মুহাম্মাদ ঘুরি
ঘুর সাম্রাজ্যের সুলতান / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুইজউদ্দিন মুহাম্মাদ (ফার্সি: معزالدین محمد), জন্মনাম শিহাবউদ্দিন (১১৪৯ – মার্চ ১৫, ১২০৬), (মুহাম্মাদ ঘুরি বলেও পরিচিত) ছিলেন ঘুরি সাম্রাজ্যের সুলতান। তার ভাই গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মাদের সাথে তিনি ১১৭৩ থেকে ১২০২ পর্যন্ত শাসন করেন। এরপর ১২০২ থেকে ১২০৬ পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে শাসন করেন।
মুইজউদ্দিন মুহাম্মাদ | |
---|---|
ঘুরি সালতানাতের সুলতান | |
রাজত্ব | ১১৭৩-১২০২ (তার ভাই গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মাদের সাথে); (স্বাধীন শাসক হিসেবে ১২০২-১২০৬) |
পূর্বসূরি | গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মাদ |
উত্তরসূরি | ঘুর: গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ গজনি: তাজউদ্দিন ইলদিজ দিল্লি: কুতুবউদ্দিন আইবেক বাংলা: মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজি মুলতান: নাসিরউদ্দিন কাবাচা |
জন্ম | ১১৪৯ ঘুর, বর্তমান আফগানিস্তান |
মৃত্যু | মার্চ ১৫, ১২০৬ দামিয়াক, ঝিলম জেলা, বর্তমান পাকিস্তান |
সমাধি | দামিয়াক, ঝিলম জেলা, বর্তমান পাকিস্তান |
প্রাসাদ | ঘুরি রাজবংশ |
পিতা | প্রথম বাহাউদ্দিন সাম |
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি)[1] |
মুইজউদ্দিন ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্যতম মহান শাসক ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম শাসনের ভিত্তি তিনি স্থাপন করেছেন। তার শাসনাধীন অঞ্চলসমূহের মধ্যে রয়েছে বর্তমান আফগানিস্তান, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত।
১১৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মুইজউদ্দিন গজনি শহর দখল করে নেন। তিনি উত্তর ভারতে অভিযানের জন্য এই শহরকে সূচনাস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন।[1] এ সময়ে পশ্চিম এশিয়ায় বৃহত্তর খোরাসানের আধিপত্য নিয়ে খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্যের সাথে প্রতিযোগীতায় তিনি তার ভাই গিয়াসউদ্দিনকে সহায়তা করেন। ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে হামিদ লুদি রাজবংশের কাছ থেকে মুইজউদ্দিন মুলতান জয় করেন। হামিদ লুদিরা পশতু ছিল তবে ইসমাইলি শিয়াদের সাথে তাদের সংযোগের কারণে অনৈসলামিক বলে অভিযোগ ছিল। ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ অধিকার করেন। এছাড়াও তিনি ১১৮৬ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরের গজনভি রাজ্যকে নিজ অধিকারে নিয়ে আসেন। এটি ছিল তার সর্বশেষ পারস্যায়িত প্রতিপক্ষ।[1] ১২০২ খ্রিষ্টাব্দে গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যুর পর মুইজউদ্দিন ঘুরি সাম্রাজ্যের শাসক এবং ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শাসন করেন।
এ সময় ঘুরি নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয়। ১২১৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে খোয়ারিজমীয়রা ঘুরি সালতানাতের উপর জয়ী হয়। ঘুরি সাম্রাজ্য ভেঙে পড়লেও তৈমুরীয়দের আগমনের আগ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ঘুরি রাজ্য টিকে ছিল। মুইজউদ্দিনের বিজয় অভিযান ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। মুইজউদ্দিনের একজন সাবেক দাস কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির প্রথম সুলতান ছিলেন।