কার্বি জনগোষ্ঠী
আসামী জনগোষ্ঠী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কার্বি জনগোষ্ঠীর লোকরা আসামের সেউজীয়া পাহাড়ের বুকে বাস করা অন্যতম আদিম অধিবাসী। আগে তাঁরা মিকির বলে পরিচিত ছিল এবং তাঁরা বাস করা পার্বত্য জেলাটি মিকির পাহাড় নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের কার্বি বলেই জানা যায় এবং জেলাটির নামও কার্বি আংলং জেলা নামে নামকরণ করা হয়েছে। কার্বিরা বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে যদিও কার্বি আংলং মিকির পাহাড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ কার্বি লোক থাকার ঐতিহাসিক প্রমাণ থাকায়, এই জেলা কার্বিদের স্বায়ত্তশাসিত জেলা হিসাবে পরিগণিত হয়। অবশ্য এর জন্য কার্বিদের সংগঠিত রূপে লড়াই করতে হয়েছিল। ১৯৫২ সালের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত মিকির পাহাড় জেলা নামে নগাঁও জেলার সাথে সংযুক্ত ছিল। এর একটি অংশ শিবসাগর জেলা এবং খাসিয়া জয়ন্তীয়া জেলার সাথেও সংলগ্ন ছিল। বর্তমান কাবি আংলং জেলাটিই কার্বিদের মূল কর্মস্থল। কার্বিদের কৃষ্টি এবং জীবনদর্শনে খাসি ছিনটেং দর্শন ছাড়াও ভারতীয় হিন্দু দর্শনের প্রবাহ বিদ্যমান। 'ছাবিন আলুন' (কার্বি রামায়ণ), 'হাঈ'মু আলুন', বনগীত, সাধুকথা, ফকরা-যোজনা ইত্যাদি বিভিন্ন লোক সাহিত্যের মধ্যে থাকা কার্বি সমাজটি সমগ্র আসামের মাটির সাথে মিলে থাকা এক অমূল্য সম্পদ। কার্বিদের বাসস্থান হল আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, চীন, বাংলাদেশ, এবং থাইল্যান্ড।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৪১৯,৫৩৪ (আসাম, ২০০১ সালের জনগণনা মতে[1]) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
কার্বি আংলং (আসাম) | |
ভাষা | |
কার্বি ভাষা | |
ধর্ম | |
হিন্দু ধর্ম, জনজাতীয় ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম |
কার্বিদের মূলগোষ্ঠী ৫ টা-
- ইংহি,
- ইংতি,
- টেরাং,
- টেরণ এবং
- তিমুং।