ডিমের শ্বেতাংশ
ডিমের ভেতরের স্বচ্ছ তরল প্রোটিনসমৃদ্ধ অংশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ডিমের শ্বেতাংশ বা ডিমের সাদা বলতে ডিমের ভেতরে অবস্থিত স্বচ্ছ তরল অংশটিকে বোঝায়। ডিমের নিষিক্ত বা অনিষিক্ত কুসুমের চারপাশ ঘিরে এটি গঠিত হয়। ডিমের শ্বেতাংশের মূল প্রাকৃতিক উদ্দেশ্য হল ডিমের কুসুমকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং নিষিক্ত হবার পর ভ্রূণের বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত পুষ্টির যোগান দেওয়া। ডিমের শ্বেতাংশের মূল উপাদান হল পানি (প্রায় ৮৮%)।[1] বাকী প্রায় ১১% উপাদান এই পানিতে দ্রবীভূত থাকে। এগুলি হল ওভ্যালবুমিন (৫৪%), ওভোট্রান্সফেরিন (১২%), ওভোমিউকয়েড (১১%), ওভোমিউসিন (৩.৫%), এবং লাইসোজোম (৩.৫%), ইত্যাদি।[1] ডিমের কুসুমে প্রচুর স্নেহ পদার্থ থাকলেও এর বিপরীতে ডিমের শ্বেতাংশে স্নেহ পদার্থ নেই বললেই চলে। ডিমের শ্বেতাংশে শর্করার পরিমাণ ১%-এরও কম। সমগ্র ডিমের প্রোটিনের প্রায় ৫৬% ডিমের শ্বেতাংশে অবস্থান করে। ডিমের শ্বেতাংশের ওজন ডিমের মোট ওজনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ।[2]
রান্নার বিভিন্ন পদ বানাতে ডিমের শ্বেতাংশ ব্যবহার করা হয়, যেমন মেরাঁগ (meringue), মুস (mousse), ইত্যাদি। ডিমের শ্বেতাংশ মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যক অ্যামিনো এসিডসমূহের একটি ভাল উৎস। আবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক টীকা প্রস্তুত করতেও ডিমের শ্বেতাংশ ব্যবহার করা হতে পারে, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা টীকা।[3] ওভোট্রান্সফেরিন রক্তে ধাতু পরিবাহক, জীবাণুনাশক ও ক্যান্সাররোধী পদার্থ হিসেবে, লাইসোজোম খাদ্য সংরক্ষক হিসেবে, ওভ্যালবুমিন একটি পুষ্টি সম্পূরক হিসেবে এবং ওভোমিউসিন টিউমার বা অর্বুদ দমনকারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।[1]