হিমাচল প্রদেশ
ভারতের একটি রাজ্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
হিমাচল প্রদেশ (হিন্দি: हिमाचल प्रदेश, /hɪˌmɑːtʃəl
হিমাচল প্রদেশ हिमाचल प्रदेश | |
---|---|
রাজ্য | |
শিমলা রাতে | |
দেশ | ভারত |
অঞ্চল | উত্তর ভারত |
প্রতিষ্ঠা | ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ |
রাজ্যের রাজধানী | শিমলা ধর্মশালা(শীতকালে দ্বিতীয় রাজধানী) |
সরকার | |
• রাজ্যপাল | রাজেন্দ্র আরলেকর |
• মুখ্যমন্ত্রী | জয় রাম ঠাকুর |
আয়তন | |
• মোট | ৫৫,৬৭৩ বর্গকিমি (২১,৪৯৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৭তম |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬৮,৫৬,৫০৯ |
• ক্রম | ১৭তম |
ওয়েবসাইট | www.himachal.nic.in/welcome.asp |
হিমাচল প্রদেশের অপর নাম দেবভূমি (দেবতাদের দেশ)। ঋগ্বৈদিক যুগের পূর্ব থেকেই এই অঞ্চলে ইন্দো-আর্য প্রভাব লক্ষিত হয়। অ্যাংলো-গোর্খা যুদ্ধের পর এই অঞ্চল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের অধীনস্থ হয়। পার্বত্য পাঞ্জাবের সিবা রাজ্য (Siba State of Punjab Hills) ব্যতীত এই অঞ্চলের অপরাপর অংশ প্রথম দিকে পাঞ্জাবের অন্তর্গত হয়। উল্লেখ্য সিবা রাজ্য ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত মহারাজা রঞ্জিত সিংহের শাসনাধীন ছিল।[3] ১৯৫০ সালে হিমাচল একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হয়। এরপর ১৯৭০ সালের হিমাচল প্রদেশ রাজ্য আইন অনুযায়ী ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অষ্টাদশ রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ রাজ্যে বহু স্বনামধন্য বোর্ডিং স্কুল অবস্থিত।
মাথাপিছু আয়ের হিসেব অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশ ভারতের একটি প্রথম সারির রাজ্য। বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর প্রাচুর্যের কারণে এই রাজ্য দিল্লি, পাঞ্জাব ও রাজস্থান রাজ্যকে প্রচুর পরিমাণে জলবিদ্যুৎ বিক্রয় করে থাকে। হিমাচল প্রদেশের অর্থনীতি জলবিদ্যুৎ, পর্যটন ও কৃষির উপর গভীরভাবে নির্ভরশীল।[4]
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হিমাচল প্রদেশের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ। অনুপাতের হিসেবে ভারতের এই রাজ্যেই হিন্দুদের সংখ্যা সর্বাধিক। ২০০৫ সালের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সমীক্ষা অনুসারে, কেরলের পর হিমাচল প্রদেশ ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য।[5]