কুয়াংচৌ
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী নগরী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কুয়াংচৌ[টীকা 1] (চীনা: 广州市; ফিনিন: Guǎngzhōu; আ-ধ্ব-ব: [kwàŋ.ʈʂóu]; শুনুনⓘ) দক্ষিণ-পূর্ব চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের রাজধানী নগরী, সমুদ্রবন্দর এবং শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্র। দক্ষিণ চীনের ব্যস্ততম এই বন্দরনগরীটি কুয়াংতুং প্রদেশের দক্ষিণ-মধ্যভাগে, হংকং নগরীর উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে, দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূল থেকে চীনা মূল ভূখণ্ডের ১৪৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে, চু চিয়াং নদীর (মুক্তা নদী) বিশাল ব-দ্বীপ অববাহিকার উত্তর মাথায় অবস্থিত। চীনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদী এবং সমুদ্রের সংযোগস্থলটিতে অবস্থানের কারণে কুয়াংচৌ বহুযুগ ধরেই চীনের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রগুলির একটি। মূল কুয়াংচৌ নগরীর আয়তন প্রায় ২৮০ বর্গকিলোমিটার; বৃহত্তর নগরীর আয়তন প্রায় ৩,৮৪৩ বর্গকিলোমিটার এবং কুয়াংচৌ মহানগর এলাকার আয়তন প্রায় ৭,৪৩৪ বর্গকিলোমিটার। ২০১o সালের জনগণনা ও তৎকালীন নগরপাল ওয়ানছিং লিয়াংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী নগরীতে প্রায় ১ কোটি ৩ লক্ষ নিবন্ধিত অধিবাসী এবং আরও প্রায় ৫০ লক্ষ বা অর্ধকোটি ভাসমান অধিবাসী ছিল।[6] ২০১০ সালের জনসংখ্যার বিচারে কুয়াংচৌ একটি অতিমহানগরী, দক্ষিণ চীনের বৃহত্তম নগরী ও সমগ্র চীনের ৩য় বৃহত্তম নগরী (বেইজিং ও সাংহাইয়ের পরেই )।[7][8] ২০১৮ সালের শেষে এসে নগর কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলন অনুযায়ী কুয়াংচৌ নগরীর নিবন্ধিত জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ৩.৮%।[9]
কুয়াংচৌ 广州市 | |
---|---|
উপ-প্রাদেশিক নগরী | |
কুয়াংতোং প্রদেশে কুয়াংচৌ শহরের অবস্থান | |
চীনে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°০৮′ উত্তর ১১৩°১৬′ পূর্ব | |
দেশ | চীন |
প্রদেশ | কুয়াংতুং |
সরকার | |
• ধরন | অধীনস্থ-প্রাদেশিক শহর |
• মেয়র | রেন জিওফেন |
• মেয়র | ওয়েন গুওহিই |
আয়তন[1] | |
• উপ-প্রাদেশিক নগরী | ৭,৪৩৪.৪ বর্গকিমি (২,৮৭০ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৩,৮৪৩.৪৩ বর্গকিমি (১,৪৮৩.৯৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২১ মিটার (৬৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৪)[2] | |
• উপ-প্রাদেশিক নগরী | ১,৩০,৮০,৫০০ |
• জনঘনত্ব | ১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৬০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা[3] | ১,১২,৬৪,৮০০ |
• মহানগর (2013)[4] | ২,৩৯,০০,০০০ |
বিশেষণ | Cantonese |
সময় অঞ্চল | চিনা প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৮:০০) |
জিডিপি[5] | ২০১৫ |
- Total | CN¥1,81 ট্রলিয়ন (US$275.13 বিলিয়ন) |
- Per capita | CN¥138,329 (US$21,026) |
- Growth | 8.4% |
Licence plate prefixes | 粤A |
ফুল | বোমবাক্স কাইবে |
পাখি | চাইনিজ হামেই |
ওয়েবসাইট | english |
কুয়াংচৌ | |||||||||||||||||||||||||||||||
সরলীকৃত চীনা | 广州 | ||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 廣州 | ||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যান্টনীয় উপভাষা ইয়েল | Gwóngjāu | ||||||||||||||||||||||||||||||
পোস্টাল | Canton | ||||||||||||||||||||||||||||||
|
প্রশাসনিকভাবে কুয়াংচৌ নগরীটিকে একটি উপপ্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।[10] এটি চীনের নয়টি জাতীয় কেন্দ্রীয় নগরীর একটি।[11]
ভৌগোলিকভাবে কুয়াংচৌ নগরকেন্দ্রটি উত্তরের পাই ইউন (শুভ্রমেঘ) নামের একটি অনতিউচ্চ (৩৮২ মিটার) পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। নগরকেন্দ্রের ঠিক দক্ষিণ ঘেঁষে চু চিয়াং নদীটি চলে গিয়েছে। এটি শি নদীর শাখা হিসেবে বের হয়ে পরে তুং নদীর সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণের চুচিয়াং ব-দ্বীপ অববাহিকার উত্তর সীমানা গঠন করেছে। কুয়াংচৌ নগরীর জলবায়ু আর্দ্র উপক্রান্তীয় ও মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত। আর্দ্র, উত্তপ্ত গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং মাঝে মাঝে টাইফুন ঘূর্ণিঝড় হয়। সারা বছর ধরেই কৃষিকাজ চলে ও ফলন হয়। এছাড়া সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে বলে কুয়াংচৌকে "ফুলের নগরী" (হুয়াছেং) নাম দেওয়া হয়েছে।
