আরব–ইসরায়েল সংঘর্ষ (১৯৬৭–১৯৭০)
From Wikipedia, the free encyclopedia
আরব–ইসরায়েল সংঘর্ষ (১৯৬৭–১৯৭০) বা ক্ষয়কারক যুদ্ধ (আরবি: حرب الاستنزاف হারব আল-ইসতিনজাফ, হিব্রু ভাষায়: מלחמת ההתשה মিলহেমেত হাহাতাশাহ) ছিল ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রসমূহ (মিশর, জর্ডান, পিএলও ও সিরিয়া) ও তাদের মিত্ররাষ্ট্রগুলোর (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কিউবা) মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ।
আরব–ইসরায়েল সংঘর্ষ (১৯৬৭–১৯৭০) | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: আরব–ইসরায়েল দ্বন্দ্ব এবং স্নায়ুযুদ্ধ | |||||||||
মিশর–ইসরায়েল সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থলে ছিল সুয়েজ খাল | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
ইসরায়েল |
পিএলও জর্দান সিরিয়া[2] | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
লেভি এশকোল ইগাল অ্যালন জালমান শাজার হাইম বার-লেব মোর্দেচাই হোদ উজি নার্কিস |
গামাল আব্দেল নাসের আহমদ ইসমাইল আলী আনোয়ার এল সাদাত সা'দ এল শাজলি আব্দুল মুনিম রিয়াদ † নিকোলাই ইয়ুরচেঙ্কো † | ||||||||
শক্তি | |||||||||
২,৭৫,০০০ সৈন্য |
২,০০,০০০ সৈন্য ৯০০–১,০০০ যোদ্ধা[4][5] ১৫,০০০ সৈন্য[6] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৬৯৪[7]–১,৪২৪[8] সৈন্য নিহত ২,৬৫৯ সৈন্য আহত (৯৯৯ জন মিসরীয় রণাঙ্গনে)[7] ১৪[9]–৩০[10] টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত |
২,৮৮২[11]–১০,০০০[9] সৈন্য নিহত ১,৮২৮ যোদ্ধা নিহত ২,৫০০ যোদ্ধা ধৃত[16] ৪০–৮৪ সৈন্য নিহত ১০৮–২৫০ সৈন্য আহত ৪ সৈন্য ধৃত ৩০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসপ্রাপ্ত কয়েক শত সৈন্য হতাহত[2] | ||||||||
২২৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত |
১৯৬৭ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধে আরবদের শোচনীয় পরাজয়েরও পর আরব–ইসরায়েলি সংঘাত সমাধান করার কোনো বাস্তবিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হয় নি। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে আরব রাষ্ট্রসমূহ খার্তুম ঘোষণার মাধ্যমে তিন 'না'-এর নীতি অনুসরণ করে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন, স্বীকৃতি প্রদান ও সমঝোতা থেকে বিরত থাকে। মিশরীয় রাষ্ট্রপতি গামাল আব্দেল নাসের বিশ্বাস করতেন যে, কেবল সামরিক বল প্রয়োগের মাধ্যমেই ইসরায়েলকে সিনাই উপদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে বাধ্য করা সম্ভব[17]। ফলে শীঘ্রই সুয়েজ খাল বরাবর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
প্রথমদিকে এসব সংঘর্ষ গোলন্দাজ বাহিনীর দ্বন্দ্ব এবং ক্ষুদ্রমাত্রার অনুপ্রবেশ অভিযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু ১৯৬৯ সালের দিকে মিশরীয় সেনাবাহিনী বড়মাত্রার অভিযানের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত মনে করতে থাকে। ১৯৬৯ সালের ৮ মার্চ নাসের আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'ক্ষয়কারক যুদ্ধ' ঘোষণা করেন। এই যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য ছিল সুয়েজ খাল বরাবর গোলাবর্ষণ, ব্যাপক হারে আকাশযুদ্ধ এবং কমান্ডো হামলা[18]। ১৯৭০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে। এরপর সীমান্তের কোনোরূপ পরিবর্তন কিংবা শান্তি স্থাপনের কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যতীতই যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয় এবং সংঘর্ষের অবসান ঘটে।