Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ওয়েশি (চীনা: 卫士; আক্ষরিক: "রক্ষক") হচ্ছে মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম-এর একটি পরিবার যা চীনের সিচুয়ান অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (এসসিএআইসি) কর্তৃক নির্মিত। এই রকেট পরিবারে রয়েছে ৩০২ মিমি ডব্লিউএস-১ (১০০ কিমি পাল্লা), উন্নত ৩০২ মিমি ডব্লিউএস-১বি (১৮০ কিমি পাল্লা), ১২২ মিমি ডব্লিউএস-১ই (৪০ কিমি পাল্লা), ৪০০ মিমি ডব্লিউএস-২ (২০০ কিমি পাল্লা) এবং আরও অনেক নকশা। এখনে লক্ষ্যনীয় যে, একই নাম থাকলেও ওয়েশি শ্রেণির সকল রকেটই এসসিএআইসি-র তৈরি নয়, কিছু নকশা অন্য নির্মাতারাও তৈরি করেছেন। ওয়েশি পরিবারের অধীনে বিভিন্ন ক্যালিবার ও পাল্লার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত, অনিয়ন্ত্রিত ও নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রিত সংস্করণের রকেট রয়েছে।[1]
১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে এসসিএআইসি চীনা সেনাবাহিনীর জন্য ভারী-ক্যালিবারের অনিয়ন্ত্রিত মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) নির্মানের উদ্যোগ নেয়। এর ফলস্বরূপ ৩০২ মিমি ৪-টিউব বিশিষ্ট এমএলআরএস ওয়েশি-১ (ডব্লিউএস-১) জন্ম নেয় যা হতে ১৯৯০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মত গোলাবর্ষণ করা হয়। তবে এই অস্ত্র চীনা সেনাবাহিনীকে খুশি করতে ব্যর্থ হয় এবং কোন নির্মানাদেশ পায় নি।
একটি ডব্লিউএস-১ রকেট ব্যাটালিয়নে থাকত:
সিরিয়ার তৈরি খাইবার-১ এই রকেটের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
১৯৯০ এর দশকেও এসসিএআইসি ডব্লিউএস-১ এর উন্নয়ন চালিয়ে যেতে থাকে এবং এই দশকের শেষের দিকে ডব্লিউএস-১বি সামনে নিয়ে আসে। ডব্লিউএস-১বি মূলত বিদেশি ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে নির্মিত হয় চায়না ন্যাশনাল প্রিসিশন মেশিনারি কর্পোরেশন কর্তৃক সক্রিয়ভাবে বাজারজাত করা হয়। ডব্লিউএস-১ এর তুলনায় ডব্লিউএস-১বি তে ১৮০ কিমি এর বর্ধিত পাল্লা দেখা যায়।[2]
একটি ডব্লিউএস-১বি রকেট ব্যাটালিয়নে থাকে:
ডব্লিউএস-১ই হচ্ছে এসসিএআইসি কর্তৃক নির্মিত ১২২ মিমি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম যা চীনা সেনাবাহিনীর টাইপ ৮১ ১২২ মিমি রকেটের উত্তরাধিকার হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এটি অনেকটা টাইপ ৯০ ১২২ মিমি রকেট সিস্টেমের মতই তবে উৎপাদনে যায় নি।
একটি ডব্লিউএস-১ই রকেট ব্যাটালিয়নে থাকত:
এর পাল্লা ৫০০ কিমিতে পৌছানো বাদে ডব্লিউএস-১এফ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।[2]
২০০৪ সালের জুহাই এয়ার শোতে এসসিএআইসি ওয়েশি রকেট পরিবারের সর্বশেষ সদস্য ডব্লিউএস-২ কে প্রদর্শন করে। এই অস্ত্রে ছিল ছয়টি বাক্স-আকৃতির উৎক্ষেপক যা ৪০০ মিমি রকেট বর্ষণ করে এবং এর সর্বোচ্চ পাল্লা ২০০ কিমি,[3] কিছু উৎসের মতে ৩৫০ কিমি পর্যন্ত।[4][4] এটি চীনা সেনাবাহিনীকে রাজধানী তাইপেই সহ তাইওয়ানের পুরো পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানার সক্ষমতা প্রদান করে। ধারণা করা হয় যে ডব্লিউএস-২ চীনের জন্য ব্যয়বহুল স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সস্তা বিকল্প হতে যাচ্ছে। ডব্লিউএস-২তে রয়েছে ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স যা একে দূরপাল্লায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সাহায্য করে। ২০০৮ সালে প্রকাশ পায় যে ডব্লিউএস-২ এর জন্য বিশেষ ধরনের গোলা তৈরি করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষায়িত রাডার-বিধ্বংসী সংস্করণ যাতে একটি রকেট তিনটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান বহন করে। কিছু চীনা সামরিক উদ্যমীদের দাবী অনুযায়ী এই প্রযুক্তি ইসরায়েলি হার্পি রাডার-বিধ্বংসী মনুষ্যবিহীন আকাশযানের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তবে তা চীনের বাইরের স্বাধীন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
