সিরীয় গৃহযুদ্ধ
From Wikipedia, the free encyclopedia
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ (আরবি: الْحَرْبُ الْأَهْلِيَّةُ السُّورِيَّةُ, প্রতিবর্ণীকৃত: আল-হার্ব আল-আল্লিয়া আস-সুরিয়াহ) মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ায় চলমান একটি সহিংস অভ্যুত্থান। অনেকে একে আরবের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান তথা আরব বসন্তের অংশ হিসেবে দেখেন। ২০১১ সালের ২৬শে জানুয়ারি সিরিয়ায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন এক সময় অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের দাবী ছিল রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ, তার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি এবং সিরিয়া দীর্ঘ ৫ দশকের আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি (আরবি নাম: হিয্ব আল-বা'ত আল-আরাবি আল-ইশতিরাকি- কুত্র সুরিয়া) শাসনের পতন।
সিরীয় গৃহযুদ্ধ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: আরব বসন্ত, আরব শীত, ইরাকি সংঘর্ষ, ইরান-সৌদি আরব প্রক্সি দ্বন্দ্ব, এবং ইরান-ইসরায়েল প্রক্সি দ্বন্দ্ব | |||||||||||
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক পরিস্থিতি: সিরিয়ার আরব প্রজাতন্ত্র (এসএএ) সিরিয়ার আরব প্রজাতন্ত্র ও রোজাভা (এসএএ ও এসডিএফ) রোজাভা (এসডিএফ) সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (এনএএস) ও তুর্কি দখল সিরিয়ার স্যালভ্যাশন সরকার (এইচটিএস[a]) বিপ্লবী কমান্ডো আর্মি & U SA' দখল বিরোধী দল in পুনর্মিলন আইএসআইএল (যোদ্ধাদের সম্পূর্ণ তালিকা, বিস্তারিত মানচিত্র) | |||||||||||
| |||||||||||
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের বিদ্রোহীরা#বিরোধী বাহিনী | |||||||||||
টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Hezbollah |
Support:
Salvation Government (Tahrir al-Sham)[e][f] Support:
|
Support:
|
Autonomous Administration of North and East Syria (Syrian Democratic Forces) (2012–present)
Support: | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||||
Killed:
|
Killed:
|
Killed:
|
| ||||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||||||
See order | See order | See order | See order | ||||||||
শক্তি | |||||||||||
Syrian Armed Forces: 142,000 (2019)[70] General Security Directorate: 8,000[71] National Defense Force: 80,000[72] Liwa Fatemiyoun: 10,000 – 20,000(2018)[73] Liwa Abu al-Fadhal al-Abbas: 10,000+(2013)[74] Ba'ath Brigades: 7,000 Hezbollah: 6,000–8,000[75] Liwa Al-Quds: 4,000–8,000 Russia: 4,000 troops[76] & 1,000 contractors[77] Iran: 3,000–5,000[75][78] Other allied groups: 20,000+ |
Free Syrian Army: 20,000–32,000[79] (2013) Ahrar al-Sham: 18,000–20,000+[85][86] (March 2017) Tahrir al-Sham: 20,000–30,000 (per U.S., late 2018)[87] | ~3,000 (per Russia, mid 2019)[88][89] |
SDF: 60,000–75,000 (2017 est.)[90]
600[96] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||||
Syrian Arab Republic: 68,308–103,308 soldiers & 52,568–66,568 militiamen killed[97][98] 4,100 soldiers/militiamen & 1,800 supporters captured[97] Hezbollah: 1,705–2,000 killed[97][99] Russia: 137–160 soldiers killed & 184–284 PMCs killed[100] Other non-Syrian fighters: 8,300 killed[97] (2,300–3,500+ IRGC-led)[101][102] Total: 131,202–180,620 killed |
টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Syrian opposition Syrian opposition/HTS: Turkey: 239–296 killed (2016–20 incursions)[103] |
ISIL: 40,515 killed[97] |
Autonomous Administration of North and East Syria: CJTF–OIR: 13 killed[105] ( 10, 1, 1, 1) | ||||||||
117,388 civilian deaths documented by opposition[97] Total killed: 388,652–594,000 (per SOHR)[97] Estimated ≥7,600,000 internally displaced & ≥5,116,097 refugees (July 2015/2017)[106] a Formerly al-Nusra Front. b Since early 2013, the FSA has been decentralized. Its name is arbitrarily used by various rebels. c Turkey provided arms support to rebels (2011–unknown, Aug. 2016 – present) & fought alongside the TFSA in the Aleppo governorate vs. SDF, ISIL and Syrian gov. d Sep.–Nov. 2016: U.S. fought with the TFSA in Aleppo governorate solely vs. ISIL.[107][108] In 2017–18, the U.S. purposely attacked the Syrian gov. 10 times, & in Sep. 2016 it accidentally hit a Syrian base, killing ≥100 SAA soldiers. Syria maintains this as intentional.[109] e Predecessors of HTS (al-Nusra Front) & ISIL (ISI) were allied al-Qaeda branches until April 2013. Al-Nusra Front rejected an ISI-proposed merger into ISIL & al-Qaeda cut all affiliation with ISIL in February 2014. f Predecessors of Ahrar al-Sham (Syrian Liberation Front) & HTS (al-Nusra Front), were allied under the Army of Conquest (Mar. 2015 – Jan. 2017). g Number incl. all anti-government forces, except ISIL and SDF, which are listed in their separate columns. h Iraq's involvement was coordinated with the Syrian gov. & limited to airstrikes vs. ISIL.[2] |
