অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি
From Wikipedia, the free encyclopedia
অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি[lower-alpha 1] (ফরাসি: Organisation internationale de la Francophonie বা OIF; কখনও সংক্ষিপ্তরূপে ফরাসি: La Francophonie [la fʁɑ̃kɔfɔni]),[2][টীকা 1] যা ইংরেজি ভাষার প্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ লা ফ্র্যাঙ্কোফোনি নামেও অবিহিত হয়,[3] হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা সেইসব দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে যেখানে ফরাসি একটি লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা প্রথাগত ভাষা, যেখানে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত ফ্রঁকোফোন (ফরাসিভাষী) অথবা যেখানে ফরাসি সংস্কৃতির সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সম্বন্ধ রয়েছে।
সংস্থাটি ৮৮টি সদস্য রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে গঠিত; এর মধ্যে ৫৪টি রাষ্ট্র ও সরকার পূর্ণ সদস্য, ৭টি সহযোগী সদস্য আর ২৭টি পর্যবেক্ষক। এছাড়া ফ্রঁকোফোনি (francophonie) বা ফ্র্যাঙ্কোস্ফিয়ার (francosphere) পরিভাষা দ্বারা ফরাসিভাষীদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়কেও বোঝানো হয়,[4] যা অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত নেটওয়ার্ক নিয়ে গঠিত। এটি সেসব দেশের মধ্যে সমান সম্পর্ক প্রচার করে যেখানে ফরাসি জাতি বা ফ্রান্স সাংস্কৃতিক, সামরিক বা রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।
আধুনিক এই সংগঠনটি ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এর নীতিবাক্য হল “সমতা, পরিপূরকতা, সংহতি” (égalité, complémentarité, solidarité),[5] যা ফ্রান্সের নীতিবাক্য স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্বের (liberté, égalité, fraternité) একটি ইচ্ছাকৃত পরোক্ষোল্লেখ। ফরাসিভাষী দেশগুলোর একটি ছোট দল হিসেবে যাত্রা শুরু করে লা ফ্রঁকোফোনি আজ একটি বৈশ্বিক সংস্থায় বিকশিত হয়েছে যার অসংখ্য শাখা সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ন্যায়বিচার ও শান্তির ক্ষেত্রে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা করে।