অপারেশন পোলো
ভারতে হায়দ্রাবাদ রাজ্য অন্তর্ভুক্তি / From Wikipedia, the free encyclopedia
অপারেশন পোলোর ১৯৪৮ সালে সেপ্টেম্বরে তৎকালীন সদ্য স্বাধীন হওয়া ভারতীয় প্রজাতন্ত্র একটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নিজাম শাসিত স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্য ভারতীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে।[5][6][7]
অপারেশন পোলো | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯০৯ সালে হায়দ্রাবাদ রাজ্য | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
ভারত | হায়দ্রাবাদ রাজ্য | ||||||
শক্তি | |||||||
৩৫,০০০ ভারতীয় সেনাবাহিনী |
| ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
১০ জন নিহত[1] | |||||||
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় ভারতের যে সকল রাজ্য নীতিগতভাবে নিজস্ব ভূখণ্ডে স্ব-শাসিত ছিল, ব্রিটিশ সরকার তাদের ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগদান করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল।[8]১৯৪৮ সাল নাগাদ প্রায় রাজ্যই ভারত বা পাকিস্তানে যোগদান করেছিল। তবে এর ব্যতিক্রম ছিল তৎকালীন নিজাম শাসিত সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী রাজত্ব হায়দ্রাবাদ। এর নিজাম ওসমান আলী খান, আসাফ জাহ ছিলেন একজন মুসলিম শাসক, যিনি বৃহত্তর হিন্দু জনসংখ্যার সভাপতিত্ব করেছিলেন। তিনি ভারত অথবা পাকিস্তানে যুক্ত না হয়ে অনিয়মিত সেনাবাহিনীর সাথে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে থাকার আশা করেছিলেন।[9]
১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত রাজ্যটিকে আক্রমণ করে। এরপর অর্থনৈতিক অবরোধ, রেলপথ বিঘ্নিত করা, সরকারি ভবনগুলিতে বোমা হামলা এবং সীমান্ত গ্রামগুলিতে ব্যাপক অভিযানের ফলে নিজাম বাধ্য হয়ে ভারতে যোগদানের একটি দলিলে স্বাক্ষর করেন। [10] [11][12][13][14] কারণ অভিযানটি দিন দিন ব্যাপক সহিংসতার দিকে যাচ্ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজামের সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে। পরবর্তীকালে, নিজাম ভারতে যোগদানের একটি দলিল স্বাক্ষর করেন। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কর্তৃক নিযুক্ত সুন্দরলাল কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, যুদ্ধে রাজ্যটিতে মোট ৩০,০০০-৪০,০০০ লোক মারা গেছেন।[3] অন্যান্য দায়িত্বশীল পর্যবেক্ষকগণ মৃত্যুর সংখ্যা ২০০,০০০ বা তার চেয়েও বেশি বলে অনুমান করেছেন। [15]