সন্ন্যাস (চতুর্থ আশ্রম)
আশ্রম পদ্ধতির চতুর্থ পর্যায় / From Wikipedia, the free encyclopedia
সন্ন্যাস (সংস্কৃত: संन्यास) হলো ত্যাগের জীবন ও হিন্দু পদ্ধতির চারটি জীবনপর্যায়ের মধ্যে চতুর্থ পর্যায় যা আশ্রম নামে পরিচিত, অন্যগুলো হলো ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য ও বানপ্রস্থ।[1] সাধারণত পুরুষ বা নারীদের জীবনের শেষ বছরগুলিতে সন্ন্যাস ধারণা করা হয়, কিন্তু অল্প বয়স্ক ব্রহ্মচারীদের গার্হস্থ্য ও বানপ্রস্থ এড়িয়ে যাওয়ার, এবং জাগতিক ও বস্তুবাদী সাধনা ত্যাগের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক সাধনায় জীবন উৎসর্গ করার স্বাধীনতা ছিল।
সন্ন্যাস হলো একধরনের তপস্যা যা বস্তুগত আকাঙ্ক্ষা ও কুসংস্কারের পরিত্যাগ সহ বস্তুগত জীবন থেকে অনাগ্রহ ও বিচ্ছিন্নতার অবস্থার, এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় জীবন অতিবাহিত করাকে বোঝায়।[2][3] হিন্দুধর্মে সন্ন্যাস আশ্রমে পুরুষরা সন্ন্যাসী এবং নারীরা সন্ন্যাসিনী নামে পরিচিত।[টীকা 1] জৈন সন্ন্যাসবাদের সাধু ও সাধ্বী ঐতিহ্যের সাথে সন্ন্যাসের, এবং সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষু এবং ভিক্ষুণীদের সাথে মিল রয়েছে।[5]
দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ব্রিটিশ রাজের মাধ্যমে ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা ও আক্রমণের পরবর্তীতে, শৈব (গোসাইন) ও বৈষ্ণব (বৈরাগী) তপস্বীদের কিছু অংশ সামরিক শৃঙ্খলায় রূপান্তরিত হয়েছিল, যেখানে তারা মার্শাল আর্ট তৈরি করেছিল, সামরিক কৌশল তৈরি করেছিল এবং গেরিলা যুদ্ধে নিযুক্ত ছিল।[6] যোদ্ধা সন্যাসীরা (তপস্বী) ভারতীয় উপমহাদেশে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো।[7]