমূহ (ভিপিপি১ এবং ভিপিপি২) প্রদান করা হয়নি[১৭]।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের আইডিই মোড একটি ইন্টারফেসকে নির্ধারণ করে যেটি আকৃতিতে ছোট কিন্তু ইলেকট্রিক্যালভাবে এটিএ ইন্টারফেস থেকে অভিন্ন। সিএফ ডিভাইসে একটি এটিএ নিয়ন্ত্রক রয়েছে এবং হোস্ট ডিভাইসে এটি একটি হার্ডডিস্ক হিসেবে প্রদর্শন করে। সিএফ ডিভাইসগুলো ৩.৩ ভোল্ট অথবা ৫ ভোল্টে পরিচালনা করে এবং সিস্টেম থেকে সিস্টেমে অদলবদল করা যাবে। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ সি-এইচ-এস (সিলিন্ডার হেড সেক্টর) এবং ২৮ বিট লজিক্যাল ব্লক অ্যাড্রেসিং (সিএফ ৫.০ এ এলবিএ-৪৮ এর সমর্থন প্রবর্তিত হয়) সমর্থন করে। ফ্ল্যাশ মেমোরি সংযুক্ত সিএফ কার্ডসমূহ তাপমাত্রার অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনে মানিয়ে নিতে পারে। ফ্ল্যাশ মেমোরি কার্ডের শিল্প সংষ্করণ −৪৫° থেকে +৮৫ °C তাপমাত্রায় কাজ করতে পারে।
নতুন ন্যান্ড-ভিত্তিক সিস্টেমের থেকে নর-ভিত্তিক ফ্ল্যাশের ঘনত্ব কম রয়েছে এবং সেইজন্য কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ (জেইআইডিএ/পিসিএমসিআইএ মেমোরি কার্ড ফরম্যাট থেকে আহরণ করে) প্রাক ১৯৯০ দশকে প্রবর্তিত তিনটি মেমোরি কার্ড ফরম্যাটের থেকে বাস্তবিকভাবে বৃহত্তম। অন্য দুটি হলো মিনিয়েচার কার্ড (মিনিকার্ড) এবং স্মার্টমিডিয়া (এসএসএফডিসি)। কিন্তু সিএফ পরবর্তীতে, নেন্ড ধরনের মেমোরি কার্ডে পরিবর্তিত করে। আইবিএম মাইক্রোড্রাইভ ফরম্যাট (পরবর্তীতে হিটাচি কর্তৃক তৈরি করা শুরু হয়) সিএফ ধরন ২ ইন্টারফেসের কার্যোপকরণ ব্যবহার করে কিন্তু এটি একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (এইচডিডি) যা সলিড-স্টেট ড্রাইভের বিপরীত। সিগেটও সিএফ এইচডিডি তৈরি করে থাকে।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ আইডিই (এটিএ) অনুকরণ গতিকে সাধারণত "এক্স (x)" রেটিং এ নির্দিষ্টকরণ করা হয়, যেমন ৮এক্স (8x), ২০এক্স (20x), ১৩৩এক্স (133x)। এটি সিডি-রমে ব্যবহৃত সিস্টেমের অনুরূপ এবং এটির সর্বোচ্চ স্থানান্তর হার মূল অডিও সিডি তথ্য স্থানান্তর হারের গুণক গঠনের উপর ভিত্তি করে নির্দেশ করা হয়, যেটি ১৫০ কিলোবাইট/সেকেন্ড।
যেখানে R = স্থানান্তর হার, K = গতি হার। উদাহরণস্বরূপ ১৩৩এক্স (133x) রেটিং এর অর্থ হল এর স্থানান্তর গতি: ১৩৩ × ১৫০ কিলোবাইট/সেকেন্ড = ১৯,৯৫০ কিলোবাইট/সেকেন্ড ≈ ২০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।
প্রস্তুতকারক কর্তৃক প্রদত্ত গতি হারও রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, আসল স্থানান্তর গতি কার্ডে প্রদর্শিত গতি থেকে বেশি বা কমও হতে পারে[১৮]। উদ্ধৃত গতির রেটিং প্রায় সবসময়ই পড়ার গতিকে নির্দেশ করে, যেখানে লেখার গতি প্রায়শই কম থাকে।