একটি ডব্লিউএস-২ রকেট ব্যাটালিয়নে থাকে:
২০০ কিমি পাল্লা বিশিষ্ট উন্নত সংস্করণ।[5]
উন্নত সংস্করণ যা জিপিএস নিয়ন্ত্রিত এবং পাল্লা ৩৫০ কিমি।[5][6] এতে প্যাসিভ হোমিং নিয়ন্ত্রণও রয়েছে।[2]
জিপিএস নিয়ন্ত্রিত উন্নত সংস্করণ যার পাল্লা ৪০০ কিমি এবং শক্তিশালী মনুষ্যবিহীন আকাশযান উৎক্ষেপণে সক্ষম।[7]
চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি কর্পোরেশন (সিএএসসি) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না অ্যারোস্পেস লং-মার্চ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (অ্যালিট, ALIT) নির্মিত ডব্লিউএস-৩ তে রয়েছে ৬টি চতুর্ভুজাকার ক্ষেপণাস্ত্রবাহী প্রকোষ্ঠ যা ৪০৬ মিমি রকেট বহন করে।[8] এতে রয়েছে ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স এবং এর পাল্লা ৭০-২০০ কিমি।[9]
অ্যালিট নির্মিত ডব্লিউএস-৩এ হচ্ছে ডব্লিউএস-৩ এর উন্নত সংস্করণ যাতে ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স এর বদলে বেসামরিক জিপিএস/গ্লোনাস নিয়ন্ত্রিত তবে ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে সামরিক জিপিএস/গ্লোনাস নিয়ন্ত্রিত হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।[10]
ডব্লিউএস-৩ ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী হচ্ছে এক ধরনের রূপান্তরিত ডব্লিউএস-৩এ যা রকেটযুক্ত ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পেডো, যা চীনের পলি টেকনোলোজিস কর্তৃক নির্মিত। এতে পেলোড হিসেবে থাকে একটি হালকা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পেডো এবং এর পাল্লা ১০০ কিমি। কৃত্রিম উপগ্রহ, বিমান, যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ এবং উপকূলীয় ও সমুদ্রতলের সোনার ব্যবহার করে লক্ষ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে কমান্ড যান ও উৎক্ষেপক ট্রাকে তথ্য পাঠানো হয়। উৎক্ষেপক যান থেকে সর্বশেষ লক্ষ্যবিন্দুতে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। টর্পেডো, রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পানিতে প্রবেশ করে, লক্ষ্যকে খুজে বের করে এবং তাকে ধ্বংস করে।[11]
অনিয়ন্ত্রিত ১২২ মিমি পিআর৫০ এমএলএস এর হালকা সংস্করণ যাতে উৎক্ষেপকের সংখ্যা পিআর৫০ এর ১০০ থেকে কমিয়ে ৪০টি করা হয়েছে। এটি পিআর৫০ এর একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ যাতে দ্রুত মোতায়েনের স্বার্থে ওজন কমানো হয়েছে।
ডব্লিউএস-১৫ এমআরএল হচ্ছে একটি স্বল্প পাল্লার সংস্করণ যার পাল্লা ৪০ কিমি এবং এতে ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স রয়েছে।[12]
ডব্লিউএস-২২ হচ্ছে পিআর৫০ এমএলএস-এর ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স যুক্ত নিয়ন্ত্রিত সংস্করণ। এর আদর্শ পাল্লা ৪৫ কিমি।[13]
এতে একটি ৮X৮ ট্রাকে দুইটি আলাদা প্রকোষ্ঠে পাচটি করে ৩০০ মিমি উৎক্ষেপক থাকে। রকেটের দৈর্ঘ্য ৭.৫ মিটার, ১৭০ কেজি বিস্ফোরক বহন করে এবং এই রকেট ১৫০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুর ৩০ মিটারের মধ্যে আঘাত করতে পারে।[14][15]
