যুক্তিদোষ
From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি যুক্তিদোষ বলতে যুক্তিনির্মাণের সময় অবৈধ কিংবা ত্রুটিপূর্ণ যুক্তিবিন্যাস ব্যবহার করার ঘটনাটিকে নির্দেশ করা হয়।[1][2][3] যদি যুক্তিদোষগুলিকে শনাক্ত না করা হয়, তাহলে সেগুলিকে আপাতদৃষ্টিতে শক্তিশালী যুক্তি হিসেবে মনে হতে পারে। কিছু কিছু যুক্তিদোষ ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পাদন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছলচাতুরির মাধ্যমে মনজয় করা বা মানসিকভাবে কাউকে বশ করে নিজ স্বার্থসিদ্ধি করা। আবার কিছু কিছু যুক্তিদোষ অসাবধানতা বা অজ্ঞতাবশত ঘটতে পারে। অনুপপত্তি, অপযুক্তি, মিথ্যা যুক্তি, হেত্বাভাস, ইত্যাদি যুক্তিদোষের কিছু সমার্থক পরিভাষা।
যুক্তিদোষগুলিকে সাধারণত "রৌপ" ও "অরৌপ" এই দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি রৌপ যুক্তিদোষ হল কোনও অবরোহী যুক্তির কাঠামোতে কোনও ত্রুটির উপস্থিতি, যার কারণে যুক্তিটির সিদ্ধান্ত অবৈধ হয়ে যায়। এর বিপরীতে একটী অরৌপ যুক্তিদোষ হল অযথার্থ যৌক্তিক রূপ নয়, বরং যুক্তিবিন্যাসের অন্য কোথাও কোনও ত্রুটির কারণে যুক্তিটির সিদ্ধান্ত অবৈধ হওয়ার ঘটনা।[4] অরৌপ যুক্তিদোষে দুষ্ট যুক্তিগুলি রৌপভাবে বৈধ হতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এগুলি ত্রুটিপূর্ণ।[5]
গাণিতিক যুক্তিদোষ হল এক বিশেষ ধরনের যুক্তিদোষ, যা কিনা একটি ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ গাণিতিক প্রমাণ, এবং প্রায়শই এর ত্রুটি সূক্ষ্ম ও কোনওভাবে লুক্কায়িত থাকে। গাণিতিক যুক্তিদোষগুলিকে সাধারণত শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে নির্মাণ ও প্রদর্শন করা হয়, এবং স্পষ্টত প্রতীয়মান গাণিতিক অসঙ্গতিগুলির মেকি প্রমাণ রূপে উপস্থাপন করা হয়।