পড়ার জন্য, অন-বোর্ড কন্ট্রোলারটি স্ট্যান্ডবাই থেকে প্রথমে মেমোরি চিপসমূহকে শক্তি সরবরাহ করে। পড়ার কাজগুলো সাধারণত প্যারালালে হয়, প্রথমে তথ্যের ত্রুটি সংশোধন করা হয় এবং একই সময়ে ১৬ বিট ইন্টারফেসের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করা হয়। সফট রিড এররের জন্য ত্রুটি পরীক্ষণ করা প্রয়োজন হয়। লেখার জন্য স্ট্যান্ডবাই থেকে শক্তি সরবারহের প্রয়োজন হয়, একটি ব্লক যে স্থানে লেখা হবে তা হিসাব ক্ষয় করার মাধ্যমে মুছে ফেলে সমতলকরণ করে যেটি ইসিসি ক্যালকুলেশন নিজেই করে থাকে (একটি একক মেমোরি সেল লেখার জন্য প্রায় ১০০ ন্যানো সেকেন্ড সময় নেয়, আর লেখার জন্য চিপটি ১মিলি সেকেন্ড+ বা ১০,০০০ সময় বেশি নেয়)।
যেহেতু ইউএসবি ২.০ ইন্টারফেসটি ৩৫ মেগাবাইট/সেকেন্ডে সীমাবদ্ধ এবং এতে বাস মাস্টারিং হার্ডওয়্যারের অভাব রয়েছে, তাই ইউএসবি ২.০ এর প্রবেশ করার কার্যোপকরণ ফলাফল হয় খুবই ধীরে।
আধুনিক ইউডিএমএ-৭ কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ড ১৪৫ মেগাবাইট/সেকেন্ড পর্যন্ত ডাটা রেট প্রদান করে থাকে[১৯] এবং এর জন্য ইউএসবি ৩.০ ডাটা ট্রান্সফার রেটের প্রয়োজন[২০]।
একটি সরাসরি মাদারবোর্ড সংযোগ প্রায়শই ৩৩ মেগাবাইট/সেকেন্ডে সীমাবদ্ধ থাকে কারণ আইডিই থেকে সিএফ অ্যাডাপ্টারে হাই স্পিড এটিএ ক্যাবল প্রযুক্তির (৬৬+ মেগাবাইট/সেকেন্ড) সমর্থন থাকে না। স্ট্যান্ডবাই থেকে চালু করার তুলনায় স্লিপমোড/অফ অবস্থা থেকে চালু করতে সময় বেশি লাগে।
অনেক ১ ইঞ্চি (২৫ মিলিমিটার) হার্ড ড্রাইভসমূহ (প্রায়শই ট্রেডমার্ককৃত মাইক্রোড্রাইভ নামে উল্লেখ করা হয়) সাধারণত ৩৬০০ আরপিএম এ ঘুরে থাকে, তাই আবর্তনশীল অদৃশ্যতাকে সুবিবেচনায় আনা হয় কারণ এটি স্ট্যান্ডবাই বা অলস সময় থেকে ঘুরতে শুরু করে। সিগেট এর ৮ জিবি এসটি৬৮০২২সিএফ ড্রাইভ[২১] কয়েক আবর্তনের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে ঘুরতে শুরু করে কিন্তু বিদ্যুৎ খরচ ৩৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে এবং গড় বিদ্যুতে ৪০-৫০ এমএতে চলতে থাকে। এটির গড় খোঁজার সময় হল ৮ মিলিসেকেন্ড এবং ৯ মেগাবাইট/সেকেন্ড পড়ার ও লেখার গতি বজায় রাখতে পারে এবং ৩৩ মেগাবাইট/সেকেন্ডের ইন্টারফেস গতি রয়েছে। হিটাচির ৪ জিবি মাইক্রোড্রাইভ ১২ মিলিসেকেন্ড সময়ে তথ্য খুঁজতে পারে এবং ৬ মেগাবাইট/সেকেন্ড সময় পর্যন্ত গতি বজায় রাখতে পারে।
সিএফ ৫.০ এর স্প্যাসিফিকেশন ৪৮ বিট লজিক্যাল ব্লক অ্যাড্রেসিং (এলবিএ) ব্যবহার করে ১২৮ পেটাবাইট পর্যন্ত ধারণক্ষমতা সমর্থন করে[২২]। ২০০৬ সালের পূর্বে ম্যাগনেটিক মিডিয়া ব্যবহৃত সিএফ ড্রাইভসমূহ সর্বোচ্চ ৮ জিবি পর্যন্ত ধরনক্ষমতা প্রদান করত। এখন সলিড-স্টেট কার্ডসমূহ আরও বেশি ধরনক্ষমতা প্রদান করে (৫১২ জিবি পর্যন্ত)[২৩]।
২০১১ সাল পর্যন্ত সলিড-স্টেট ড্রাইভসমূহ (এসএসডি) বৃহৎ ধারণক্ষমতা প্রয়োজনের জন্য উভয় ধরনের সিএফ ড্রাইভকে স্থানচ্যুত করেছে।
