![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d9/IPhone_5s_golden.svg/langbn-640px-IPhone_5s_golden.svg.png&w=640&q=50)
আইফোন ৫এস
From Wikipedia, the free encyclopedia
আইফোন ৫এস হলো একটি স্মার্টফোন যেটি নকশা ও বাজারজাত করেছে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড। এটি আইফোন সিরিজের একটি সংস্করণ। অ্যাপলের কুপেরটিনো হেডকোয়ার্টারে ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে আইফোন ৫এস উন্মুক্ত করা হয়। আইফোন ৫এস এর একটি কমদামী প্রতিরুপ আইফোন ৫সি এটির সাথে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে মুক্তি পায়।[3]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3c/IPhone_5S_SIM_tray.png/640px-IPhone_5S_SIM_tray.png)
![]() | |
ব্র্যান্ড | অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড |
---|---|
প্রস্তুতকারক | ফক্সকন |
স্লোগান | ২০১৪ হতে-"You are more powerful than you think"; ২০১৪ পর্যন্ত-"Forwars thinking"; |
সিরিজ | আইফোন |
মডেল | এ১৪৫৭ (মধ্যপ্রাচ্য)
এ১৫১৮,এ১৫২৮ (চীন) এ১৫৩০ (এশিয়া প্যাসিফিক) এ১৫৩৩ (উত্তর আমেরিকা,চীন) এ১৪৫৩ (উত্তর আমেরিকা,জাপান) |
সর্বপ্রথম মুক্তি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩; ১০ বছর আগে (2013-09-20) |
দেশভিত্তিক প্রাপ্যতা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২৫ অক্টোবর ২০১৩
১ নভেম্বর ২০১৩ ১৫ নভেম্বর ২০১৩ ২২ নভেম্বর ২০১৩ |
বিরত | ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (2014-09-09) (৬৪জিবি); ২১ মার্চ ২০১৬ (2016-03-21) (১৬জিবি, ৩২জিবি) |
পূর্বসূরী | আইফোন ৫ |
উত্তরসূরী | আইফোন ৬ |
সম্পর্কিত | আইফোন ৫সি |
ধরন | স্মার্টফোন |
ফর্ম বিষয়াদি | স্লেট |
মাত্রা | ১২৩.৮ মিমি (৪.৮৭ ইঞ্চি) H ৫৮.৬ মিমি (২.৩১ ইঞ্চি) W ৭.৬ মিমি (০.৩০ ইঞ্চি) D |
ওজন | ১১২ গ্রাম |
অপারেটিং সিস্টেম | আসল:আইওএস ৭.০ বর্তমান:আইওএস ১২.০,১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মুক্তিপ্রাপ্ত |
চিপে সিস্টেম | এ৭,এম৭ |
সিপিইউ | ১.৩ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর অ্যাপল সাইক্লোন |
জিপিইউ | পাওয়ার-ভিআর জি৬৪৩০ |
সংরক্ষণাগার | ১৬, ৩২, ৬৪ জিবি |
ব্যাটারি | ১৫৬০ এমএএইচ |
প্রদর্শন | ৬৪০×১১৩৬ পিক্সেল |
পিছন ক্যামেরা | ৮ মেগাপিক্সেল;এইচডি ভিডিও(১০৮০পি) |
সম্মুখ ক্যামেরা | ১.২ মেগাপিক্সেল;এইচডি ভিডিও(৭২০পি) |
শব্দ | মনো স্পিকার |
সংযোগ | সব মডেল
এইচএসপিএ+(৮৫০, ৯০০, ১৯০০, ২১০০ মেগাহার্টজ), জিএসমএ/এডজ(৮৫০, ৯০০, ১৮০০, ১৯০০ মেগাহার্টজ), ওয়াইফাই(৫ গিগাহার্টজ), ব্লুটুথ ৪.০, জিপিএস এবং গ্লোনাস জিএসএম মডেল(এ১৫৩৩) এলটিই (ব্যান্ডস:১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮, ১৩, ১৭, ১৯, ২০, ২৫:২১০০, ১৯০০, ১৮০০, ৮০০, ৭০০ মেগাহার্টজ) জিএসএম মডেল(এ১৫১৮) টিডিডি-এলটিই, টিডি-এসসিডিএমএ[2] জিএসএম মডেল(এ১৫২৮) এলটিই(বেসরকারি) |
