আংকর বাট
কম্বোডিয়ার হিন্দু-বৌদ্ধ মন্দির / From Wikipedia, the free encyclopedia
আঙ্করভাট (অর্থাৎ "মন্দিরের শহর/রাজধানী", "আংকর" হল সংস্কৃত "নগর" শব্দের স্থানীয় উচ্চারণ) হলো কম্বোডিয়ার একটি মন্দির চত্বর এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সৌধ।[1] যা প্রায় ১৬২.৬ হেক্টর বা ৪০২ একর।[2] মূলত এটি খেমের সাম্রাজ্যের রাজাদ্বারা বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা একটি হিন্দু মন্দির।[1] পরে এটি ধীরে ধীরে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই কারণে এটিকে একটি "হিন্দু-বৌদ্ধ" মন্দির হিসাবেও বর্ণনা করা হয়।[3][4] মন্দির চত্বরটি একটি জাতীয় প্রতীক ও পবিত্র স্থান এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ও একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন গন্তব্য।[5]
អង្គរវត្ត | |
অবস্থান | সিম রিপ, কম্বোডিয়া |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৩°২৪′৪৫″ উত্তর ১০৩°৫২′০″ পূর্ব |
উচ্চতা | ৬৫ মি (২১৩ ফু) |
ইতিহাস | |
নির্মাতা | দ্বিতীয় সূর্যবর্মণ দ্বারা শুরু সপ্তম জয়বর্মণ দ্বারা সম্পন্ন |
প্রতিষ্ঠিত | দ্বাদশ শতাব্দী[1] |
সংস্কৃতি | খেমার সাম্রাজ্য |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | খেমার (আঙ্কোর ওয়াট শৈলী) |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | আঙ্কোর |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানক | i, ii, iii, iv |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 1992 (16th session) |
রেফারেন্স নং | 668 |
Region | Asia and the Pacific |
১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা ২য় সূর্যবর্মণ। তিনি এটিকে তার রাজধানী ও প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসাবে বিবেচিত।
আঙ্করভাটের নির্মাণশৈলী খেমার সাম্রাজ্যর স্থাপত্য শিল্পকলার অণুপম নিদর্শন। এটি কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে, এবং দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।
আঙ্করভাটে খেমের মন্দির নির্মাণ কৌশলের দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে - টেম্পল মাউন্টেন বা পাহাড়ি মন্দির ধাঁচ, ও গ্যালারি মন্দির ধাঁচ। এটি হিন্দু পুরাণের দেব-দেবীদের বাসস্থান মেরু পর্বতের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। এর চারদিকে রয়েছে পরিখা ও ৩.৬ কিমি দীর্ঘ প্রাচীর। ভিতরে ৩টি আয়তাকার গ্যালারি বা বেদি আকৃতির উঁচু এলাকা রয়েছে। মন্দিরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে স্তম্ভাকৃতির স্থাপনা। আংকরের অন্যান্য মন্দিরের সাথে পার্থক্য হল - এটির সম্মুখ ভাগ পশ্চিমমুখী। মন্দিরটির বিশালত্ব, সৌন্দর্য ছাড়াও এর দেয়ালের কারুকার্যের জন্য এটি সারা বিশ্বে পরিচিত।