তেহরান
ইরানের রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
তেহরান (/tɛəˈræn,
তেহরান تهران | |
---|---|
রাজধানী | |
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: আজাদি মিনার; তাবিয়াত সেতু এবং আলবোর্জ; ন্যাশনাল গার্ডেন; জাতীয় জাদুঘর; সিটি থিয়েটার; গোলেস্তন প্রাসাদ এবং মিলাদ টাওয়ার | |
ইরান এবং এশিয়ায় শহরটির অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৫°৪১′২১″ উত্তর ৫১°২৩′২০″ পূর্ব | |
দেশ | ইরান |
প্রদেশ | তেহরন |
কাউন্টি | তেহরান রে শেমিরানাত |
জেলা | মধ্য |
সরকার | |
• মেয়র | আলিরেজা জাকানি |
• সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান | মেহদি চামরান |
আয়তন[1] | |
• পৌর এলাকা | ৬১৫ বর্গকিমি (২৩৭ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২,২৩৫ বর্গকিমি (৮৬৩ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[2] | ৯০০ থেকে ১,৮৩০ মিটার (২,৯৫২ থেকে ৬,০০৩ ফুট) |
জনসংখ্যা [3] | |
• জনঘনত্ব | ১১,৮০০/বর্গকিমি (৩১,০০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৮৬,৯৩,৭০৬[4] |
• মহানগর | ১,৬০,০০,৩৭৮[5] |
বিশেষণ | তেহরানি |
সময় অঞ্চল | আইআরএসটি (ইউটিসি+০৩:৩০) |
এলাকা কোড | (+৯৮) ০২১ |
ওয়েবসাইট | www.tehran.ir |
ধ্রুপদী যুগে, বর্তমান তেহরানের ভূখণ্ডের কিছু অংশ মিডিয়ান সাম্রাজ্যের বিশিষ্ট রেই শহরেরর দখলে ছিল। পরবর্তীতে আরব, তুর্কি ও মঙ্গোল আক্রমণে শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়।[8] আধুনিক রেই একটি শহুরে এলাকা যা বৃহত্তর তেহরানের মেট্রোপলিটান এলাকার অংশ।
১৭৮৬ সালে কাজার রাজবংশের আগা মোহাম্মদ খান তেহরানকে প্রথম ইরানের রাজধানী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। ককেশাসের ইরানি অঞ্চলগুলোর সাথে নৈকট্যের কারণে এবং ইরানের পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন রাজবংশের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সাথে দ্বন্দ্ব এড়াতে তেহরানে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল। যদিও রুশ-ইরান যুদ্ধগুলোর কারণে ককেশাসের সেই অঞ্চলগুলো রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছিল। ইতিহাস জুড়ে বেশ কয়েকবার ইরান তথা পারস্যের রাজধানী পরিবর্তন করা হয়েছে। তেহরান পারস্যের ৩২তম জাতীয় রাজধানী। ১৯২০-এর দশকে তেহরানজুড়ে ব্যাপক পরিসরে ধ্বংস ও পুনর্নির্মাণ শুরু হয় এবং এর ফলে তেহরান বিংশ শতাব্দীতে পুরো ইরান থেকে ব্যাপক অভিবাসন-গন্তব্য হয়ে উঠেছে।[9]
তেহরান রয়েছে গোলেস্তান, সা'দাবাদ এবং নিয়াভারানের রাজকীয় কমপ্লেক্সের মতো ঐতিহাসিক স্থান। এই কমপ্লেক্স থেকেই প্রাক্তন ইম্পেরিয়াল স্টেট অফ ইরানের শেষ দুটি রাজবংশ দেশ শাসন করত। তেহরানের সবচেয়ে বিখ্যাত ল্যান্ডমার্কগুলোর মধ্যে রয়েছে আজাদি মিনার ও মিলাদ টাওয়ার। ১৯৭১ সালে ইরানের ইম্পেরিয়াল স্টেটের প্রতিষ্ঠার ২,৫০০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে পাহলভি রাজবংশের মোহাম্মদ রেজা শাহের শাসনামলে একটি স্মৃতিসৌধ হিসেবে আজাদি মিনার নির্মিত হয়। অন্যদিকে মিলাদ টাওয়ার হচ্ছে বিশ্বের ষষ্ঠ-উচ্চতম স্বাবলম্বী টাওয়ার। রেজা শাহ এর পরিকল্পনা করলেও ২০০৭ সালে এর নির্মানকাজ সম্পন্ন হয়। এছাড়াও ২০১৪ সালে নির্মানকাজ সমাপ্ত হওয়া তাবিয়াত সেতুও বেশ বিখ্যাত।[10]
তেহরানের জনসংখ্যার অধিকাংশই পারসিক[11][12] এবং তাদের প্রায় ৯৯% ফারসি ভাষা বোঝে ও বলে, তবে অন্যান্য জাতি ও ভাষাগত গোষ্ঠীর বিশাল জনগোষ্ঠী তেহরানে বাস করে এবং তারা ফার্সিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।[13]
তেহরানের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর), একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর (মেহরাবাদ বিমানবন্দর), একটি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন, একটি দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম, তেহরান মেট্রো, একটি বাস দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা, ট্রলিবাস এবং মহাসড়কের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে।
বায়ু দূষণ এবং ভূমিকম্পের কারণে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে অন্য এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি। কনসালট্যান্ট মার্সারের ২৩০টি শহরের একটি ২০১৬ জরিপ তেহরানকে জীবনের মানের জন্য ২০৩তম স্থান দিয়েছে।[14] ২০১৬ সালের গ্লোবাল ডেস্টিনেশনস সিটি ইনডেক্স অনুসারে, তেহরান শীর্ষ দশটি দ্রুত বর্ধনশীল গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে।[15]
সিটি কাউন্সিল ২০১৬ সালে ৬ অক্টোবর তেহরান দিবস ঘোষণা করে। ১৯০৭ সালে যেদিন শহরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের রাজধানী হয় সেই দিন উপলক্ষ্যে এটি উদ্যাপিত হয়।[16]