অভ্যুত্থান ঠেকাতে সিরীয় সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং তাদের বাহিনী বেশ কিছু শহর অবরোধ করে[110][111] প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, যে সৈন্যরা সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল সিরীয় সেনাবাহিনী তাদেরকে হত্যা করেছে।[112] সিরীয় সরকার দেশে সরকারি দলদ্রোহিতা অস্বীকার করেছে এবং সশস্ত্র কয়েকটি দলকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করে।[113] ২০১১ সালের শেষদিকে বেসামরিক জনগণ ও সেনাবাহিনীর দলত্যাগী সৈন্যরা আলাদা যোদ্ধা দল গঠন করে সিরীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে। বিদ্রোহীরা আল-জায়িশ আল-সুরিল হুর বা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি নামে একটি নামের অধীনে একত্রিত হয়ে দিনদিন আরও সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে থাকে। অবশ্য তাদের বেসামরিক অংশটির সংগঠিত নেতৃত্বের অভাব ছিল। অভ্যুত্থানের পেছনে কেউ কেউ বর্ণবাদের ইন্ধন আছে বলে দাবী করেছেন যদিও দু'পক্ষের কেউই তাদের কাজে বর্ণবাদের কোন ভূমিকা অস্বীকার করেছে। বিদ্রোহীদের অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের অধিকাংশ ব্যক্তি আলাবি (শিয়াদের একটি গোত্র) মুসলিম।[114] উল্লেখ্য সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৭৪% সুন্নি, ১২% আলাবি এবং ১০% খ্রিস্টান।[115]
জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন উৎসের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৯,১০০–১১,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে যার অধিকাংশই বিদ্রোহী দলের অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে সশস্ত্র বাহিনীর নিহত হয়েছে ২,৪৭০–৩,৫০০ জন।[116][117] এর চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে। সিরীয় সরকারের ভাষ্যমতে মৃতের সংখ্যা ৫,৭০০–৬,৪০০ যার মধ্যে ২,০০০–২,৫০০ জনই সেনাবাহিনীর, ৮০০ জনের বেশি বিদ্রোহী এবং ৩,০০০ বেসামরিক মানুষ। সরকার বিদ্রোহীদেরকে "সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।[118] জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে ৪০০-রও বেশি শিশু নিহত হয়েছে।[119][120] সিরীয় সরকার অবশ্য এই তথ্যকে অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পেয়েছে বলে দাবী করেছে।[121] পাশাপাশি, ৬০০-র বেশি আটক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক বন্দি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে।[122] ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে ৪০০-র বেশি শিশু নিহত হয়েছে।[123][124] অনেক উৎস বলছে এর বাইরে আরও প্রায় ৪০০ শিশুকে কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।[125] সহিংসতা থেকে বাঁজতে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী জর্ডান[126], লেবানন এবং তুরস্কে পালিয়ে গিয়েছে।[127]
সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীকেও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে নির্যাতন, অপহরণ, অবৈধভাবে মানুষকে আটক করা, বেসামরিক লোক, শাবিহা ও সৈন্য হত্যা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইরানি কয়েকজন ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।[128] জাতিসংঘের অনুসন্ধান কমিশন ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উপস্থাপন করেছে। এতে বলা হয়েছে বেসামরিক মানুষকে ঘরছাড়া করার পেছনে বিদ্রোহীদেরও হাত রয়েছে।[129]
আরব লীগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কোঅপারেশন কাউন্সিল ফর অ্যারাব স্টেটস অফ দ্য গাল্ফ (জিসিসি) এবং বেশ কিছু দেশ বিদ্রোহীদের দমনে সরকারের সহিংস পন্থা অবলম্বনকে ধিক্কার জানিয়েছে। চীন ও রাশিয়া সরাসরি ধিক্কার জানানো থেকে বিরত থেকেছে এই যুক্তিতে যে, তা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের সামিল হবে। অবশ্য, অধিকাংশ দেশই অন্য দেশের সিরিয়াতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।[130][131] আরব লীগ সরকারের সহিংস পথ অবলম্বনের কারণে তাদের সংস্থা থেকে সিরিয়ার সদস্যপদ বাতিল করেছে।[132] অবশ্য ২০১১-র ডিসেম্বরে লীগ সিরিয়ায় একটি পর্যবেক্ষক মিশন পাঠায় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে। সমস্যা সমাধানের শেষ চেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘ প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিশেষ এনভয় সিরিয়ায় পাঠায়, কিন্তু বাশার আল-আসাদের সাথে আলোচনার পর কোন সমঝোতা ছাড়াই আনানকে সিরিয়া ত্যাগ করতে হয়।[133][134]