এই রকেট মুলত একটি চীনা জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের ভূমিতে আক্রমণে সক্ষম পরিবর্তিত রূপ। এটি ৩.৩ মিটার লম্বা, ২০০ মিমি ক্যালিবার, ২০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করে এবং ৭০ কিমি দূরে আঘাত করতে সক্ষম।[16]
ডব্লিউএস-১ সিরিজের উন্নত সংস্করণ যার পাল্লা ১৫০কিমি এবং বেসামরিক জিপিএস/গ্লোনাস নিয়ন্ত্রিত তবে ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে সামরিক জিপিএস/গ্লোনাস নিয়ন্ত্রিত হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।[17]
ডব্লিউএস-৪৩ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিচরণক্ষম অস্ত্র (loitering munition) নামেও পরিচিত, এর ক্যালিবার ২০০ মিমি, পাল্লা ৬০ কিমি, লক্ষ্যবস্তুর ১০ মিটারের মধ্যে আঘাত করতে পারে,[18] ৩০ মিনিট বিচরণ করতে পারে এবং ২০কেজি ওজনের বিস্ফোরক বহন করে।[19]
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ৭.৪ মিটার লম্বা, ৩০০ মিমি ক্যালিবার এবং ১৫০ কেজির বিভিন্ন বিস্ফোরক নিয়ে ২৬০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। ইনার্শিয়াল/স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত, সাথে প্রান্তীয় রাডার নিয়ন্ত্রণ।[20]
জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, সংস্করণভেদে ১২০ থেকে ২৮০ কিমি পাল্লা, ওয়েশি এমএলআরএস এর মাধ্যমে উৎক্ষেপিত হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর ৩০ মিটার ও সক্রিয় রাডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর ১০ মিটারের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এটি সিএএসসি কর্তৃক ২০১৪ সালের জুহাই এয়ার শোতে প্রথম প্রকাশ করা হয়।[21][22]
ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
সিএএসসি কর্তৃক উদ্ভাবিত স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যার পাল্লা ২৯০ কিমি এবং লক্ষ্যবস্তুর ১০ মিটারের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।[23]
ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল গাইডেন্স যুক্ত ডব্লিউএস-১ এর উন্নত সংস্করণ। সাধারণ গোলা ব্যবহার করে পাল্লা ৪০–৮০ কিমি এবং প্রলম্বিত পাল্লার গোলা ব্যবহার করে পাল্লা ৬০–১২০ কিমি। এতে ২টি বক্সে ৫টি করে মোট ১০টি উৎক্ষেপক রয়েছে যা দুই সারিতে, উপরে ২টি ও নিচে ৩টি সাজানো।[24]
জিপিএস নিয়ন্ত্রিত এ-১০০ এর উন্নত সংস্করণ। এ-২০০তে মোট উৎক্ষেপক ১৬টি যা ২টি বাক্সের প্রতিটিতে তিন সারিতে সাজানো, উপর ও নিচের সারিতে রয়েছে ৩টি করে উৎক্ষেপক আর মাঝের সারিতে রয়েছে ২টি।[25]
এ-২০০ এর উন্নত সংস্করণ। এতে দুইটি বাক্সের প্রতিটিতে চারটি করে ৩০০ মিমি রকেট রয়েছে, পাল্লা ২৯০ কিমি, জিএনএসএস/আইএসএস নিয়ন্ত্রিত[26][27][28] এবং লক্ষ্যের ৩০ থেকে ৪৫ মিটারের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।
এসআর-৫ হচ্ছে নরিনকো নির্মিত স্ব-চালিত রকেট ব্যবস্থা যা ২০১২ সালে ইউরোস্যাটোরী প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রথম প্রদর্শিত হয়। মডুলার নকশায় নির্মিত এসআর-৫ একটি পুরোপুরি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ও ডিজিটাইজড রকেট ব্যবস্থা যা থেকে একই কাঠামো, গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ ও সহায়ক ব্যবস্থা ব্যবহার করে ১২২ মিমি ও ২২০ মিমি রকেট উৎক্ষেপণ করা যায়।[29] এটি থেকে ৭০ কিমি পাল্লার কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত রকেট[30], কিং ড্রাগন ৩০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সি-৭০৫ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করা যায়।[31][32]