সানডিস্ক ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ফটোকিনা বাণিজ্য মেলায় তাদের ১৬ জিবি এক্সট্রিম থ্রি কার্ড ঘোষণা করে[২৪]। সেই একই মাসে স্যামসাং ১৬, ৩২ এবং ৬৪ জিবি সিএফ কার্ডসমূহ ঘোষণা করে[২৫]। দুই বছর পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রিটিচ ১০০ জিবি কার্ড ঘোষণা করে[২৬]।
২০০৪ সালের জুনে সিগেট একটি ৫ জিবি ১ ইঞ্চি হার্ড ড্রাইভ ঘোষণা করে[২৭] এবং এর ৮ জিবি সংস্করণ ২০০৫ সালের জুনে ঘোষণা করে[২৮]।
২০০৮ সালের শুরুতে সিএফএ একটি বিল্ট ইন সাটা ইন্টারফেস যুক্ত কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ড প্রদর্শন করে[২৯]। বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাডাপ্টারসমূহ প্রস্তুত করে যেগুলো সিএফ কার্ডসমূহকে পিসিআই, পিসিএমসিআইএ, আইডিই এবং সাটা কানেকশনের[৩০] সাথে সংযোগ দেয়া যায়, যাতে সিএফ কার্ডকে একটি সলিড-স্টেট ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ভার্চুয়ালভাবে কোন অপারেটিং সিস্টেম বা বায়োস এবং এমনকি রেইড কনফিগারেশনে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা যায়।
সিএফ কার্ডসমূহ হয়ত আইডিই বাসে মাস্টার বা স্লেভ ড্রাইভের ফাংশন হিসেবে কাজ সম্পাদন করে কিন্তু বাস স্পিড ভাগাভাগিতে এর সমস্যা রয়েছে। অধিকন্তু পরবর্তী মডেলের কার্ডসমূহ যেগুলো ডিএমএ (ইউডিএমএ বা এমডব্লিওডিএমএ ব্যবহার করে) প্রদান করে সেগুলো যদি একটি প্যাসিভ অ্যাডাপ্টারের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় যেটি ডিএমএ সমর্থন করে না তাহলে হয়ত সমস্যা দেখা দিতে পারে[৩১]।
মূল পিসি কার্ড মেমোরি কার্ডসমূহে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করার পরও যাতে তথ্য বজায় রাখতে পারে তার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি ব্যবহৃত হত। ব্যাটারির এ ক্ষণস্থায়ী আয়ুই ছিল এর একমাত্র নির্ভরযোগ্যতাজনিত সমস্যা। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহ যেগুলো অন্যান্য ফ্ল্যাশ মেমোরি ডিভাইসের মতো ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করে তাদের যেকোন ব্লকে সীমিত সংখ্যকবার মুছা/লিখা চক্রের জন্য মূল্যায়ন করা হয়। যেখানে নর ভিত্তিক ফ্ল্যাশ মেমোরির উচ্চ সহনশীলতা রয়েছে এবং এর সীমা হলো ১০,০০০ থেকে ১,০০০,০০০ কিন্তু তাদের মেমোরি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অভিযোজিত করা হয়নি। বেশিরভাগ মাস স্টোরেজ যেগুলো ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে সেগুলো ন্যান্ড ভিত্তিক। এই হালনাগাদের সময় পর্যন্ত (২০১৫), ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমোরিসমূহকে আকৃতিতে ছোট করে ১৬ ন্যানো মিটারে আনা হয়েছে। সাধারণত তাদের নির্ধারণ করা হয় হার্ড ডিস্ক ব্যর্থতার পূর্বে প্রতি ব্লকে ৫০০ থেকে ৩,০০০ লেখা/মুছার চক্র হিসেবে[৩২]। এটি চুম্বকীয় মিডিয়ার তুলনায় কম নির্ভরযোগ্য[৩৩]। কার পিসি হ্যাকস[৩৪] এর মতে উইন্ডোজ সোয়াপ ফাইল নিষ্ক্রিয় করে এবং এটির এনহ্যান্সড রাইট ফিল্টার (ইডব্লিওএফ) ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্ল্যাশ মেমোরিতে অপ্রয়োজনীয় লিখা নির্মূল করা সম্ভব[৩৫]। উপরন্তু যখন ফ্ল্যাশ মেমোরি ড্রাইভ সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার প্রয়োজন হবে তখন কুইক ফরম্যাট পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত এবং ডিভাইসে যথাসম্ভব কম লেখা উচিত।
