ঈদ গাহ্ মসজিদ
আফগানিস্তানের মসজিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইদ গাহ মসজিদ বা ঈদগাহ মসজিদ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ । এটি দেশের প্রধান ধর্মীয় মসজিদ হিসেবে বিবেচিত, যেখানে এক মিলিয়ন মানুষ বছরে দুবার ঈদ নামাজ পড়তে সমবেত হয় । এটি কাবুলের শর-ই-বারাক শহরে অবস্থিত মাহমুদ খান সেতু এবং শহরের পূর্ব অংশে অবস্থিত ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত । এটি শহরের আভ্যন্তরীণ এলাকার একটি অংশ । "ইদ গাহ" বা "ঈদগাহ" বলতে একটি খোলা জায়গা বোঝায় যেখানে মানুষ জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির সময় মিলিত হয়। ঈদ গাহের খোলা মাঠগুলি কুরবানির পশুর পরিবহন সামগ্রীগুলির জন্য পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[1]
ঈদ গাহ্ মসজিদ | |
---|---|
ঈদ গাহ্ মসজিদ, কাবুল । | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | কাবুল |
প্রদেশ | কাবুল প্রদেশ |
অঞ্চল | শর-ই-বারক, কাবুল |
ধর্মীয় অনুষ্ঠান | আবদালী |
নেতৃত্ব | বাবর অথবা জাহাঙ্গীর |
পবিত্রীকৃত বছর | ১৬ শতাব্দী |
অবস্থান | |
অবস্থান | কাবুল, আফগানিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°৩১′০৪″ উত্তর ৬৯°১১′২৪″ পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী স্থাপত্য, মুঘল স্থাপত্য |
বেশিরভাগ তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে সম্রাট বাবরের সময়ে একজন মুসলমান যোদ্ধা ভারতে আক্রমণ করেছিলেন এবং ভারতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং ইসলামকে গৌরবান্বিত করার জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন । তিনি তার যোদ্ধাদের দ্বারা পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বহুমূল্য পাথর ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পাথর নিয়ে নিয়েছিলেন । পারস্যের স্থপতিরা তাদের কাবুলের প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো নির্মাণ করেন । এটি ধর্মীয় বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব , ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রাজকীয় এবং রাজকীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হত । সে সকল উৎসবে বিভিন্ন রাজা এবং আমির উপস্থিত থাকতেন । এই মসজিদটিতে ১৯১২ সালে তৎকালীন আমির হাবিবুল্লাহ তার দেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছিলেন। [2][3][4][5]
এই ঈদ গাহ মসজিদকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যখন দুইজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয় । সে সময় তাদের গাড়িতে 8 কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।.[6]