ম্যাগি স্মিথ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ডেম মার্গারেট নাটালি স্মিথ, সিএইচ, ডিবিই (ইংরেজি: Dame Margaret Natalie Smith, জন্ম: ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৪) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী। ৬৬ বছরের কর্মজীবনে তিনি মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন। তিনি পঞ্চাশের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ছয় দশক ধরে ব্রিটিশ সংস্কৃতির অন্যান্য ব্যক্তিত্ব স্মিথকে প্রদর্শন কলায় তার অবদানের জন্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৯০ সালে ডেমহুড প্রদান করেন,[1] এবং নাটকে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাণীর কাছ থেকে ২০১৪ সালে কম্প্যানিয়ন অব অনার লাভ করেন।[2]
ডেম ম্যাগি স্মিথ সিএইচ ডিবিই | |
---|---|
জন্ম | মার্গারেট নাটালি স্মিথ (1934-12-28) ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৪ (বয়স ৮৯) |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | স্যার রবার্ট স্টিফেনস (বি. ১৯৬৭; বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৭৪) বেভারলি ক্রস (বি. ১৯৭৫; বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৯৮) |
সন্তান | ক্রিস লার্কিন টোবি স্টিফেনস |
স্মিথ ১৯৫২ সালে অক্সফোর্ড প্লেহাউজের শিক্ষার্থী থাকাকালীন মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন এবং ১৯৫৬ সালে ব্রডওয়ের নিউ ফেসেস নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেন। লন্ডন মঞ্চে তার দ্য প্রাইভেট ইয়ার ও দ্য পাবলিক আই (১৯৬২), হেডা গ্যাবলার (১৯৭০), ভার্জিনিয়া (১৯৮১), দ্য ওয়ে অব দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৮৪) এবং ট্রি টল ওমেন (১৯৯৪) নাটকে অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রাইভেট লাইভ্স (১৯৭৫) ও নাইট অ্যান্ড ডে (১৯৭৯) নাটকের জন্য টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ১৯৯০ সালে লেটিস অ্যান্ড লাভেজ নাটকের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মঞ্চ ভূমিকা হল স্ট্রাটফোর্ড শেকসপিয়ার উৎসবের অ্যান্থনি অ্যান্ড ক্লিওপ্লেট্রা (১৯৭৬), ও ম্যাকবেথ (১৯৭৮), এবং ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটারের আ ডেলিকেট ব্যালেন্স (১৯৯৭) ও দ্য ব্রেথ অব লাইফ (২০০২)।
পর্দায় তিনি ১৯৫৮ সালের অপরাধধর্মী চলচ্চিত্র নোহোয়্যার টু গো (১৯৫৮) এ অভিনয় করে প্রথম সকলের দৃষ্টি কাড়েন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার প্রথম বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[3] তিনি রেকর্ড সংখ্যক চারবার শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন, যার মধ্যে রয়েছে দ্য প্রাইম অব মিস জঁ ব্রদি (১৯৬৯), আ প্রাইভেট ফাংকশন (১৯৮৪), আ রুম উইথ আ ভিউ (১৯৮৬) ও দ্য লোনলি প্যাসন অব জুডিথ হির্ন (১৯৮৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য এবং টি উইথ মুসোলিনি (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের জন্য একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছয়বার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, যার মধ্যে দ্য প্রাইম অব মিস জঁ ব্রদি (১৯৬৯) ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার এবং ক্যালিফোর্নিয়া সুইট (১৯৭৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছয়জন অভিনেত্রীর জন্য একজন, যিনি এই দুই বিভাগেই পুরস্কার লাভ করেছেন।[4] তার অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ওথেলো (১৯৬৫), ট্রাভেল্স উইথ মাই আন্ট (১৯৭২), আ রুম উইথ আ ভিউ (১৯৮৬) এবং গসফোর্ড পার্ক (২০০১)। এছাড়া তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।