ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ
From Wikipedia, the free encyclopedia
হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো[lower-alpha 13] ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ই অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের আক্রমণ শুরু করে। হামাস একে অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড (বঙ্গানুবাদ: আল-আকসা প্লাবন অভিযান) নামে অভিহিত করে।[7][8] সংশ্লিষ্ট ইসরায়েলীয় প্রত্যাক্রমণকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দ্বারা অপারেশন আয়রন সোর্ডস (বঙ্গানুবাদ: লৌহ তরবারি অভিযান) নাম দেওয়া হয়।[9]
এই নিবন্ধটি একটি বর্তমান ঘটনাসমূহ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ঘটনা অগ্রগতি হিসেবে এই নিবন্ধে তথ্য দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। প্রাথমিক সংবাদ প্রতিবেদনগুলি অবিশ্বস্ত হতে পারে। এই নিবন্ধের শেষ হালনাগাদগুলো সর্বাধিক বর্তমান তথ্য প্রতিফলিত নাও করতে পারে। (৭ অক্টোবর, ২০২৩) |
২০২৩ ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত | |||||||
গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি নিয়ন্ত্রিত অংশ গাজায় ইসরায়েল দ্বারা আক্রান্ত এলাকা ইসরায়েলের ভিতরে বাস্তচ্যুত এলাকা ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা
ইসরায়েলের বাস্তচ্যুত করার সতর্কতাপ্রাপ্ত এলাকা
আরও বিস্তৃত মানচিত্রের জন্য এখানে দেখুন। | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
|
ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
|
ইসাক হেরজক বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইয়াভ গ্যালান্ট হারজি হালেভি কোবি শবতাই | ||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||
আল-কাসসাম ব্রিগেড[1] আল কুদস ব্রিগেড আবু আলী মোস্তফা ব্রিগেড ন্যাশনাল রেসিস্টেন্স ব্রিগেড |
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি পুলিশ | ||||||
শক্তি | |||||||
৪০,০০০+[4] | ৫,২৯,৫০০ | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
গাজা উপত্যকা:[lower-alpha 1]
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে:[lower-alpha 3]
পশ্চিম তীর:[lower-alpha 4]
অন্যান্য:
|
ইসরায়েল:[lower-alpha 3]
মিশর:
| ||||||
|
সঙ্কটটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত ও গাজা–ইসরায়েল সংঘাতের একটি অংশ। সঙ্কটটি ২০২৩ সালে ব্যপক সহিংসতার দ্বারা প্রভাবিত হয়। ২০২৩-এ ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বৃদ্ধি ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণেদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলীয় বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা, জেনিনে সংঘর্ষ, ২০২১-এ সংঘাতের ফলে আল-আকসা মসজিদ ও গাজায় প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি ও ৩২ জন ইসরায়েলী নিহত হওয়া; হামাস এই ঘটনাগুলোকে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসেবে উল্লেখ করে এবং গাজার বাইরের ফিলিস্তিনিদেরকে "দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে" যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জরুরি অবস্থা ও যুদ্ধ ঘোষণা করেন[10][11][12] এবং কিছু বিরোধী দল জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আহ্বান জানায়।[13]
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অন্তত ৫,০০০ টি ক্ষেপণাস্ত্রের রকেট ব্যারেজ ও ভূখণ্ডে পরিবহনে উপযোগী যানবাহন সহ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে খুব ভোরে সহিংসতা শুরু হয়েছিল। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারাও গাজা–ইসরায়েল বেষ্টনী ভেদ করে জোরপূর্বক গাজা সীমান্ত অতিক্রম করে এবং কাছাকাছি ইসরায়েলীয় জনবসতি ও সামরিক স্থাপনায় প্রবেশ ও আক্রমণ করে; ইসরায়েলের মতে আক্রমণের দ্বারা কমপক্ষে ১,২০০ জন ইসরায়েলীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলীয় বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অসংখ্য ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে একটি সঙ্গীত উৎসবে একটি গণহত্যার ঘটনা রয়েছে যার ফলে কমপক্ষে ২৬০ জন নিহত হয়েছিল। ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা গাজা উপত্যকায় শিশুসহ ইসরায়েলীয় সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের বন্দী করেছিল।[14]
সংরক্ষিত সৈনিকদের যুদ্ধে যোগদান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মুজাহিদদের নির্মূল করার পর, ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় কৌশলগত ভবন ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা মাধ্যমে প্রতিশোধ নিয়েছিল। এই হামলায় আবাসিক ভবন, মসজিদ ও হাসপাতাল সহ বেসামরিক অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণের ২০ টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গাজার হামাস সরকারের মতে, প্রথম তিন দিনের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক ও ২৬০ জন শিশু সহ অন্তত ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দুকযুদ্ধে ও বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল; আইডিএফ জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে "১,৫০০ এরও বেশি সন্ত্রাসী"কে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, যে শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২,০০,০০০ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-দশমাংশ। ইসরায়েল ইতিমধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার পর মানবিক সংকটের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।[15]
যথারীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ সহিংসতার জন্য ফিলিস্তিনের নিন্দা করে, যখন কিছু আরব ও মুসলিম দেশ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে মন্তব্য করেন। হামলায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে দায়ী করে।[16][17]