বেশিরভাগ কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ফ্ল্যাশ মেমোরি ডিভাইসমূহের যে ব্লকে লিখা হয়েছে তার বাস্তবিক স্থানের তারতম্য ঘটিয়ে ব্লকসমূহের ক্ষয়কে সীমাবদ্ধ রাখে। এই প্রক্রিয়াকে ওয়্যার লেভেলিং বলা হয়। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশকে যখন হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের স্থান নেয়ার জন্য এটিএ মোডে ব্যবহার করা হয় তখন ওয়্যার লেভেলিং করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে কারণ নিম্ন-সংখ্যক ব্লকসমূহ সে সমস্ত সারণী ধারণ করে যেগুলোর সামগ্রীসমূহ ঘনঘন পরিবর্তিত হয়। বর্তমান কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহ সমগ্র ড্রাইভ জুড়ে ওয়্যার লেভেলিং প্রক্রিয়া বিস্তার করে। আরও আধুনিক কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহ তথ্যকে এত কদাচিৎভাবে স্থানান্তর করবে যাতে করে নিশ্চিত থাকা যায় যে সকল ব্লকসমূহ সমানভাবে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমোরি ঘনঘন সফট রিড এরর প্রবণ[৩৪]। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডে ত্রুটি পরীক্ষণ এবং সংশোধন সুবিধাযুক্ত যেটি ত্রুটি শনাক্ত করে এবং ব্লকটিতে পুনরায় লিখে। প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীর নিকট দৃষ্টিগোচর হয় না, যদিও এটি তথ্য প্রবেশকে ধীর গতির করে তুলতে পারে।
যেহেতু ফ্ল্যাশ মেমোরি ডিভাইস সলিড স্টেট তাই আঘাতের ক্ষেত্রে এটি ঘূর্ণনশীল ডিস্কের তুলনায় কম আক্রান্ত হয়।
উল্টো সন্নিবেশ থেকে বৈদ্যুতিক ক্ষতির সম্ভাবনাকে অপ্রতিসম খাঁজ প্রদানের মাধ্যমে নিবারণ করা হয় এবং হোস্ট ডিভাইসটি যে উপযুক্ত সংযোজক ব্যবহার করছে সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হয়।
ছোট কার্ডসমূহ ছোট ডিস্ক ড্রাইভ কর্তৃক প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ শক্তির প্রায় ৫% কম খরচ করে এবং আরও দামী হাই স্পিড কার্ডের থেকে ৪৫ মেগাবাইট/সেকেন্ডেরও বেশি ন্যায়সঙ্গত স্থানান্তর গতি প্রদান করে[৩৬]। কিন্তু প্রস্তুতকারকরা ফ্ল্যাশ মেমোরিকে রেডিবুস্ট হিসেবে ব্যবহার করা থেকে সতর্কীকরণ করে কারণ এটি বাড়তি ৫০০ এমএ বিদ্যুৎ খরচ করে।
কনজিউমার ডিভাইসসমূহের জন্য ব্যবহৃত কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহকে সাধারণত ফ্যাট১২ (১৬ মেগাবাইট পর্যন্ত মিডিয়ার জন্য), ফ্যাট১৬ (২ জিবি পর্যন্ত মিডিয়ার জন্য, কখনো কখনো ৪ জিবি পর্যন্ত) এবং ফ্যাট৩২ (২ জিবির থেকে বড় মিডিয়ার জন্য) হিসেবে ফরম্যাট করা হয়। এটি ডিভাইসটিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটার কর্তৃক পড়ার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি ক্যামেরার মতো কিছু কনজিউমার ডিভাইসসমূহের সীমিত প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষমতার জন্যও উপযোগী।
