Loading AI tools
মার্কিন অভিনেতা (1917-2012) উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্নেস্ট বোর্গনাইন (ইংরেজি: Ernest Borgnine; জন্ম: এর্মেস এফ্রন বোরিনিনো,[2] ২৪ জানুয়ারি ১৯১৭ - ৮ জুলাই ২০১২) একজন মার্কিন অভিনেতা ছিলেন। তিনি ছয় দশকের অধিক সময় অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জনপ্রিয় এই অভিনেতা একাধিক আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ও গেম অনুষ্ঠানের প্যানেলে ছিলেন।
আর্নেস্ট বোর্গনাইন | |
---|---|
Ernest Borgnine | |
জন্ম | এর্মেস এফ্রন বোরিনিনো ২৪ জানুয়ারি ১৯১৭ হ্যামডেন, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৮ জুলাই ২০১২ ৯৫) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, হলিউড হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া[1] |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৪৭-২০১২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রোডা কেমিন্স (বি. ১৯৪৯; বিচ্ছেদ. ১৯৫৮) ক্যাটি জুরাডো (বি. ১৯৫৯; বিচ্ছেদ. ১৯৬৩) ইথেল মারম্যান (বি. ১৯৬৪; বিচ্ছেদ. ১৯৬৪) ডোনা র্যানকোর্ট (বি. ১৯৬৫; বিচ্ছেদ. ১৯৭২) টোভা ট্র্যাসনেস (বি. ১৯৭৩; মৃ. ২০১২) |
সন্তান | ৪ |
স্বাক্ষর | |
বোর্গনাইনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৫১ সালে। তিনি চায়না কোরসায়ার (১৯৫১), ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩), ভেরা ক্রুজ (১৯৫৪), ব্যাড ডে অ্যাট ব্ল্যাক রক (১৯৫৫) ও দ্য ওয়াইল্ড বাঞ্চ (১৯৬৯)-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীকালে তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এবং মার্টি (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে মার্টি পিলেত্তি চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব ও বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি সিটকম ম্যাকহেল্স নেভি (১৯৬২-৬৬)-এ নাম ভূমিকায় এবং মারপিঠধর্মী ধারাবাহিক এয়ারউল্ফ (১৯৮৪-৮৬)-এ ডমিনিক স্যান্টিনি চরিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন। ম্যাকহেল্স নেভি নাটকে তার কাজের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে তার প্রথম প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করে ১৯৮০ সালে তিনি তার দ্বিতীয় প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে ৯২ বছর বয়সে ইআর ধারাবাহিকে অভিনয় করে তার তৃতীয় প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
বোর্গনাইন ১৯১৭ সালের ২৪শে জানুয়ারি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের হ্যামডেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম এর্মেস এফ্রন বোরিনিনো।[3][4] তার পিতামাতা দুজনেই ইতালীয় অভিবাসী ছিলেন। তার মাতা আন্না (বিবাহপূর্ব বোসেল্লি; ১৮৯৪-আনু. ১৯৪৯) মোদেনার নিকটবর্তী কারপি শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন;[5] অন্যদিকে তার পিতা কামিল্লো বোরিনিনো (১৮৯১-১৯৭৫)[6] আলেসান্দ্রিয়ার নিকটবর্তী ওত্তিইলিওতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[7] বোর্গনাইনের যখন দুই বছর বয়স তখন তার পিতামাতা আলাদা হয়ে যান। তিনি এরপর তার মায়ের সাথে সাড়ে চার বছর ইতালিতে থাকেন। ১৯২৩ সালে তার পিতামাতা পুনরায় একত্রিত হন। তার পিতা নিজের নাম পরিবর্তন করে চার্লস বোর্গনাইন রাখেন। তাদের পারিবারিক নাম বোরিনিনো থেকে পরিবর্তন করে বোর্গনাইন রাখা হয়। বোর্গনাইনের ছোট বোন ইভলিন বোর্গনাইন ভেলার্দি (১৯২৫-২০১৩)।[8] তাদের পরিবার নিউ হেভেনে বসবাস শুরু করে। সেখানে বোর্গনাইন জেমস হিলহাউজ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। শৈশবে খেলাধুলায় তার আগ্রহ দেখা গেলেও অভিনয়ে তার আগ্রহ ছিল না।[9]
বোর্গনাইনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৫১ সালে কলাম্বিয়া পিকচার্সের দ্য হুইসেল অ্যাট ইটন ফলস দিয়ে।[10] একই বছর তিনি চায়না কোরসায়ার (১৯৫১) চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান। এরপর তিনি কলাম্বিয়ার ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে সার্জেন্ট ফ্যাটসো জুডসন চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। এই সময়ে তিনি জনি গিটার (১৯৫৪), ভেরা ক্রুজ (১৯৫৪), ব্যাড ডে অ্যাট ব্ল্যাক রক (১৯৫৫) চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নির্ভরযোগ্য চরিত্রাভিনেতা ও খল অভিনেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।
১৯৫৫ সালে তিনি মার্টি (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে মার্টি পিলেত্তি চরিত্রে অভিনয় করেন। ভ্যারাইটির রোনাল্ড হলোওয়ে লিখেন, "বোর্গনাইন... এমন অভিনয় করেছেন যে পরবর্তী অভিনয়ের পুরস্কার প্রদানকালে তাকে বিবেচনা করা হবে।"[11] এই কাজের জন্য তিনি ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, জেমস ডিন, পূর্ববর্তী শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার বিজয়ী স্পেন্সার ট্রেসি ও জেমস ক্যাগনিকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[12] এছাড়া তিনি এই কাজের জন্য নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
তার একটি অন্যতম বিখ্যাত চরিত্র হল স্যাম পেকিনপা'র পশ্চিমা ঘরানার ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে দ্য ওয়াইল্ড বাঞ্চ (১৯৬৯)-এ ডাচ চরিত্র।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.