এসএআর | মডেল এ১৫২৮, এ১৪৫৭, এ১৫১৮, এ১৫৩০
মাথা:১.১৮ কেজি শরীর:১.১২ কেজি মডেল এ১৫৩৩, এ১৪৫৩ মাথা:১.১৮ কেজি শরীর:১.১৮ কেজি |
ওয়েবসাইট | www |
আইফোন ৫এস এর নকশা অনেকটা এর পূর্বের আইফোন ৫ সংস্করণের মতোই, যদিও আইফোন ৫এস সাদা-রুপালি এবং ছাই-সাদার পাশাপাশি নতুন সাদা-সোনালি রঙেও পাওয়া যায়। আবার এর ভেতরের যন্ত্রগুলোরও ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে এ৭ ৬৪বিট সিস্টেম অন চিপ, যেটি ফোনে ব্যবহৃত প্রথম ৬৪বিট প্রোসেসর। আর এর পরে আনা হয় এম৭ (মোশন কো প্রসেসর)। এটিতে টাচ-আইডি ও আঙুলের ছাপ সংবলিত হোম বাটন রয়েছে যেটিকে মোবাইল খোলার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ও অ্যাপ স্টোর ও আইটিউন স্টোর থেকে কোন পণ্য ক্রয় করার জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফোনটির এপার্চার বৃদ্ধি ও ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করার মাধ্যমে ক্যামেরাকেও উন্নত করা হয়েছে।
আইফোন ৫এস হলো প্রথম আইফোন ডিভাইস যেটিতে আইওএস ৭ রয়েছে, যার ফলে এর দৃশ্যের মান ভালো হয়েছে এবং এতে নতুন সকল বৈশিষ্ট্য যোগ হয়েছে যেটি নকশা করেছেন জোনাথন আইভ। আইওএস৭ স্কেওমোরফিক উপাদানগুলো সরিয়ে ফেলেছে যেগুলো রঙিন নকশার জন্য পূর্বের আইওএস সংস্করণগুলোতে ছিল। নতুন সফটওয়্যারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এয়ার-ড্রপ, ওয়াই-ফাই শেয়ারিং প্লাটফর্ম, কন্ট্রোল সেন্ট্রাল এবং আইটিউনস রেডিও। এটিতে রয়েছে ইয়ারফোন (যেটি ইয়ারপোড হিসেবে পরিচিত)। এর সাথে আবরণী ও একটি ডকও দেওয়া হয় যেটি অ্যাপল প্রকাশ করে।
আইফোন ৫এস এর বেশিরভাগ ভালো মন্তব্যই পাওয়া যায়। অনেকে এটিকে সবচেয়ে ভালো স্মার্টফোন বলেছেন, এর নতুন সফটওয়্যার, উন্নত হার্ডওয়্যার, টাচ আইডি ও আইওএস ৭ এর ফলে ঘটিত পরিবর্তনের জন্য। তবে অনেকে আইফোন ৫এস এর ছোট ডিসপ্লে ও আইফোন ৫ এর মতো একই ধরনের নকশা থাকার জন্য সমালোচনা করেছেন, অন্যরা টাচ আইডির নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুক্তির পর আইফোন ৫এস ও আইফোন ৫সির প্রায় ৯০ লক্ষ ইউনিট বিক্রি হয়, যা আইফোন বিক্রয়ের দ্বিতীয় রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। আইফোন ৫এস যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ফোন।
আইফোন ৫এস এর পর সেপ্টেম্বর, ২০১৪ আসে এর থেকে বড় আকৃতির আইফোন ৬। ২১মার্চ, ২০১৬ আইফোন ৫এস এর পরিবর্তে আইফোন এস বাজারে ছাড়া হয়, যেটির ভেতরের হার্ডওয়্যার আইফোন ৬এস এর মতো হলেও আকার ও নকশা আগের মতোই ছোট।
আইফোন ৫ ও আইফোন ৪ এর পর আইফোন ৫এস হলো তৃতীয় আইফোন যেটিতে আইওএসের পাঁচটি মূল সংস্করণ সমর্থন করে। এটি আইওএস ৭ থেকে আইওএস ১১ পর্যন্ত সমর্থন করে। এটা আইওএস ১১ সমর্থন করার দিক থেকে সবচেয়ে পুরোনো ফোন হলেও ৬৪বিট সিস্টেম অন চিপ প্রসেসরের সমর্থন করার দিক দিয়ে এটিই প্রথম ফোন।