আতশবাজি
From Wikipedia, the free encyclopedia
আতশবাজি (ইংরেজি: Fireworks) হচ্ছে নিম্নমাত্রার বিস্ফোরক (pyrotechnics) নান্দনিক এবং বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে বহুল ব্যবহৃত এক ধরনের বাজি।
মূলত চারটি প্রাথমিক রূপ আছে আতশবাজি্র, যথা: শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং ভাসমান উপকরণ। এগুলি রঙিন শিখা যেমন লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি এবং সিলভার সহ নানান রঙের ঝলক (বৈদ্যুতিক স্পার্কের ন্যায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, খেলা এবং বহু সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আতশবাজির ব্যবহার হয়। আতশবাজি সাধারনতঃ ফ্ল্যাস পাউডার (সোর- চার ভাগ, গন্ধক- এক ভাগ, এলুমিনিয়াম পাউডার - এক ভাগ ) এর দ্বারা তৈরি হয়। এ ছাড়া রঙিন আলোর জন্য স্ট্রনশিয়াম, বেরিয়াম প্রভৃতি ধাতুর নাইট্রেট, ক্লোরেট লবণ ব্যবহৃত হয়। তবে রঙিন আলোর জন্য ক্লোরিন অবশ্যম্ভাবী। ক্লোরেট লবণ থেকে এই ক্লোরিন পাওয়া যায়। কিন্তু নাইট্রেটলবন ব্যবহার করলে আলাদা ভাবে ক্লোরিন নিস্কাশক দ্রব্য [যথা পি-ভি-সি (পলি-ভিনাইল ক্লোরাইড)] মেশাতে হয়। এ ছাড়া নীল রঙের জন্য তুঁতে ও ক্লোরিন নিস্কাশক ব্যবহার করা যায়। বাজীর পলতের জন্য কালো মশলা (সোরা- আট ভাগ, গন্ধক- এক ভাগ, কাঠকয়লা - দুই ভাগ ) ব্যবহার হয়। এ ছাড়াও সোরার জায়গায় ব্যারাইটা ব্যবহার করলে হাল্কা সবুজাভ সাদা আলো পাওয়া যায়। এর সঙ্গে পিভিসি মেশালে সবুজ রঙ বেশি দেখা যায়। এজন্য রং মশালে ব্যারাইটা ব্যবহার করা হয়।
তুবড়ীর ভাগ
সোরা- ষোলো ভাগ, লোহাচূর - দশ ভাগ, গন্ধক- তিন ভাগ, কাঠকয়লা - চার ভাগ
আতশবাজিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হ'ল একটি কাগজ বা কার্ডের নির্মিত টিউব যার ভেতরে থাকে দহনযোগ্য উপাদান, প্রায়শই ব্যবহৃত হয় পাইরোটেকনিক স্টার, যা বর্নিল আলোয়ে বিস্ফোরিত হয় ।স্কাইরকেট ফায়ারওয়ার্কের একটি সাধারণ রূপ, যদিও প্রথমে তা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। যদিও বর্তমানে এটিকে আতশবাজির মূল উপাদান হিসাবে ধরা হয়।
আতশবাজি ছিল মূলত চীনের উদ্ভাবন। আতশবাজি করার একটি সাংস্কৃতিক অনুশীলন হ'ল অশুভ আত্মা কে ভয় দেখানো। চীনা নববর্ষ এবং মধ্য-শরৎ চাঁদ উৎসব এর মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণে আতশবাজি ব্যবহৃত হয়। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখার জন্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অজস্র পর্যটক দর্শনীয় স্থানগুলিতে ভিড় করেন। চীন বিশ্বের বৃহত্তম আতশবাজি প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারক দেশ।