ফ্যাট৩২ সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যামেরা, এমপিথ্রি প্লেয়ার, পিডিএ এবং অন্যান্য ডিভাইসসমূহের মধ্যে সামঞ্জস্যতা মাত্রার তারতম্যতা রয়েছে। যেখানে যেকোন ডিভাইস যেটির ফ্যাট৩২ সামঞ্জস্যপূর্ণতা আছে বলে দাবি করা হয় সেগুলোতে ফ্যাট৩২ ফরম্যাটকৃত কার্ডে তথ্য লেখা এবং পড়াতে কোন সমস্যা দেখা দেয়ার কথা নয়, কিছু ডিভাইসমূহ ২ জিবির বেশি কার্ডসমূহতে কাজ করে না যেগুলো সম্পূর্ণভাবে অবিন্যস্ত থাকে, যেখানে অন্যান্যরা ফ্যাট৩২ ফরম্যাট প্রয়োগ করার জন্য অধিক সময় নিতে পারে।
যে উপায়ে বিভিন্ন ডিজিটাল ক্যামেরাসমূহ ফাইল সিস্টেমকে হালনাগাদ করে, তার দ্বরুণ যখন তারা কার্ডে লিখে তখন ফ্যাট৩২ বটলনেক এর সৃষ্টি হয়। একই সম্পাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট ডিভাইসের সাহায্যে ফ্যাট১৬ বিন্যাসকৃত কার্ডে তথ্য লেখার চাইতে ফ্যাট৩২ বিন্যাসকৃত কার্ডে লিখতে সাধারণত একটু বেশি সময় নেয়। উদাহরণস্বরূপ ক্যানন ইওস ১০ডি একই ছবি এবং একই গতির ৪ জিবি ফ্যাট৩২ ফরম্যাটকৃত কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডের তুলনায় ২ জিবি ফ্যাট১৬ ফরম্যাটকৃত কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডে কিছুটা দ্রুত সময়ে তথ্য লিখতে পারে, যদিওবা উভয় কার্ডের মেমোরি চিপের লিখার গতির বিনির্দেশ একই[৩৭]। যদিও ফ্যাট১৬ এটির বৃহৎ ক্লাস্টারের ফলে ডিস্কের ফাঁকা জায়গা বেশি পরিমানে অপচয় করে থাকে, তবুও এটি লিখন কৌশলের সাথে খুব ভালভাবেই কাজ করে যেটি ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপসমূহের জন্য প্রয়োজন।
ঐ কার্ডসমূহকে যেকোন ধরনের ফাইল সিস্টেম দ্বারা ফরম্যাট করা যায় যেমন ইক্সটি, জেএফএস, এনটিএফএস বা অন্য যেকোন উৎসর্গীকৃত ফ্ল্যাশ ফাইল সিস্টেম দ্বারা। যতক্ষণ পর্যন্ত হোস্ট ডিভাইস সেই ফাইল সিস্টেমসমূহকে পড়তে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটিকে পার্টিশনে ভাগ করা যাবে। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহ প্রায়শই এম্বেডেড সিস্টেম, ডাম্ব টার্মিনাল এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র ফর্ম-ফ্যাক্টর পিসিতে হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় যেগুলোকে কম শব্দ উৎপন্নকারী বা কম শক্তি খরচের জন্য তৈরি করা হয়। কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডসমূহ প্রায়ই নিজ উদ্দেশ্যে নির্মিত সলিড-স্টেট ড্রাইভের তুলনায় আরও তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায় এবং ক্ষুদ্রতর এবং প্রায়ই হার্ড ড্রাইভের তুলনায় দ্রুত খুঁজতে পারে।
