ভুল তথ্যের বিস্তার
প্রচারকারীর অভিপ্রায় নির্বিশেষে ভুল, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভুল তথ্যের বিস্তার (ইংরেজি: misinformation) বলতে এমন একটি যোগাযোগমূলক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যার মাধ্যমে ভুল, ত্রুটিপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে বা বিস্তারলাভ করে, যার পেছনে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করার কু-উদ্দেশ্য থাকতেও পারে বা না-ও থাকতে পারে।[1][2][3] আমাদের চারপাশে অনেক ধরনের তথ্য ছড়িয়ে আছে। অনেক তথ্য সঠিক আবার অনেক তথ্য ভুল। দৈনন্দিন জীবনে অহরহ ভুল তথ্যের বিস্তার ঘটে থাকে। মানুষ মাত্রেই ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও তথ্য শুনতে, বুঝতে কিংবা মনে রাখতে ভুল করে। অনেক সময় একজন ব্যক্তি অন্য কোনও উৎস থেকে প্রাপ্ত ভুল তথ্যকে সঠিক ভেবে আরেক ব্যক্তির কাছে জ্ঞাপন করতে পারে, এবং এভাবে নিজের অজান্তে ভুল তথ্যের বিস্তার ঘটাতে পারে। ভালো বা খারাপ অভিপ্রায় নির্বিশেষে ভুল তথ্যের বিস্তার ঘটতে পারে। আধুনিক যুগে পরিগণক (কম্পিউটার) ও আন্তর্জালের (ইন্টারনেট) সাহায্যে অতি সহজেই ভুল তথ্যের বিস্তার ঘটতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ব্যবহাকারীরা তাদের কাছে পৌঁছানো ভুল তথ্যগুলি খুব সহজেই চোখের নিমিষে ক্লিক করে অন্যের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এই ব্যাপারটি এখন এতই সাধারণ যে বেসরকারী তথ্য প্রযুক্তি দানব প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন গুগল, টুইটার বা ফেসবুক ভুল তথ্যের বিস্তার রোধের জন্য কতটুকু দায়ী বা তাদের কী দায়িত্ব পালন করা উচিত, বা ব্যবহারকারীদের বাক-স্বাধীনতা হরণ না করে আদৌ এরকম ভুল তথ্যের বিস্তার রোধ করা যায় কি না, এ ব্যাপারে বিতর্ক চলমান।