এ পর্যন্ত এসআর-৫-কে আলজেরিয়া, বাহরাইন, ভেনেজুয়েলা[33][34] ও থাইল্যান্ড-এ রপ্তানি করা হয়েছে।[35]
এসআর-৭ হচ্ছে এসআর-৫ এর ছোট সংস্করণ যাতে ২০টি ১২২ মিমি রকেট বা ৬টি ২২০ মিমি রকেট থাকে। ১২২ মিমি রকেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাল্লা ৫০ কিমি এবং ২২০ মিমি রকেটের ক্ষেত্রে ৭০ কিমি।[36]
এসওয়াই-৩০০ হচ্ছে ডব্লিউএস-২/৩ এর উন্নত সংস্করণ, এসওয়াই হচ্ছে শেন ইং (神鹰, অর্থ: স্বর্গীয় ঈগল) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এসওয়াই-৩০০ ও এর পূর্বসূরী ডব্লিউএস-২/৩ এর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে ডব্লিউএস-২/৩-তে সম্মুখ নিয়ন্ত্রণ পৃষ্ঠ ও বিস্ফোরকের নিয়ন্ত্রণ অংশ সমন্বিত যা এসওয়াই-৩০০ এর ক্ষেত্রে আলাদা। নকশায় এই পার্থক্যের কারণে এসওয়াই-৩০০কে যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের দ্বারা শুধু নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থার বদলে ভারী বস্তু বসিয়েই অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রিত থেকে অনিয়ন্ত্রিত রকেট ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা সম্ভব।[37] প্রতিটি যানে ৬টি অথবা ১২টি রকেট বহন করা সম্ভব।
এসওয়াই-৩০০ এর অধিকতর আধুনিকায়নের ফলে এসওয়াই-৪০০ এর জন্ম। এটি দুইটি স্বল্প পাল্লার বিপি-১২এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা ৪০০ কিমি, বা ১২টি পিএইচএল-০৩ ৩০০ মিমি রকেট বহন করে। ব্যয়বহুল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বদলে ব্যবহৃত এসওয়াই-৪০০কে নিখুতভাবে লক্ষ্যভেদে সক্ষম করতে এতে ক্যাসকেড ইনার্শিয়াল টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার বদলে জিপিএস নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। নির্মাতার মতে বেসামরিক জিপিএস এর বদলে সামরিক জিপিএস ব্যবহার করলে একে আরও নিখুত করে তোলা সম্ভব। এসওয়াই-৪০০তে বিপি-১২এ ক্ষেপণাস্ত্রের মত একই উৎক্ষেপণ যান ও গোলানিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়।[38][39]
২০১৭ সালে কাতার বিপি-১২এ ক্ষেপণাস্ত্র সহ এসওয়াই-৪০০ ক্রয় করে।[40] ২০২০ সালে মায়ানমার এসওয়াই-৪০০ রকেট ক্রয় করে।
সিএম-৪০০একেজি হচ্ছে চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন নির্মিত এসওয়াই-৪০০ এর বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য সংস্করণ।[41] ২০১২ সালের চায়না ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন-এ সিএম-৪০০একেজি আত্মপ্রকাশ করে[41] যেখানে বলা হয় এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।[42] ৪০০ মিমি ক্যালিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য ৫.১ মিটার, ওজন ৯১০ কেজি এবং পাল্লা ১০০–২৪০ কিমি[41] যা ১৫০ কেজির ধ্বংসকারী বিস্ফোরক বা ২০০ কেজির ভেদনকারী বিস্ফোরক বহন করে থাকে।[43] এই ক্ষেপণাস্ত্র অনেক উচু দিয়ে উড়ে যায় এবং লক্ষ্যে পৌছে খাড়াভাবে নিচে নেমে আসে, সর্বোচ্চ গতিবেগ ম্যাক ৪.৫-৫, লক্ষ্য অনুসন্ধানের জন্য জাহাজ-বিধ্বংসী ভূমিকায় রয়েছে আইএনএস+জিএনএস+প্যাসিভ রাডার সিকার যা লক্ষ্যের ৫ মিটারের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম করে তোলে এবং ভূমিতে আঘাত হানতে ব্যবহৃত হয় আইএনএস+জিএনএস+আইআর-টিভি সিকার যার সাহায্যে লক্ষ্যের ৫–১০ মিটারের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।[41] পাকিস্তান বিমান বাহিনী একে বিমানবাহী রণতরী-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে।[42]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.