যখন কম্প্যাক্টফ্ল্যাশকে প্রথম আদর্শায়ীত করা হয় তখন পূর্ণ আকারের হার্ড ডিস্কসমূহও আকারে কদাচিৎ ৪ জিবির তুলনায় বড় ছিল এবং তাই এটিএ মানের সীমাবদ্ধতা গ্রহণযোগ্যভাবে বিবেচিত হত। কিন্তু মূল সিএফ কার্ডের ১.০ সংস্করণ নির্মাণের পর পরবর্তী সংস্করণগুলোতে ধারণক্ষমতা প্রায় ৫১২ জিবি পর্যন্ত পাওয়া যায়। যেখানে বর্তমান সংস্করণ ৬.০ এটিএ (পাটা) মোডে কাজ করে, ভবিষ্যতের সংস্করণগুলো সাটা মোডে বাস্তবায়িত করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়।
সিই-এটিএ হল একটি সিরিয়াল এটিএ ইন্টারফেস যেটি মাল্টিমিডিয়াকার্ড স্ট্যান্ডার্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি[৪০][৪১]।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের একটি বিকল্প যেটি সিফাস্ট নামে পরিচিত তা প্যারালাল এটিএ/আইডিই বাস এর পরিবর্তে সিরিয়াল এটিএ বাস এর উপর ভিত্তি করে তৈরি (পূর্বেকার কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের সংস্করণসমূহ প্যারালাল এটিএ/আইডিই এর উপর ভিত্তি করে পরিকল্পিত হত।) সিফাস্ট কম্প্যাক্টফাস্ট নামেও পরিচিত।
সিফাস্ট ১.০/১.১ সাটা ২.০ ইন্টারফেস ব্যবহার করার মাধ্যমে (৩০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড) বর্তমান কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডের চাইতে সর্বোচ্চ উচ্চ গতির তথ্য স্থানান্তর হার সমর্থন করে, যেখানে পাটা ইউডিএমএ ৭ ব্যবহার করে ১৬৭ মেগাবাইট/সেকেন্ডে সীমাবদ্ধ।
সিফাস্ট কার্ডসমূহ শারীরিক বা ইলেকট্রিক্যালভাবে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিন্তু যেহেতু সাটা পাটা কমান্ড প্রোটোকলকে অনুকরণ করতে পারে তাই বিদ্যমান কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ সফটওয়্যার ড্রাইভারসমূহকে ব্যবহার করা যাবে, যদিও পাটা অনুকরণের পরিবর্তে এএইচসিআই ব্যবহার করে নতুন ড্রাইভার লিখা প্রায় সবসময়ই কাজ সম্পাদনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। সিফাস্ট কার্ডসমূহ একটি ৭ পিন ফিমেল সাটা ডাটা কানেক্টর এবং ১৭ পিন ফিমেল পাওয়ার কানেক্টর ব্যবহার করে [৪২], তাই স্ট্যান্ডার্ড সাটা হার্ড ড্রাইভের স্থানে সিফাস্ট কার্ড সংযোগ প্রদান করার জন্য একটি অ্যাডাপ্টারের প্রয়োজন পড়ে যেটি মেল কানেক্টর ব্যবহার করে থাকে।
প্রথম সিফাস্ট কার্ড বাজারে ছাড়া হয় ২০০৯ সালের শেষের দিকে [৪৩]। ২০০৯ সালের কনজুমার ইলেকট্রনিক্স শোতে প্রিটিচ একটি ৩২ জিবি সিফাস্ট কার্ড প্রদর্শন করে এবং ঘোষণা দেয় যে সেগুলো কিছু মাসের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে [৪৪]। ২০১০ সালে ডিলক সিফাস্ট কার্ডসমূহ বিতরণ করা শুরু করে, যেগুলোতে সিফাস্ট কার্ড সমর্থন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্ড রিডারের সাথে ইউএসবি ৩.০ এবং ইসাটাপি পোর্ট (পাওয়ার ওভার ইসাটা) প্রদান করে।