কুয়াংচৌ চীনের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরীগুলির একটি। স্থানীয় অধিবাসীরা ইউয়ে ভাষায় কথা বলে, যা সিংহভাগ চীনাদের দ্বারা কথিত ম্যান্ডারিন ভাষা অপেক্ষা ভিন্ন। তবে উত্তর ও পূর্ব চীন থেকে কাজের সন্ধানে আগত অনেক অভিবাসী কর্মীর সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথে ম্যান্ডারিন ভাষার প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুয়াংচৌ থেকে ২০শ শতকের প্রথমভাগে প্রচুর অধিবাসী পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হয় এবং ১৯৮০-র দশকে এদের অনেকেই মাতৃনগরীতে ফেরত আসে। অন্যান্য প্রদেশ থেকে আগত অস্থায়ী শ্রমিক ও পাশ্চাত্য প্রত্যাবর্তনকৃত প্রবাসীদের কারণে কুয়াংচৌয়ের জনতাত্ত্বিক চেহারায় পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সেখান থেকে এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহুসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-বংশোদ্ভূত অস্থায়ী অভিবাসী কুয়াংচৌ নগরীতে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে আগমন করে।[12] ফলে শহরের জনতাত্ত্বিক কাঠামোয় আরও পরিবর্তন আসে।
কুয়াংচৌয়ের প্রতিষ্ঠা নিয়ে তেমন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এটি একটি প্রাচীন লোকালয় যাকে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে চীনা সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূত করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে মিং রাজবংশের শাসনামলে নগরীটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। কুয়াংচৌ ছিল বিদেশীদের জন্য উন্মুক্ত সর্বপ্রথম চীনা সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় ৩য় শতক থেকেই আরব, পারসিক, ভারতীয় ও অন্যান্য এশীয় বণিকেরা নিয়মিত বন্দরটিতে ব্যবসার জন্য আসত। ১৬শ শতক থেকে রেশম ও চীনামাটির তৈজসপত্রের সন্ধানে এখানে ইউরোপ থেকে পর্তুগিজ বণিকদের আগমন ঘটে। ১৭শ শতকের শেষভাগে প্রথমে ইংরেজ ও পরে ১৮শ শতকে ফরাসি ও ওলন্দাজ ব্যবসায়ীরা এখানে পদার্পণ করে। ইউরোপীয়রা নগরীটিকে "ক্যান্টন" বা এই জাতীয় নামে ডাকত। ইংরেজদের আফিম বাণিজ্যে কুয়াংচৌ প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে ইউরোপীয়দের সাথে চীনাদের আফিম যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) সংঘটিত হয়। যুদ্ধে চীনাদের পরাজয় ঘটে ও ১৮৪২ সালে কুয়াংচৌকে চুক্তি করে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য আংশিক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতা অব্যাহত থাকার জের ধরে ব্রিটিশ ও ফরাসিরা ১৮৫৬ থেকে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত নগরীটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শেষ পর্যন্ত ১৮৬১ সালে চু নদীর উপরের একটি চরকে (পরবর্তীতে যাকে শা-মিয়েন দ্বীপে রূপান্তরিত করা হয়) বিদেশীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসতি স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে দেওয়া হয়। ১৯শ শতকের শেষভাগে এসে কুয়াংচৌ নগরীটি চীনের জাতীয়তাবাদী দলের বিপ্লবী রাজনৈতিক ধ্যানধারণার এক ধরনের পীঠস্থানে পরিণত হয়। ১৯১১-১২ সালে সুন ইয়াত-সেনের (সুন চুংশান) নেতৃত্বে চীনে যে প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়, কুয়াংচৌ তার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়; কুয়াংচৌতে এসময় খুওমিনথাং নামক প্রধান রাজনৈতিক দলটির প্রাথমিক কার্যালয়টি অবস্থিত ছিল। ১৯২০-এর দশকে ব্যাপক পৌর পুনঃউন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জাপানিরা কুয়াংচৌ নগরীর উপর বোমাবর্ষণ করে এবং এটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৪৬ সালে শা-মিয়েন দ্বীপটিকে বিদেশীরা চীনকে ফেরত