কদম্ব রাজবংশ
From Wikipedia, the free encyclopedia
কদম্ব রাজবংশ (৩৪৫-৫২৫ খ্রিস্টাব্দ) ছিল ভারতের কর্ণাটকের একটি প্রাচীন রাজবংশ। এই রাজবংশ অধুনা কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় অবস্থিত বনবাসী থেকে উত্তর কর্ণাটক ও কোঙ্কণ অঞ্চল শাসন করত। আনুমানিক ৩৪৫ খ্রিস্টাব্দে ময়ূরশর্মা এই রাজবংশটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে কদম্বরা একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। কদম্ব শাসকেরা যে উপাধি ও বিশেষণ গ্রহণ করতেন তার থেকে তাঁদের সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এছাড়া তাঁরা উত্তর ভারতের বাকাটক ও গুপ্ত রাজবংশের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করতেন। ময়ূরশর্মা সম্ভবত কোনো স্থানীয় উপজাতির সাহায্যে কাঞ্চীর পল্লবদের বাহিনীকে পরাজিত করে সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেন।[1][2] ককুস্থবর্মার শাসনকালে কদম্ব শক্তি পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করেছিল।
বনবাসীর কদম্ব রাজবংশ বনবাসী কদম্বরু | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৩৪৫–৫৪০ | |||||||||||
কদম্ব সাম্রাজ্যের প্রসার, ৫০০ খ্রিস্টাব্দ | |||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য (৩৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পল্লব রাজবংশের অধীনস্থ) | ||||||||||
রাজধানী | বনবাসী | ||||||||||
প্রচলিত ভাষা | সংস্কৃত কন্নড় | ||||||||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম জৈনধর্ম | ||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||
মহারাজা | |||||||||||
• ৩৪৫–৩৬৫ | ময়ূরশর্মা | ||||||||||
• ৫১৬-৫৪০ | দ্বিতীয় কৃষ্ণ বর্মা | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• প্রাচীনতম কদম্ব নথি | ৪৫০ | ||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ৩৪৫ | ||||||||||
• বিলুপ্ত | ৫৪০ | ||||||||||
| |||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | ভারত |
কদম্বরা ছিল পশ্চিম গঙ্গ রাজবংশের সমসাময়িক। এই দুই রাজবংশই এই দুই অঞ্চলের প্রথম সার্বভৌম স্থানীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে কদম্বরা বৃহত্তর কন্নড় সাম্রাজ্যগুলির সামন্ত শাসক হিসেবে রাজ্য শাসন করতে থাকে। বাদামীর চালুক্য ও রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের অধীনে তারা পাঁচ শতাধিক বছর সামন্ত শাসকের ভূমিকা পালন করেছিল। এই সময়ের মধ্যে কদম্ব রাজবংশ অনেকগুলি অপ্রধান রাজবংশের শাখায় বিভক্তও হয়ে পড়ে। এই রাজবংশগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গোয়ার কদম্ব, হলসির কদম্ব ও হঙ্গলের কদম্ব। প্রাক্-কদম্ব যুগে কর্ণাটক অঞ্চলের শাসক রাজবংশ মৌর্য ও পরবর্তীকালের সাতবাহনেরা এই অঞ্চলের অধীবাসী না হওয়ায় ক্ষমতার কেন্দ্র থাকত অধুনা কর্ণাটক ভূখণ্ডের বাইরেই। কদম্বরাই প্রথম প্রশাসনিক স্তরে স্থানীয় ভাষা কন্নড় ব্যবহার করে। কর্ণাটকের ইতিহাসে এই যুগেই কন্নড় জাতির ভৌগোলিক-রাজনৈতিক সত্ত্বার বিকাশ শুরু হয় এবং কন্নড় ভাষা স্থানীয় ভাষা হিসেবে প্রথম গুরুত্ব অর্জন করে।