সিফাস্ট ২.০ বিনির্দেশ ২০১২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অবমুক্ত হয়, যেটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইন্টারফেস থেকে সাটা ৩.০ (৬০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড) এ হালনাগাদ করা হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিফাস্ট ২.০ কার্ড ব্যবহৃত একমাত্র পণ্য ছিল অ্যারি আমিরা ডিজিটাল প্রোডাকশন ক্যামেরা [৪৫], যেটিতে ২০০ এফপিএস পর্যন্ত ফ্রেম রেট পাওয়া যায় এবং অ্যারি অ্যালেক্সা/এক্সটি ক্যামেরার জন্য একটি সিফাস্ট ২.০ অ্যাডাপ্টারও প্রকাশ করা হয় [৪৬]।
২০১৪ সালের ৭ই এপ্রিল ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন ইউআরএসএ সিনেমা ক্যামেরা ঘোষণা করে, যেটি সিফাস্ট মিডিয়াতে রেকর্ড করে[৪৭]। ২০১৫ সালের ৮ই এপ্রিল ক্যানন ইনক. এক্সসি১০ ভিডিও ক্যামেরা ঘোষণা করে, যেটিও সিফাস্ট কার্ড ব্যবহার করে[৪৮]। ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন আরও ঘোষণা করে যে তাদের ইউআরএসএ মিনি সিফাস্ট ২.০ ব্যবহার করবে।
২০১৬ সালের অক্টোবর হিসাবে হাই-এন্ড পেশাদারী যন্ত্রসমূহে সিফাস্ট মিডিয়া কর্তৃক দ্রুত তথ্য স্থানান্তর গতির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ অ্যারি আমিরা এবং অ্যারি অ্যালেক্সা মিনি; হ্যাসেলব্লেড এইচ৬ডি-১০০সি; ক্যানন সি৭০০, সি৩০০ মার্ক ২, ইওস ১ডি এক্স ২, এক্সসি১০; ব্ল্যাকম্যাজিক ইউআরএসএ, ইউআরএসএ মিনি ৪.৬কে এবং ইউআরএসএ মিনি ৪কে। অতিরিক্ত ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসমূহ হল অ্যাটম নিনজা স্টার এবং অ্যাটম শোগান স্টুডিও ৪কে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ অ্যাসোশিয়েশন পিসিআইই ৩.০ এবং এনভিএমই এর উপর ভিত্তি করে একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড সিএফএক্সপ্রেসের ঘোষণা করে[৪৯]।
এই দুই নমুনার মধ্যে একমাত্র শারীরিক পার্থক্য হল এই যে ধরন ১ ডিভাইসসমূহ ৩.৩ মিলিমিটার পুরুত্বের যেখানে ধরন ২ ডিভাইসসমূহ ৫ মিলিমিটার পুরু[৫০]। ইলেকট্রিক্যালভাবে এই দুইটির ইন্টারফেস একই শুধুমাত্র ভিন্নতা এই যে ধরন ১ ডিভাইসসমূহ ইন্টারফেস থেকে সরবারহকৃত বিদ্যুতের ৭৫ এমএ পর্যন্ত খরচ করা জন্য অনুমোদিত যেখানে ধরন ২ ডিভাইসসমূহ হয়ত ৫০০ এমএ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ করে।
বেশিরভাগ ধরন ২ ডিভাইসসমূহ মাইক্রোড্রাইভ ডিভাইস (নিচে দেখুন), অন্যান্যরা মিনিয়েচার হার্ড ড্রাইভ এবং অ্যাডাপ্টার, সেই ধরনের জনপ্রিয় অ্যাডাপ্টার যেগুলোতে সিকিউর ডিজিটাল কার্ড লাগে[৫১][৫২]। কিছু ফ্ল্যাশভিত্তিক ধরন ২ ডিভাইসসমূহ নির্মিত হতো, কিন্তু ধরন ১ কার্ডসমূহ এখন এমন ধারণক্ষমতায় পাওয়া যায় যেটি সিএফ এইচডিডিকে অতিক্রম করেছে। সানডিস্ক, তোশিবা, অ্যালকোটেক এবং হাইনিক্সের মতো কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ কার্ড নির্মাতারা শুধুমাত্র ধরন ১ স্লট সমৃদ্ধ ডিভাইস তৈরি করে। নিকন ডি৮০০ এর মতো কিছু সর্বশেষ ডিএসএলআর ক্যামেরাতেও ধরন ২ সমর্থন বাদ দেয়া হয়েছে[৫৩]।