দিয়ে দেয়। বিশ্বযুদ্ধের পরে নগরীটি একটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে বিকাশ লাভ করে। শিল্পখাতের সম্প্রসারণ ও পৌর উন্নয়নের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধন ও বন্দরের উন্নয়ন সাধনমূলক কর্মকাণ্ডগুলিও সম্পাদন করা হয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলির সাথে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে কুয়াংচৌকে ১৯৮৪ সালে আরও বেশ কয়েকটি নগরীর সাথে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মনোনীত করা হয়। নগরীর প্রসারমান অর্থনীতি সমগ্র কুয়াংতুং প্রদেশের অর্থনীতি চাঙা করতে সাহায্য করে।
বহুকাল যাবৎ কুয়াংচৌ ছিল চীনের একমাত্র বন্দর যাতে সিংহভাগ বিদেশী বণিকদের প্রবেশাধিকার ছিল। প্রথম আফিম যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে পতনের পরে নগরীটি এই একচেটিয়া মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং অন্যান্য বন্দর যেমন সাংহাই ও হংকংয়ের কাছে কুয়াংচৌ অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য হারায়। তারপরেও একটি প্রধান আড়ত নগরী হিসবে এর মর্যাদা বজায় থাকে। বর্তমানে কুয়াংচৌতে খাদ্য (বিশেষত চিনি) প্রক্রিয়াজাতকরণ, বস্ত্র, ইস্পাত, কাগজ, সিমেন্ট, রাসায়নিক সার, রাসায়নিক দ্রব্য, মোটরযান ও যন্ত্রপাতি নির্মাণের শিল্পকারখানা আছে। নগরীটি সমুদ্র উপকূলের কাছে হুয়াংফু নামের একটি গভীর জলের পোতাশ্রয়বিশিষ্ট বহির্বন্দরের সাথে সংযুক্ত। এছাড়া কুয়াংচৌ নগরীর সাথে হংকং ও বেইজিং নগরীর সাথে রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে। কুয়াংচৌ চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রতিবছর এখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হয়, যাদের মধ্যে ক্যান্টন বাণিজ্যমেলাটি প্রাচীনতম ও বৃহত্তম। আন্তর্জাতিক ইংরেজিভাষী ব্যবসায় সাময়িকী ফোর্বস ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর কুয়াংচৌ নগরীকে মূল চীনা ভূখণ্ডের সেরা বাণিজ্যিক নগরীর মর্যাদা দান করে।[13] প্রতিবেশী ফোশান, তুংকুয়ান, চুংশান ও শেনচেন নগরীগুলির সাথে একত্রে মিলে কুয়াংচৌ নগরীটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটি পৌরপিণ্ড গঠন করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে মুক্তা নদীর ব-দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি চীনের মূল ভূখণ্ডের বৃহত্তম মহাপৌরপুঞ্জ এলাকাটির হৃৎকেন্দ্রে অবস্থিত।
শিক্ষাক্ষেত্রেও কুয়াংচৌ চীনের অগ্রগণ্য একটি কেন্দ্র। ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চুংশান (সুন ইয়াত সেন) বিশ্ববিদ্যালয়, একটি চিকিৎসা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং আরও অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এখানে।
কুয়াংচৌ নগরীর দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে শা-মিয়েন দ্বীপ, যেখানে অতীতে বিদেশী বণিকেরা বাস করত; মিং রাজবংশের আমলে ১৩৬৮-১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি মন্দির, যেটিকে বর্তমানে কৃষক আন্দোলন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে; ছয়টি বটবৃক্ষের মন্দির ও তার প্যাগোডা; ইউয়ে শিউ নগর-উদ্যানের ভেতরে অবস্থিত ও ১৪শ শতকে নির্মিত একটি সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি (বর্তমানে বাক্স আকৃতির কুয়াংচৌ জাদুঘরে পরিণত); নীল ছাদবিশিষ্ট সুন ইয়াত-সেন স্মারক মিলনায়তন; এবং একটি মসজিদ, যেটিকে চীনের প্রাচীনতম মসজিদ বলে কেউ কেউ দাবী করে থাকেন। চেন গোষ্ঠীর পূর্বপুরুষের মিলনায়তন ১৮৯৪ সালে নির্মিত একটি মন্দির এলাকা, যেখানে কুয়াংতুং লোকশিল্পকলা জাদুঘরটি অবস্থিত। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ভবন ও স্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে আভঁ-গার্দ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত জাহা হাদিদের নকশায় কুয়াংচৌ গীতিনাট্যশালা (যেটি "দুই নুড়িপাথর" নামেও পরিচিত) এবং নগরীর অন্যতম দৃশ্যমান প্রতীক ক্যান্টন টিভি বুরূজ নামক আকাশচুম্বী অট্টালিকাটি, যেটি দেখতে সরু একটি বালিঘড়ির মত।
২০১০ সালে কুয়াংচৌ শহরে এশীয় গেমস অনুষ্ঠিত হয়।