মালালা ইউসুফজাই
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
মালালা ইউসুফজাই (উর্দু: ملالہ یوسفزئی, প্রতিবর্ণী. মলালহ্ য়ূসফ্জ়য়); (পশতু: ملاله یوسفزۍ, প্রতিবর্ণী. মলাল যুসফ্জ়য / [məˈlaːlə jusəf ˈzəj];[1] জন্ম: ১২ জুলাই, ১৯৯৭)[2][3] একজন পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী, যিনি সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।[4] তিনি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকা অঞ্চলে শিক্ষা এবং নারী অধিকারের ওপর আন্দোলনের জন্য পরিচিত।
মালালা ইউসুফজাই | |
---|---|
ملاله یوسفزۍ | |
জন্ম | (1997-07-12) ১২ জুলাই ১৯৯৭ (বয়স ২৬) |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
পেশা | ছাত্রী, মানবতাবাদী |
পরিচিতির কারণ | নারী শিক্ষা ও শিক্ষার অধিকার অন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | আসার মালিক(বি. ২০২১) |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার |
|
ওয়েবসাইট | www |
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মালালা বিবিসির জন্য ছদ্মনামে একটি ব্লগ লেখেন, যেখানে তিনি তালিবান শাসনের অধীনে তার জীবন ও সোয়াত উপত্যকায় মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তার মতামত ব্যক্ত করেন। পরের বছর গ্রীষ্মকালে সাংবাদিক অ্যাডান এলিক তার জীবন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন্য একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।[3] এরপর মালালা সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলনকর্মী ডেসমন্ড টুটু দ্বারা আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ অক্টোবর, স্কুলের বাসে একজন বন্দুকধারী তাকে চিহ্নিত করে তিনটি গুলি করে, যার মধ্যে একটি তার কপালের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে চামড়ার তলা দিয়ে তার মুখমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে কাঁধে প্রবেশ করে।[5] পরবর্তী বেশ কয়েকদিন তিনি অচৈতন্য ছিলেন ও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বার্মিংহ্যাম শহরের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ডয়েশ্ ওয়েল ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত কিশোরী বলে মনে করে।[6] জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষাকার্যক্রমের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন ইউসুফজাইয়ের নামে জাতিসংঘের একটি আবেদনে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষে বিশ্বের সকল শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করার দাবি করেন; যা পাকিস্তানের প্রথম শিক্ষার অধিকার বিলের আনুষ্ঠানিক সমর্থনের পক্ষে সহায়ক হয়।[7] ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে টাইম পত্রিকা ইউসুফজাইকে বিশ্বের ১০০জন সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের একজন বলে গণ্য করেন। তিনি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে শাখারভ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন ও অক্টোবর মাসে কানাডা সরকার তাকে সাম্মানিক কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা ঘোষণা করে।[8] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে সুইডেনের বিশ্ব শিশু পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।[9] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে হ্যালিফ্যাক্সে ইউনিভার্সিটি অব কিং'স কলেজ তাকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করে।[10] এই বছরের শেষের দিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে যুগ্মভাবে মালালার নাম ঘোষণা করা হয়। মাত্র সতেরো বছর বয়সে তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব।[11][12][13] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাছাইকৃত তথ্যচিত্র হি নেমড মি মালালা তার জীবন নিয়ে তৈরি হয়।[14]