মাইক্রোড্রাইভ শুরুর দিকে কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ধরন ২ প্যাকেজের ক্ষুদ্র হার্ড ডিস্কের একটি ব্র্যান্ড ছিল (প্রায় ২৫ মিলিমিটার/ ১ ইঞ্চি দীর্ঘ)। এর প্রথমটি আইবিএম কর্তৃক মানোন্নয়ন করা হয় এবং ১৯৯৯ সালে ১৭০ মেগাবাইট ধারণক্ষমতায় অবমুক্ত করা হয়। ২০০২ সালে আইবিএম তাদের ডিস্ক ড্রাইভ বিভাগ এবং মাইক্রোড্রাইভ ট্রেডমার্ক হিটাচির নিকট বিক্রি করে দেয়। সিগেট এবং সনির মতো অন্যান্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানও এই ধরনের হার্ড ডিস্কসমূহ তৈরি করত। সেগুলো প্রায় ৮ জিবি পর্যন্ত ধারণক্ষমতায় পাওয়া যেত কিন্তু ফ্ল্যাশ মেমোরির চেয়ে বেশি ব্যয়, কম ধারণক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতার অভাবের কারণে তা বাতিল করা হয় এবং বর্তমানে আর প্রস্তুত করা হয় না[৫৪]।
যান্ত্রিক যন্ত্র হিসেবে সিএফ এইচডিডি ফ্ল্যাশ মেমোরির সর্বোচ্চ ১০০ এমএ এর চাইতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। আগের সংস্করণ গুলো ৫০০ এমএ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ করত, কিন্তু সবচেয়ে সাম্প্রতিকটি পড়ার জন্য ২০০ এমএ এর নিচে এবং লেখার জন্য ৩০০ এমএ এর নিচে বিদ্যুৎ খরচ করে। (কিছু ডিভাইসসমূহ রেডিবুস্টের মতো উচ্চ গতিতে ব্যবহৃত হয়, যেটিতে কোন স্বল্প শক্তির স্ট্যান্ডবাই মোড নেই, ফলে ধরন ২ স্ট্যান্ডার্ডের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ ৫০০ এমএ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।) সিএফ হার্ড ডিস্ক ড্রাইভসমূহ শারীরিক আঘাত বা তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত ক্ষতি এড়াতেও সমর্থিত ছিল। কিন্তু প্রাক ফ্ল্যাশ মেমোরির তুলনায় সিএফ হার্ড ডিস্ক ড্রাইভসমূহের লেখা চক্রের দীর্ঘ আয়ুষ্কাল ছিল।
আইপড মিনি, নকিয়া এন৯১, ইরিভার এইচ১০ (৫ বা ৬ জিবি মডেল), প্লামওয়ান লাইফড্রাইভ এবং রিও কার্বনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য মাইক্রোড্রাইভ ব্যবহার করত।
কম্প্যাক্টফ্ল্যাশের বাজার ব্যাপক এবং নকল করার সম্ভাবনাযুক্ত। অফ- ব্র্যান্ড বা নকল কার্ডসমূহ হয়ত ভুলভাবে লেবেলকৃত হতে পারে, এমনকি হোস্ট ডিভাইসে তাদের নিয়ন্ত্রকের মেমোরির পরিমাণের প্রতিবেদন আসল নাও হতে পারে এবং এতে এমন ধরনের মেমোরি ব্যবহার করতে পারে যা ক্রেতা প্রত্যাশানুযায়ী মুছা/পুনঃলিখন চক্রের সংখ্যা হিসাব করা নাও হতে পারে[৫৫][৫৬]।
যেহেতু কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ইন্টারফেস ইলেকট্রিক্যালভাবে ১৬ বিট পিসি কার্ডের একটি অভিন্ন স্বত্তা, তাই কম্প্যাক্টফ্ল্যাশ ফর্ম ফ্যাক্টরও বিভিন্ন প্রকার ইনপুট/আউটপুট এবং ইন্টারফেস ডিভাইসসমূহতে ব্যবহার করা হয় হচ্ছে। বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পিসি কার্ডের সিএফের অনুরূপ অংশ রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.