Loading AI tools
মার্কিন অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যান শার্লি (ইংরেজি: Anne Shirley; জন্ম: ডন ইভলিন প্যারিস, ১৭ এপ্রিল ১৯১৮ - ৪ জুলাই ১৯৯৩) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ডন ওডে নামে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পরে অ্যান অব গ্রিন গেবলস (১৯৩৪) চলচ্চিত্রে তার অভিনীত চরিত্রের নামটিই তার নাম হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৭ সালে স্টেলা ডালাস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
অ্যান শার্লি | |
---|---|
জন্ম | ডন ইভলিন প্যারিস ১৭ এপ্রিল ১৯১৮ |
মৃত্যু | ৪ জুলাই ১৯৯৩ ৭৫) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | ফুসফুসের ক্যান্সার |
অন্যান্য নাম | ডন ওডে |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২২-১৯৪৩ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন পেইন (বি. ১৯৩৭; বিচ্ছেদ. ১৯৪২) অ্যাড্রিয়ান স্কট (বি. ১৯৪৫; বিচ্ছেদ. ১৯৪৮) চার্লস লেডেরার (বি. ১৯৪৯; মৃ. ১৯৭৬) |
সন্তান | ২, জুলি পেইন-সহ |
শার্লি ১৯৪৪ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে অভিনয় থেকে অবসর নেন। বাকি জীবন তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে কাটান এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[1]
অ্যান শার্লি ১৯১৮ সালের ১৭ই এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার প্রকৃত নাম ডন ইভলিন প্যারিস। শিশু অবস্থাতেই তিনি মডেলিং শুরু করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি ডন ওডে নামে ১৯২২ সালে মাত্র চার বছর বয়সে তিনি মুনশাইন ভ্যালি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।[2] পাঁচ বছর বয়সে তিনি ওয়াল্ট ডিজনির প্রাক-মিকি মাউস নির্বাক অ্যানিমেটেড ধারাবাহিক "অ্যালিস ইন কার্টুনল্যান্ড"-এ লাইভ অ্যাকশন অ্যালিস চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রাক-কোড চলচ্চিত্রে তিনি খুবই সফল শিশুশিল্পী ছিলেন, এই সময়ে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লিলিওম, টম মিক্সের রাইডার্স অব দ্য পার্পল সেজ, সো বিগ, থ্রি অন আ ম্যাচ ও রাসপুতিন অ্যান্ড দ্য এমপ্রেস।
১৯৩৪ সালে তিনি অ্যান অব গ্রিন গেবলস (১৯৩৪) চলচ্চিত্রে অ্যান শার্লি নামক চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই নামটিই তার পর্দানাম হিসেবে গ্রহণ করেন। অ্যান শার্লি নাম গ্রহণের পর তিনি স্টিমবোট 'রাউন্ড দ্য বেন্ড, মেক ওয়ে ফর আ লেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৩৭ সালে স্টেলা ডালাস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[3]
তার ১৯৪০ সালের স্যাটারডেস চিলড্রেন চলচ্চিত্রে অভিনয় সম্পর্কে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বসলি ক্রাউদার লিখেন "তিনি বীরত্বপূর্ণ সততা ও চরিত্রের সামর্থ্যের সাথে তার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।"[4] তার পরবর্তী চলচ্চিত্রগুলো হল ভিগিল ইন দ্য নাইট (১৯৪০), অ্যান অব উইন্ডি পোপলার্স, ও দ্য ডেভিল অ্যান্ড ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার (১৯৪১)। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল মার্ডার, মাই সুইট (১৯৪৪)। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় সম্পর্কে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বসলি ক্রাউদার লিখেন "সকল পার্শ্ব অভিনয়শিল্পী খুবই ভালো অভিনয় করেছেন,... অ্যান শার্লি তন্মধ্যে নিষ্পাপ চরিত্রে"।[5]
শার্লি ১৯৩৭ সালের ২২শে আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটোতে অভিনেতা জন পেইনকে বিয়ে করেন।[6] তাদের কন্যা প্রাক্তন অভিনেত্রী জুলি পেইন। ১৯৪৩ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[7]
তার দ্বিতীয় স্বামী চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার অ্যাড্রিয়ান স্কট। স্কট হলিউডের কালোতালিকাভুক্ত হলে সপরিবারে ইউরোপে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে শার্লি তাকে একটি "ডিয়ার জন" চিঠি লিখে, যাতে উল্লেখ করে যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়ে যাবেন এবং তাকে তালাক দিবেন। ১৯৪৯ সালে শার্লি তাকে তালাক দেন।[8]
তার তৃতীয় স্বামী ছিলেন চার্লস লেডেরার। তাদের পুত্র ড্যানিয়েল লেডেরার ১৯৭৬ সালে চার্লসের মৃত্যুর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।[7]
শার্লির তার থেকে কম বয়সী পশ্চিমা ঘরানার চলচ্চিত্র তারকা ররি ক্যালহোনের সাথে এবং ফরাসি চলচ্চিত্র তারকা জঁ-পিয়ের ওমোঁর সাথে অল্প সময় সম্পর্ক ছিল।
শার্লি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৩ সালের ৪ঠা জুলাই লস অ্যাঞ্জেলেসে মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ ভস্ম করা হয়।[7] চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য ১৯৬০ সালে ৬২৫৫ সানসেট বুলেভারের হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত তারকা খচিত করা হয়।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.